শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩১
মাসুদা ভাট্টি
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলাদেশের গুরুত্বটা আমরাই বুঝি কি

বাংলাদেশের গুরুত্বটা আমরাই বুঝি কি

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে যতটা আলোচনা চলে, ততটা বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক অবস্থান কিংবা আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে আলোচনা হতে দেখা যায় না। অথচ বাংলাদেশ যে দিন দিন আন্তর্জাতিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র হয়ে উঠেছে, সে খেয়াল আমাদের অনেকেরই নেই। এমনকি বাংলাদেশকে ঘিরে যে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশেষ করে পরাশক্তিগুলোর মধ্যে এক বিকট ও উদ্বেগপূর্ণ দ্বন্দ্ব চলছে, সেদিকটিও আমরা লক্ষ করছি না। যেহেতু বাংলাদেশের ভেতরে এ বিষয়ে সচেতনতা কম, সেহেতু এসব শক্তিধর রাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নিজেদের নাক গলানোর সুযোগ পেয়ে আসছে শুরু থেকেই এবং এখন সেটা অত্যন্ত দৃষ্টিকটুভাবে লক্ষ্যমানও বটে।

একেবারে সাদা চোখেই দৃশ্যমান যে, বাংলাদেশ এমন একটি জায়গায় অবস্থিত যেখান থেকে দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ায় খুব সহজেই যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব। বিশেষ করে মহাসাগরকেন্দ্রিক বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত বঙ্গোপসাগর বিস্ময়করভাবে বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক গুরুত্বকে অপরিসীম করে তুলেছে। ফলে এ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক কিংবা সমরাস্ত্রের যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে পরাশক্তিগুলোর মধ্যে, তাতে বাংলাদেশ চাক বা না চাক, একটা অবস্থান তাকে গ্রহণ করতেই হবে বা হচ্ছে। মনে রাখতে হবে যে, নিরপেক্ষতাও একটি অবস্থান।

আমরা জানি যে, বৈশ্বিক ক্ষমতাকেন্দ্রের অনেকটাই এখন এশিয়ার দিকে ধাবমান। চীন ও ভারতের মতো যুযুধান রাষ্ট্রের প্রায় মধ্যবর্তী একটি কোণে বাংলাদেশের অবস্থান। দুটি দেশই পরাশক্তি হওয়ার দৌড়ে রয়েছে, চীন তাতে অনেকটাই এগিয়ে থাকলেও ভারতও এগোচ্ছে দ্রুতগতিতেই। ওদিকে জাপানের মতো রাষ্ট্রও নিজেদের শান্তিময় অবস্থান থেকে সরে এসে বৈশ্বিক ক্ষমতার দৌড়ে নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে এশিয়ার ভূরাজনৈতিক অবস্থা এখন বেশ জটিল আকার ধারণ করেছে। আর এ জটিলতায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে তুরুপের তাস হিসেবে আমরা দেখতে পাচ্ছি তাইওয়ানকে। এ ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রটির ওপর চীনের দাবিকে অযৌক্তিক মনে হলেও বাস্তবতা হলো, চীন কখনোই তাইওয়ান থেকে নিজেদের দাবি প্রত্যাহার করতে পারবে না। আর তাইওয়ানে চীনের আগ্রাসন-নীতিকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ফিলিপাইন ও জাপানকে সঙ্গে নিয়ে এক বিশাল ও ক্ষমতাধর শক্তিজোট তৈরিতে সফলভাবে এগিয়ে চলেছে। ওদিকে চীনও ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে তার মিত্রশক্তিদের একাট্টা করার চেষ্টা করছে। বিপুল বিনিয়োগ নিয়ে মিয়ানমারের মতো রাষ্ট্রগুলোকে চীন পেছন থেকে শক্তির জোগান দিয়ে চলেছে। মালাক্কা প্রণালি যেহেতু মার্কিন শক্তিবলয়ের অধীন সেহেতু বঙ্গোপসাগরের ওপর চীনের নজর আরও তীক্ষ্ণ হয়েছে। এসবের মাঝে বাংলাদেশকে পাশে পেতে বা বাংলাদেশের সমর্থন পেতে একই সঙ্গে বিভিন্ন ইন্দো-প্যাসিফিক জোট/সংঘ বা চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র যেমন মরিয়া, তেমনি চীন কিংবা ভারতও বাংলাদেশকে তাদের পাশে রাখতে সব দিক থেকে তৎপর। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন যে, হঠাৎ করে পাহাড়ে জঙ্গি-তৎপরতা থেকে শুরু করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন কিংবা সন্ত্রাসী ঘটনা সবই বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের কার্যক্রমের অংশ।

