নজরুলের বিদ্রোহে অভিমানও আছে

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

নজরুল ইসলামের দুই রূপের সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। একরূপে তিনি বিদ্রোহী, অন্যরূপে প্রেমিক। কবি নিজেই এ দুই পরিচয়ের কথা প্রচার করেছেন। ফুল ফোটানোই আমার ধর্ম। তরবারি হয়তো আমার হাতে বোঝা, কিন্তু তাই বলে তাকে ফেলেও দিইনি। আমি গোধূলি বেলার রাখাল ছেলের সাথে বাঁশি বাজাই, ফজরের মুয়াজ্জিনের সুরে সুর মিলিয়ে আজান দিই, আবার দীপ্ত মধ্যাহ্নে খর তরবারি নিয়ে রণভূমে ঝাঁপিয়ে পড়ি। তখন আমার খেলার বাঁশি হয়ে ওঠে যুদ্ধের বিষাণ, রণশিঙা।

কোমলের প্রতি এই কবির বিশেষ পক্ষপাত আছে। ‘বাঁধনহারা’র রবিয়ল যা বলেছে নূরুকে সেটা নজরুল সম্বন্ধেও বলা চলে; ‘তোর উপরটা লোহার মত হলেও ভেতরটা ফলের চেয়েও নরম।’ অন্যত্র তিনি লিখেছেন, ‘বিদ্রোহটা তো অভিমান আর ক্রোধেরই রূপান্তর।’ তিনি বিদ্রোহী বন্ধন আছে বলে; বন্ধনের কারণেই তার বিদ্রোহ। আর এ বিদ্রোহে শুধু ক্রোধ নেই, অভিমানও আছে; এ প্রায় অসন্তুষ্ট সন্তানের বিদ্রোহ অযোগ্য পিতার বিরুদ্ধে।

ফুল ফোটানোর কথা নজরুল বহুবার বহুভাবে বলেছেন। আসলে তিনি সৌন্দর্য চান। তার একটি সাহিত্যিক ঘোষণাপত্রের নাম যে ‘আমার সুন্দর’ সেটা আকস্মিক বা আপতিক ঘটনা নয়। সেই জন্য তার বিদ্রোহটা অসুন্দরের বিরুদ্ধে; তিনি সৌন্দর্যকে প্রতিষ্ঠা দিতে চান, অন্তর্ধান চান অসুন্দরের। দৈন্যের কথা, পীড়নের কথা তার সাহিত্যে আছে; কিন্তু তার সাহিত্যের নিজের গায়ে রিক্ততার কোনো চিহ্ন নেই। তার নায়করা নির্জনেও রিক্ত হয় না। শ্রেয়র বোধ তার সব রচনাতেই উপস্থিত। ‘বিদ্রোহী’ কবিতার শেষাংশে এমন সময়ের উল্লেখ আছে যখন বিদ্রোহের আর আবশ্যকতা থাকবে না। বিদ্রোহ সেখানে লক্ষ্য নয়। লক্ষ্য শ্রেয়তর জীবনযাত্রা। কবিতাটির অভ্যন্তরেও কোমলের রুনুঝুনু বেজেছে ইতস্তত।

‘দারিদ্র্য’ কবিতায় অভাব কবিকে দুর্বল করেনি, জীর্ণ বা নিঃস্ব ভিখিরি করেনি, বরং মহৎ করেছে, সমৃদ্ধ করেছে, তাকে দিয়েছে খ্রিষ্টের সম্মান। অশুভ আছে বটে, কিন্তু তার জয় নেই। নজরুলের ধ্বংস সৃষ্টির প্রয়োজনে, তিনি রুদ্র যখন তখনো মঙ্গলময়। শিল্পকে তিনি জীবনের কাছাকাছি এনেছেন, জীবনকে অঙ্গীকার করেছেন উদার আলিঙ্গনে; কিন্তু শিল্প ও জীবন কখনো এক হয়ে যায়নি, শিল্পের সৌন্দর্য ও মর্যাদা সবসময়ই থেকেছে জীবনের একধাপ উঁচুতে। অন্যদিকে আবার তার রচনায় অশুভ সম্পূর্ণরূপে চিত্রিত হওয়ার সুযোগ পেল না। অশুভের তিনি শত্রু; অশুভকে তাই দাঁড়িয়ে দেখেন না কোনো সময়ে, সন্ধান পাওয়া মাত্রই তাকে আক্রমণ করেন। অশুভকে তার শক্তিতে প্রকাশিত হওয়ার অবকাশ দেননি তিনি। রুদ্রকে ঢেকে দিয়েছেন কল্পনায়।

