
গ্রীষ্মের এক পড়ন্ত বিকেলে রমনা বাগানে উপস্থিত হয়েছি কজন। অপেক্ষা করছি বৃক্ষগুরু দ্বিজেন শর্মার আগমনের। তার সঙ্গে পায়ে পায়ে হেঁটে কিছু অচেনা গাছ চেনা হবে, অপূর্ব অশ্রুত কিছু কথা শোনা হবে আমাদের। এই দলে আমরা কেউ তার ছাত্র, কেউ শৌখিন বাগানি, কেউ কিছু নই, শুধুই তার সান্নিধ্যের ভক্ত। একসঙ্গে জোট হয়ে, ঠাসবুনট গাছপালার ভেতরে একটু খোলামতো জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছি।
স্মিত হাসিমুখ নিয়ে দ্বিজেন স্যার আমাদের মাঝখানে এসে দাঁড়ালেন। তিনিই সবচেয়ে লম্বা, তালপ্রাংশু শুভ্রকেশের মানুষ। কথা শুরু করার আগেই স্যার আঙুল দিয়ে ইঙ্গিত করলেন লেকের ওপারে গগনশিরীষের মুকুটের দিকে। দমকা বাতাসের গমকে গাছের উপরকার শামিয়ানা ওপর-নিচ দুলছে। এমনভাবে ফুলে উঠছে আর চুপসে যাচ্ছে, পাতার স্তবকগুলো যেন মনে হচ্ছে, রীতিমতো শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে গাছগুলো, জীবিত প্রাণীর মতোই।
এ অভিনব দৃশ্য অবলোকন থেকে এমন কাব্যিক উপলব্ধি সবার হয় না কারণ, জীবনানন্দ দাশের কথায় ‘সকলেই কবি নন, কেউ কেউ কবি’। দ্বিজেন স্যার আবিষ্কার করেছেন বৃক্ষস্বভাবে লুকানো কবিতাকে, ঠোঁট নেড়ে কথা বলেছেন মহিরুহের সঙ্গে, প্রকৃতির সঙ্গে। তার যাবতীয় রচনায় আমরা দেখতে পাই কবি ও কবিকথার উদ্ধৃতি, সবিশেষে রবীন্দ্রনাথ ও জীবনানন্দের।
আমাদের মাথার ওপরে তখন চক্রাকারে উড়ছে একঝাঁক ভাসপাখি, ভুবনচিল। উত্তর-পুব কোণে কিছু নীলচে মেঘ জমেছে, বেশ শব্দ করে কয়েকবার বিদ্যুৎও চমকালো। তিনি বললেন, ‘মেঘ দেখে তোরা করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে’, ওসব মিথ্যে মেঘ বুঝলে, বৃষ্টি হবে না, আর বজ্রপাতে আমার কাছে বোধকরি তোমরা সবাই নিরাপদ। সত্যিই দ্বিজেন স্যারের কথায় ভয়ডর চলে গেল আমাদের, বৃষ্টিও হলো না। তিনি যেখানেই থাকেন, যে কাজেই থাকেন, তার পাশে অবস্থান করতে পারলেই যেন আর কোনো চিন্তা থাকে না, দেহমনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে একপ্রকার নিরাপত্তাবোধ প্রবল হয়ে ওঠে। তার অপার সান্নিধ্যে সহজ স্বাভাবিক, সরল-সুন্দর হয়ে ওঠে মানুষ।
স্যারের সিদ্ধেশ্বরীর বাড়িতে কোনো অর্গল নেই, যতবার গিয়েছি, দরজা খোলা। দেশের, সমাজ-সম্প্রদায়ের কোনো সংকটেই তার দরজা কখনো বন্ধ হতে দেখিনি। একদিন আমার মনে হলো, নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে, আজ দরজাটা বন্ধ। টকটক টোকা দিতেই স্যারের নিষ্ঠ পরিচারিকা টগর এসে দরজা খুলে দিল। বেশ আশ্চর্য হয়ে বলল, ‘দাদার বাড়ির দরজা তো কখনো বন্ধ হয় না জায়েদ ভাই, মন্দিরের মতোই। দরজা খোলাই ছিল, হ্যান্ডেলটা ঘোরালেই হতো।’ আমি লজ্জিত হলাম, শিক্ষাও পেলাম।