মোটকথা বাংলাদেশ এখন এমন একটি জায়গায় আছে যেখান থেকে সুযোগ রয়েছে নিজেদের সক্ষমতার ওপর দাঁড়িয়ে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে দরকষাকষির। সবচেয়ে বড় কথা হলো, বিগত দশকে বাংলাদেশের যে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে এবং অর্থনৈতিক যে সক্ষমতা বাংলাদেশ নিজেই অর্জন করেছে তাতে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে বাংলাদেশের আওয়াজ তোলারও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, বাংলাদেশ এমন একটি বাজার যেখানে রয়েছে প্রায় বিশ কোটি ক্রয়সক্ষম মানুষ। ওদিকে বাংলাদেশ এখন রপ্তানিযোগ্য পণ্য উৎপাদনেও নিজেদের সক্ষমতা জানান দিচ্ছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাজারে বাংলাদেশ নিজেকে যে উচ্চতায় পৌঁছেছে তাকেও অস্বীকার করার উপায় নেই।

উপমহাদেশের দিকে যদি দৃষ্টি দিই তাহলে ভারতের পরপরই (অনেক ক্ষেত্রেই ভারতকে ছাড়িয়ে কিংবা সমানে সমান) যে রাষ্ট্রটিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয় তা হলো বাংলাদেশ। পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে ধস নামার পর অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন যে, বাংলাদেশ যে কোনো সময় শ্রীলঙ্কা কিংবা পাকিস্তান হয়ে যাবে। কার্যত তেমন কিছু তো হয়ইনি বরং বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে যে বড় ধরনের কোনো বিপদের সম্ভাবনা নেই সে কথা বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদরাও স্বীকার করছেন, যারা মূলত সরকারের কট্টর সমালোচক হিসেবেই পরিচিত। ভারতও এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ক্রয়-সক্ষম বাজারের দিকে তাকিয়ে থাকে। শুধু এই রমজানকে কেন্দ্র করে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৬৪ হাজার টন ছোলা। সুতরাং বাজার হিসেবেও বাংলাদেশের গুরুত্বকে কেউ অস্বীকার করতে পারছে না। সুখের কথা হলো, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিন ধরে চলমান অনেক সমস্যা (যেমন ছিটমহল সমস্যা, সমুদ্রসীমা নির্ধারণ ইত্যাদি) নিরসন হওয়ার ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক যেমন নতুন মাত্রা লাভ করেছে, তেমনই বৈশ্বিক টানাপোড়েনের ফলে বাংলাদেশ-ভারত প্রতিবেশীসুলভ সৌহার্দ্য বজায় রেখে ভবিষ্যতের দিনগুলোকে দুই দেশের জন্যই লাভজনক করে তোলার গুরুত্বও আগের তুলনায় অনেক বেশি প্রয়োজনীয় বলে মনে করছে দুটি দেশই। অতি সম্প্রতি ভারতের নীতিনির্ধারক মহলের বাংলাদেশ সফরকালে তাদের বক্তব্য থেকেও এসব বিষয় জোরালোভাবে উঠে এসেছে।

এর মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিভক্ত পৃথিবী আরও দ্রুত বিভাজিত হয়ে চলেছে বলে প্রতীয়মান। খুব দ্রুত এ যুদ্ধ বন্ধ হয়ে পৃথিবীতে শান্তির সুবাতাস বইবে এমন কোনো আশাবাদ পৃথিবীর সবচেয়ে আশাবাদী বিশ্লেষকও দিতে পারছে না। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে এক পৃথিবী রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের রাষ্ট্রগুলোর আরেক পৃথিবী, এই দুই পৃথিবী এখন যে কোনো সময় যে কোনো অজুহাতে আরেকটি যুদ্ধ লাগানোর পাঁয়তারা করছে। এর মধ্যে চীনের মধ্যস্থতায় ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্কের নতুন সমীকরণ পৃথিবীকে ভিন্ন একটি বার্তা দিচ্ছে। একই সঙ্গে এই লেখাটি যখন লেখা হচ্ছে তখন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিন মস্কো সফরে গিয়ে বৈঠক করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। এতসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার মধ্যে বাংলাদেশের মতো ক্ষুদ্র ও ক্ষমতাহীন রাষ্ট্রের কি কোনো গুরুত্ব আছে? এ প্রশ্নটি নিয়ে বিশ্বের আর কেউ না ভাবলেও বাংলাদেশের জনগণের ভেবে দেখার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। বিশেষ করে এ কারণেই ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে যে, যাতে বাংলাদেশের ক্ষুদ্রত্ব ও ক্ষমতাহীনতা কেউ তাদের নিজস্ব স্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে।