বিদ্রোহী ও প্রেমিক—এ দুই রূপের মধ্যে কোনটাকে আমরা অধিক মর্যাদা দেব? কোন পরিচয়ে তিনি দীর্ঘজীবী হবেন সে নিয়ে তর্ক করা চলে। কিন্তু এ সত্য বোধহয় তর্কাতীত যে, আমাদের এ বাংলাদেশে ফুল বড় সহজে ফোটে, কান্না অতি অল্পতেই আসে। ফুল নেব না অশ্রু নেব—এ খুবই সংগত প্রশ্ন, কেননা উভয়ই আছে অনেক করে। ফুল ও পাখি, মেঘ ও বৃষ্টি, চাঁদ ও জোয়ার, প্রদীপ ও পতঙ্গের বিস্তৃত এলাকাটা।

নজরুল ইসলামের একটা প্রধান অংশ সন্দেহ নেই; কিন্তু তার নিজস্বতা বোধহয় অন্যত্রই খোঁজা বাঞ্ছনীয়। তার প্রেমবিষয়ক রচনার শিল্পমূল্য নিশ্চয়ই সামান্য নয়; কিন্তু তিনি অনেক বেশি অসামান্য তার বিদ্রোহে। তিনি যে চমকে দিয়েছিলেন, আত্মপ্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই আদরণীয় হয়ে উঠেছিলেন সে ওই রণতূর্যের কারণেই, দীপ্ত মধ্যাহ্নে রণভূমিতে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্যই। এ ঝাঁপিয়ে পড়াটা বিপজ্জনক কাজ; কেননা এটা স্বাভাবিক নয়, এতে অতিনাটকের প্রশ্রয় আছে। এমন সন্দেহ হতে পারত যে, তিনি অভিনয় করেছেন—তার হাতের তলোয়ার যাত্রাদলের। তুলনায় রাখাল ছেলের সঙ্গে বাঁশি বাজানোয়, মুয়াজ্জিনের সুরে সুর মিলিয়ে আজান দেওয়াতে প্রথাবদ্ধ স্বাভাবিকতা অনেক বেশি। কিন্তু কৌতুক দূরে থাক, তার ঝাঁপিয়ে পড়া আমাদের প্রথমে আকৃষ্ট ও পরে প্রভাবিত করে। এর একটা কারণ তার আন্তরিকতা। সাহিত্যে আন্তরিকতা পর্যাপ্ত মূলধন নয়। শক্তিহীনের আন্তরিকতা কৌতুকে সৃষ্টি করতে পারে—নয়তো করুণার। কিন্তু নজরুলের আন্তরিকতা যেমন নিশ্ছিদ্র ও সংক্রামক, শৈল্পিক ক্ষমতা তেমনি অসামান্য ও স্বতঃপ্রকাশ।