আমার ফিতে-মার্কা জুতা খোলার জন্য টগর একটা টুল নিয়ে এলো তিন আঙুলে উঁচু করে। মেয়েটি শক্তিধর। অসুস্থ স্যারের টালমাটাল দেহকে সামলাতে সে ছাড়া আর কেউ তেমন যোগ্যতা দেখাতে পারেনি, তাই তার ওপরই দায়িত্বটা ন্যস্ত হয়েছে। প্রবেশ করিডোরের উল্টো দিকের দেয়ালে টাঙানো দুটো সাদা-কালো ছবি। দ্বিজেন স্যার আর দেবী বৌদি, তাদের তরুণ বয়সের ছবি। স্টুডিওর রিটাচ করা নিখুঁত ছবি, নায়ক-নায়িকার ছবি বলে ভ্রম হয়। টগর বলল, আমি আপনার প্রিয় সবজির ‘একচড়া’ বসাচ্ছি, খেয়ে যাবেন আজ। এখন দাদার সঙ্গে বাগানে গিয়ে বসেন।
নয়তলার টেরাসে ছোট্ট বাগান, তবে গাছগাছালি কম নয়। বেলি, জুঁই, মালতি, অধিকাংশই সচরাচর দেখা গাছ। টগর এগুলোর যত্ন করে, জল ঢালে, নিড়ানি দেয়। বাগানের ডোয়ার্ফ গাছ থেকে জামরুল, কাগজি লেবু ছিঁড়ে এনে ডাইনিংয়ে হাজির করে। বারান্দায় বসেছি স্যার, বৌদি, মমি আর আমি। স্যার আমার উদ্ভিদবিষয়ক বইয়ের ভূমিকা লিখে দেবেন বলেছেন। এদিকে তার নিজের আত্মজীবনীমূলক বইটি অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। কন্যাপ্রতিম মমি তাকে প্রবোধ দিয়ে রাখে, ‘স্যার, বইটা যেভাবে হোক শেষ করতে হবে, আপনার যদি এডিট করার অবস্থা না থাকে তবে আমি তা দায়িত্ব নিয়ে করে দেব।’ সাহানা চৌধুরী মমি দায়িত্ব নিতে জানে, আমার উদ্ভিদবিষয়ক বইয়ের জটিল ফটোসেটিং ও সম্পাদনার কাজ থেকেই সেটা বুঝতে পেরেছি।
স্যার অসুস্থ, আস্তে আস্তে কথা বলছেন। উদ্ভিদ বিষয়ে তার দূরদর্শিতা অসাধারণ, দার্শনিকের মতো। ‘এই যে মনোকালচার শুরু হয়েছে অ্যাকেশিয়া আর মেহগনি-জাতীয় গাছের, কখনো কখনো হাইওয়েতে মাইলের পর মাইল, বিরামহীন, একবার যদি এতে মড়ক লাগে তবে কী হবে ভেবেছ, যেমনটা ঘটেছিল সিঙ্গাপুরে রুদ্রপলাশের ক্ষেত্রে। কী ফল হবে এতে? বৃক্ষশূন্য হয়ে যাবে রাস্তার ধার আর শহরের অ্যাভেনিউ।’ মনোকালচারের ঘোর বিরোধিতা করে তিনি বলেন, ‘বিদেশি জলগ্রাসী ও অ্যালিলো কেমিক্যাল ছড়ানো ইউক্যালিপ্টাস, শেকড়-শক্তি দিয়ে ফুটপাত উপড়ানো অ্যাকেশিয়া আর মেহগনিগাছ বাদ দিয়ে দেশি গাছের রঙিন ফুলের অ্যাভেনিউ করি না কেন আমরা!’ বড় আক্ষেপ করে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন তিনি… ‘নাই আমাদের কনকচাঁপার কুঞ্জ / বনবীথিকায় কীর্ণ বকুলপুঞ্জ’।
মানুষের সুস্থভাবে নির্মল অক্সিজেন নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য, বিনোদনের জন্য, আত্মার খোরাকের জন্যই আমাদের দেশকে ভরে তুলতে হবে ফল-ফুল-পল্লবে। জনাকীর্ণ এই ঢাকা শহরের জন্য ৬৮ একরের রমনার মতো সামান্য বাগান আদৌ যথেষ্ট নয়, মিরপুরের জাতীয় উদ্যান তেমন অর্গানাইজড নয়, যা অনিয়ন্ত্রিতভাবে জঙ্গল হয়ে উঠছে, সোয়া তিন একরের ক্ষুদ্র বলধা বাগানের গাছ এত পুরোনো আর জরাজীর্ণ হয়ে উঠেছে যে, কিছু গাছ শনাক্ত করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। সারা ঢাকা শহরে বাগান হতে পারে একটিই, ডিজাইন করা, ল্যান্ডস্কেপ করা একটি লিনিয়ার প্যাটার্নের বাগান, নানা উপায়ে জোড়া দেওয়া খণ্ড খণ্ড বাগান, এসব সাপোর্ট করার মতো টেকনোলজি আমাদের আছে। এমন ডিজাইন কার্যকরী হলে শহরের এক বাগান থেকে রওনা হয়ে সারা ঢাকা শহর ঘুরতে পারবে মানুষ। এমনটা করা যেতে পারে বাংলাদেশের অন্যান্য শহরেও। মনে রাখতে হবে, আমাদের দেশের বনাঞ্চলের পরিমাণ চাহিদার তুলনায় মাত্র এক-চতুর্থাংশ।