লক্ষ করলে দেখবেন যে, গত ছয়-সাত মাসে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপ থেকে যারাই বাংলাদেশ সফরে এসেছেন তারা সবাই বাংলাদেশকে তাদের পক্ষে টেনে নেওয়ার জন্য কথা বলেছেন। কখনো মোলায়েম ও কূটনীতির ভাষায়, কখনো প্রচ্ছন্ন চাপ এবং হুমকির ভাষাতেও। নিজেদের জোটে বাংলাদেশকে পাওয়ার এত তাড়না কীসে যদি গুরুত্বপূর্ণ না হয়? দুঃখজনক হলো, এ গুরুত্বটি নিয়েই আমাদের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে কিংবা আমরা এ বিষয়ে সম্পূর্ণই অজ্ঞাত। ১৯৭২ সালে যে বাংলাদেশ বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ২০০তম অবস্থানে ছিল মাত্র ৫০ বছরে সেই বাংলাদেশ উঠে এসেছে ৩৪তম অর্থনীতিতে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী বছর কয়েকের মধ্যেই বাংলাদেশ ২৫তম অর্থনীতির দেশ হবে। এটাও কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার নয়। অত্যন্ত কৌশলে বাংলাদেশ এরই মধ্যে পারমাণবিক সক্ষমতার দেশের কাতারে নাম লেখাতে চলেছে। যদিও বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে এই পারমাণবিক স্থাপনা, তবু বিষয়টি অনেকেই ভিন্ন চোখে দেখেন।

আমরা জানি যে, আন্তর্জাতিক মোড়লদের হাতে বেশ কিছু অস্ত্র রয়েছে, যা প্রয়োগ করে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে নানাবিধ চাপে রাখা হয় যে কোনো স্বার্থসিদ্ধির জন্য। স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তীকালে এসব অস্ত্রের নাম কখনো গণতন্ত্র, কখনো মানবাধিকার, কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন। অন্য কোনো কৌশলে পারা না গেলে এসব অস্ত্র প্রয়োগে শক্তিশালী দেশগুলোকে নিমিষে মিশিয়ে দেওয়া হয় মাটির সঙ্গে। ইরাক কিংবা লিবিয়ায় ‘গণতন্ত্র’ ছিল না বটে কিন্তু সেসব দেশে মানুষের গড় আয় থেকে শুরু করে জীবনযাপনের মান ছিল অনেক উন্নত দেশের তুলনায়ও ঈর্ষণীয়। গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে সেসব দেশে তাণ্ডব করে এখন সেখানে না আছে গণতন্ত্র না আছে মানুষের পেটে ভাত কিংবা পরনে কাপড়। তেলক্ষেত্রগুলো অবাধে লুটপাট করে এখন সেসব দেশ ভয়ংকর এক মৃত্যুপুরীর মতো টিকে আছে। পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ওপরও এরকম চাপ নিয়ে নানা দিক থেকে বিশ্বজন বাংলাদেশে আসতে শুরু করেছে এবং বাংলাদেশে নিয়োজিত তাদের এজেন্টদের দিয়েও এ চাপাচাপি অব্যাহত রেখেছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে দেশের মানুষের নিজেদের সক্ষমতা ও শক্তি সম্পর্কে আরও বেশি অবগত করার বিকল্প কিছু নেই। আপনি যদি জানেন যে, আপনার শক্তিটা কোথায় তাহলে সেটি প্রয়োগে কিংবা সেই শক্তি আপনার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে আপনার শত্রুর পক্ষে অসম্ভবই বটে। এ কথা আমাদের জানা ও বোঝা প্রয়োজন যে, বাংলাদেশ কোনো অর্থেই আর তলাবিহীন ঝুড়ি কিংবা শক্তিহীন নয়, কিছুটা ক্ষমতাহীন হলেও হতে পারে কিন্তু ১৭ কোটি বাঙালিকে ‘দাবায়ে রাখা’ সম্ভব কি? প্রশ্নই ওঠে না।

লেখক : এডিটর ইনচার্জ, দৈনিক আমাদের অর্থনীতি

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৯ মাসেই রির্জাভ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার বিক্রি

বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

চাঁদপুরে ২ শ্রমিককে ইট ভাটায় আটকে রাখার অভিযোগ

অপরাধী শনাক্ত করবে সিসি ক্যামেরা

ই-সিগারেট / নতুন মোড়কে পুরনো সর্বনাশ

নন্দীগ্রামে প্রেসক্লাবের তুহিন সভাপতি, হানিফ সম্পাদক

মসজিদে নামাজের সময় এসি বিস্ফোরণ

সপ্তাহের ব্যবধানে একই এলাকায় আবারও খুন

বদরের শিক্ষায় ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে : সেলিম উদ্দিন

মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেই সাপ

১০

‘এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন’

১১

‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কারের যে প্রমাণ দিল ইউনূস সেন্টার

১২

মেহেদির রং শুকানোর আগে প্রাণ গেল যুবকের

১৩

আজকের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি (২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার)

১৪

পশ্চিমাদের যুদ্ধবিমান এফ-১৬ ভূপাতিত করার হুমকি পুতিনের

১৫

হাজার কোটি টাকার মালিক বাবা, কিছুই জানে না ছেলে

১৬

প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইনে নৈরাজ্য-নিরাপত্তাহীনতা বাড়বে : টিআইবি

১৭

শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর সুপারিশ

১৮

ড. হাফিজের লেখা ‘আমরা মুক্তি সেনা’ 

১৯

২৫ রমজানের মধ্যে বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি ডিইউজের

২০
*/ ?>
X