যেখানে নজরুল সামাজিক রচনা লিখেছেন—সংবাদপত্রের উদ্দীপ্ত সম্পাদকীয়তে কিংবা জনসমাবেশে প্রদত্ত ওজস্বী অভিভাষণে, সেখানে তার তরবারির ক্ষর দীপ্তিটাই বড়; সেখানে ফুলেরা গেছে পিছিয়ে, অশ্রু গেছে শুকিয়ে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা বোধকরি সংগত যে, অভিমানের কান্না বা তপ্ত দীর্ঘশ্বাস যখন কবিতায় থাকে তখন তারা ছন্দের, ধ্বনির, বাক্যস্পন্দের একটা অন্তরাল পায়, এই অন্তরাল শিল্পেরই নামান্তর। গদ্য রচনায় এই অবগুণ্ঠনটি খাটো হয়ে আসে। নজরুলের সামাজিক গদ্যে ওই অবগুণ্ঠনের অভাব হয়তো আছে, কিন্তু সে অভাবের ক্ষতিপূরণ হয় তার তেজস্বিতার সঙ্গে সেই প্রত্যক্ষ পরিচয়ে যা আমাদের মুগ্ধ ও উদ্দীপ্ত করে, যার ভেতর নজরুলের নিজস্বতা অতি সহজেই স্পর্শ করতে পারি। তার নিজের ভাষায় এখানে তিনি ‘শক্তিসুন্দর’। শক্তি ও সুন্দরের এই একত্রকরণ তাৎপর্যপূর্ণ। এসব রচনায় তিনি হয়তো উত্তেজিত ও ওজস্বী, কিন্তু সমস্ত চাঞ্চল্য ও শব্দাধিক্য জড়িয়ে আছে শিল্পের একটা শৃঙ্খলা। কোনো অবস্থাতেই শিল্পের দাবি ও মর্যাদার কথা তিনি বিস্মৃত হতে পারেননি। ইব্রাহিম খাঁর কাছে লেখা সেই বহুল উদ্ধৃত চিঠিতে এ কথাটা নজরুল বিশেষ জোর দিয়ে বলেছেন। বলেছেন, দেখতে হবে গলার স্বর যেন গানের কবিতাকে চাপা না দেয়। চাপা দেয়নি। সেখানেই তিনি বড় শিল্পী।

এ রচনাগুলোতেও অভিমান আছে। কিন্তু সে অভিমান ব্যক্তিগত নয়, গোষ্ঠীগত। অনেক ক্ষেত্রে গোষ্ঠীকেও ডিঙ্গিয়ে গেছেন এবং এও বলা যায় যে, যখন অত্যাচারিতের দুঃখে ক্রোধ প্রকাশ করেন তখন অত্যাচারিত মানুষের কথাই ভাবেন, যে মানুষ একটা বিশেষ কালে একটা বিশেষ দেশে বাস করে বটে কিন্তু আসলে যে মানুষ সর্বদেশের সর্বকালের। সামাজিক রচনায় তিনি আত্মমুগ্ধ নন, সমাজপ্রবুদ্ধ; আত্মচেতনতার বদ্ধ কৌটার ভেতর আটক থাকার কোনো প্রবৃত্তি তার নেই—তিনি বেরিয়ে এসেছেন, হয়ে গেছেন বৃহৎ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে। তার চোখে কান্না নেই, কণ্ঠে ক্ৰোধ আছে। গভীরতা যদি না থাকে বক্তব্যে গভীর আস্থা আছে। যেমন, সংবাদপত্রে :

এই ডায়ারের মত দুর্দান্ত কসাই সেনানী যদি সেদিন আমাদিগকে অমন কুকুরের মত করিয়া না মারিত, তাহা হইলে কি আজিকার মত আমাদের হিম নিরেট প্রাণ অভিমান-ক্ষোভে গুমরিয়া উঠিতে পারিত—না আহত আত্মসম্মান আমাদের এমন দলিত সর্পের মত গর্জিয়া উঠিতে পারিত!

অভিভাষণে :

এই জরাগ্রস্ত সেনাপতিদের বাহন আজ দেশের যুবশক্তি। এই যুবকদের কাঁধে চড়ে এরা যশঃখ্যাতি ঐশ্বর্য্যের ফল পেড়ে খাচ্ছেন। বাহক যুবকবৃন্দ তার অংশ চাইলে বলেন—আমরা ফল খেয়ে আঁটি ফেললে সেই মাটিতে যে গাছ গজাবে তারই ফল তোমরা খেয়ো। এই আঁটির আশায় যুবকদের কণ্ঠ জরার জয়গান করে চেঁচাতে চেঁচাতে আজ বাঁশের চাঁচারিতে পরিণত হয়েছে। চাকরির দরখাস্তের পাতা পেড়ে দলে দলে যুবক দেখতে তীর্থের কাকের মত হাঁ করে বসে আছে—ভোট ভিক্ষা করে তাদের ঠোঁট গেছে ছিঁড়ে, মোট বয়ে কোট হয়েছে নিমস্তিন, পথে ঘুরে ঘুরে পায়জামা পরিণত হয়েছে জাঙ্গিয়ায়—কিন্তু দরখাস্তের পাতায় পোলাও আর পড়ল না।