দ্বিজেন স্যারের জন্ম ১৯২৯ সালের ২৯ মে সিলেটের বড়লেখার শিমুলিয়া গ্রামে, এক কবিরাজ পরিবারে। পিতা ও পিতামহও ছিলেন ভিষক। বসন্তে তাদের বাড়ির উঠান ভরে উঠত ভেষজ ও পুষ্পতরুর ফুলে। বাড়ির উত্তরে নিকড়ি নদী, খাসিয়া পাহাড়ের নীলাভ ঢেউ, পাথারিয়া পাহাড়ের জংলি গাছ সবকিছুই তাকে ডাক্তারি বিদ্যা পড়াশোনার পরিবর্তে টেনেছে প্রকৃতির দিকে, উদ্ভিদের রাজ্যে। দীর্ঘ ৮৮ বছরের জীবনে তিনি ঢাকা নটর ডেম কলেজে অধ্যাপনা করেছেন ১৬ বছর, মস্কোর প্রগতি প্রকাশনে অনুবাদকের কাজ করেছেন ১৭ বছর এবং পরে বাংলাপিডিয়া সম্পাদনার কাজ করেছেন এশিয়াটিক সোসাইটিতে।
২০১৫ সালের একুশে পদকসহ নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি, যার মধ্যে রয়েছে বিজ্ঞান, সাহিত্য, এমনকি শিশুসাহিত্যও। ২০টির মতো বই লিখেছেন যার অধিকাংশই উদ্ভিদ ও বিজ্ঞানবিষয়ক, এতে ব্যতিক্রমধর্মী একটি গ্রন্থ হলো ‘সমাজতন্ত্রে বসবাস’। সাহিত্য ও বিজ্ঞানের মেলবন্ধন ঘটানো ছিল তার জীবনের এক ব্রত। তিনি ভাবতেন, বিজ্ঞান যদি দেবতা হয়, তবে তার বাহন হলো সাহিত্য। স্যারের অনুবাদকৃত বই ‘হিমালয়ের উদ্ভিদরাজ্যে ডাল্টন হুকার’ও একটি অনবদ্য বিজ্ঞানসাহিত্য। যে সাহিত্যে বিজ্ঞানের অপলাপ হবে না; কিন্তু গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। এমন ধারণার পেছনে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছিল নোবেল বিজয়ী চার্লস প্র্যাসিনোর অনবদ্য গ্রন্থ ‘The two cultures and the scientific revolution’।
১৯৮০ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে বাংলা একাডেমি তার মূল্যবান কিছু গ্রন্থ প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ঢাকার তরুরাজির ইতিবৃত্ত ‘শ্যামলী নিসর্গ’, আকর গ্রন্থ ‘সপুষ্পক উদ্ভিদের শ্রেণিবিন্যাস’ ও ‘ফুলগুলি যেন কথা’। শেষোক্ত বইটির শেষ সংস্করণে তিন শতাধিক গাছের পরিচয় আছে, যা অদ্যাবধি উদ্ভিদবিদ্যার ছাত্র-অধ্যাপক, সাধারণ মানুষ, নিসর্গী ও বৃক্ষপ্রেমী সবাই ব্যবহার করে থাকেন। এ বইটি তিনি লিখেছিলেন মস্কোয় বসে, যখন সহায়ক গ্রন্থের দুষ্প্রাপ্যতা ছিল। তিনি এর নামকরণ করেছেন প্রিয় রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতার পঙ্ক্তি দিয়ে। বাগানের টেরাসে বসে চা পান করতে করতে বৌদি আমাকে অনুরোধ করলেন গান গাইবার জন্য।
আমি কদাচ গান গেয়ে থাকি; কিন্তু নামিদামি শিল্পীর মতো অজুহাত দিয়ে বললাম, গলাটা আজ ভালো নেই; কিন্তু গান আমাকে গাইতেই হলো, ফকির লালনের… ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি, কেমনে আসে যায়’। খাঁচার পাখির প্রকৃত অর্থ হৃদয়ঙ্গম না করতে পারলেও এর সুর আমাদের এমনভাবে মুগ্ধ করে ফেলে যে, অর্থ খোঁজা পড়ে থাকে দূরে। এ গানেরই একটি অংশ... ‘মন তুই রইলি খাঁচার আশে / খাঁচা যে তোর কাঁচা বাঁশের / কোনদিন খাঁচা পড়বে ধসে / ফকির লালন কেঁদে কয়…’। পঙ্ক্তিগুলো শুনে দ্বিজেন স্যার নিথর পাথর হয়ে গেলেন, যেন গানের কথার সঙ্গে গভীরভাবে মেলাতে চেষ্টা করলেন জীবনের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি। আমি বুঝলাম, গাইবার জন্য এ গানটি নির্বাচন করা কিছুতেই ঠিক হয়নি।
এরপর একদিন স্যারের বাড়িতে গিয়েছি এমনিই খোঁজখবর নিতে। গিয়েই শুনি তিনি শ্বাস নিতে পারছেন না। দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, তাকে বারডেম ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যেতে হবে। অনেক বলেকয়ে স্যারকে রাজি করানো গেল; কিন্তু লিফটে ওঠার আগে তিনি অনুরোধ করলেন, একবার তিনি টেরাসের গাছের কাছে যেতে চান, হয়তো শেষ বিদায় নিতে চেয়েছিলেন তিনি। বারডেমে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত ডাক্তার আড়ালে ডেকে নিয়ে বললেন, তাকে যথাশিগগির আইসিইউতে নিতে হবে, শ্বাসের টিউব খুলে নিলে ১০ মিনিটের মধ্যেই পরপারে চলে যাবেন তিনি। কদিন পর আমার পরিচিত ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক আজাদ খান বললেন, ‘বেশ জটিল অবস্থা, বাঁচার সম্ভাবনা মাত্র ৩০ শতাংশ; কিন্তু আমরা কখনো আশা ছাড়ি না।’ এ খবর বৌদির কাছ থেকে গোপন রাখা হলো; কিন্তু তিনি যেন বুঝতে পারলেন, বৈধব্য বরণের সময় ঘনিয়ে এসেছে তার। আমি তখন মধ্যপ্রাচ্যে
কাজ করি, যাত্রার আগের দিন অনেক মানুষের সঙ্গে করিডোরে বহুক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছি স্যারের সঙ্গে শেষ দেখা করার জন্য। একসময় আইসিইউতে দেখা করার অনুমতি পাওয়া গেল—সময়, ঘড়ি ধরে তিন মিনিট।
হাসপাতালের পোশাকের ভেতর থেকে বাইরে বেরিয়ে আছে নির্জীব মহিরুহের দুটি শেকড়। সেখানে স্পর্শ করতেই ডালপালাসহ নড়ে উঠল গাছটা। কথা বলতে পারলেন না স্যার, একরাশ টিউবের ডালপালাসহ বহু কষ্টে মুষ্টিবদ্ধ একটি হাত ওপরে উঠিয়ে ঝাঁকুনি দিলেন তিনি। যেন বোঝাতে চাইলেন, এগিয়ে যাও, আমি নেই তাতে কি, মন্ত্র তো রেখে গেছি তোমাদের কাছে।
তিনি মনে মনে কষ্ট পেয়েছিলেন, কেন তার মরদেহ দাহ করতে কটি নিরীহ গাছের প্রাণ যাবে, কেন ওই গাছগুলো এ যুগেও সহমরণে অংশ নেবে, এর বিকল্প ব্যবস্থা সমাজ কেন মেনে নিতে পারে না! সবুজবাগে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে তার দেহাবশেষ সমাহিত করা হয়েছে বড়লেখায়, শিমুলিয়া গ্রামে তার প্রিয় নাগেশ্বর গাছের নিচে। ৮৮ বছরের পরমায়ু পেলেও দ্বিজেন স্যারের চলে যাওয়াটা আকস্মিক মনে হয়েছিল তদানীন্তন নিসর্গী, প্রকৃতিবিদ ও উদ্ভিদপ্রেমী মানুষের কাছে। আমরা সবাই এমন একজন মানুষ আঁকড়ে ধরেছিলাম, যিনি ছাড়া যেন আমাদের আর গত্যন্তর ছিল না। তবু একসময় মহামানব, জাগতিক এ বন্ধনকে ছিন্ন করে চলে যেতে হয়। যিনি চলে যান, তিনি প্রবোধ দিয়ে যান, বাণী রেখে যান পরবর্তী প্রজন্মের জন্য; কিন্তু আমরা তা অনুসরণ করতে ভুলে যাই।