এরকমের উদাহরণ ওই গদ্যের যে কোনো এলাকাতেই পাওয়া যাবে। হয়তো এ লেখা বারবার পড়ার মতো নয়, কিন্তু একবার পড়লে অনেক দিন মনে রাখবার মতো। ভঙ্গিটি বক্তার, যার দখলে শব্দ আছে অনেক, চিত্র আছে আরও বেশি। আর এ বক্তার কণ্ঠস্বর মনভোলানো। যখন দরকার তৎসম শব্দের উচ্চগ্রামে উঠেছেন, আবার দরকারমতো নেমে এসেছেন দেশি শব্দের সাধারণ লয়ে। অশুভ ও অশোভন ধরিয়ে দিয়েছেন পাঠকের ঔচিত্যবোধের কাছে। শুধু ধরিয়ে দেওয়া নয়, পাঠকের মনে ঘৃণা ও ক্রোধকে চেয়েছেন উদ্দীপ্ত করতে। ‘রুদ্র-মঙ্গল’ থেকে একটি উদাহরণ—

নিশীথ রাত্রে। সম্মুখে গভীর তিমির। পথ নাই। আলো নাই। প্রলয় সাইক্লোনের আর্তনাদ বিভীষিকার রক্ত-সুর বাজাচ্ছে। তারই মাঝে মাকে আমার উলঙ্গ করে নিয়ে চলেছে যে, সে দানবও নয়, দেবতার নয়, রক্ত-মাংসের মানুষ। ধীরে ধীরে পিছনে চ’লেছে তেত্রিশ কোটি আঁধারের যাত্রী।

বাৎসল্যের সঙ্গে এসে মিশেছে বীভৎস। পাশে আছে করুণ। কিন্তু লেখকের প্রধান অভীপ্সা ও পাঠকের সামগ্রিক প্রতিক্রিয়া বাৎসল্য, বীভৎস বা করুণ কোনোটাই নয়, তা রুদ্র। কোথাওবা তিনি বাগ্মীর কৌশলে আলঙ্কারিক প্রশ্নের মধ্য দিয়ে পাঠকের ঔচিত্যবোধকে উত্তেজিত করে তুলেছেন :

তুমি কি চাও?—কুকুর-বিড়ালের মত ঘৃণ্য-মরা মরিতে, না মানুষের মত মরিয়া অমর হইতে? তুমি কি চাও? উষ্ণীষ মস্তকে উন্নত-শীৰ্ষ হইয়া বুক ফুলাইয়া দাঁড়াইয়া পুরুষের মত গৌরব দৃষ্টিতে অসঙ্কোচে তাকাইতে, না নাঙগা শিরে প্রভুর শ্রী পাদ-পদ্ম শিরে মস্তকে ধারণ করিয়া কুব্জপৃষ্ঠে গোলামের মত আনত হইয়া হুজরের মতলবে শরমে চক্ষু নত করিয়া থাকিতে? যদি এই শেষের দিকটাই তোমার লক্ষ্য হয়, তবে তুমি জাহান্নামে যাও! তোমার সারমেয় গোষ্ঠী লইয়া খাও-দাও আর পা চাট।

শেষ বাক্য দুটির উষ্মার মধ্যে যে হিতৈষণার ইচ্ছা আছে তা-ই নজরুল ইসলামকে অমন জনপ্রিয় করেছে। বুক ফুলাইয়া দাঁড়াইয়া পুরুষের মতো গৌরবদৃষ্টিতে অসংকোচে তাকানোর যে চিত্র দিয়েছেন সেটি তার নিজেরও ভঙ্গি—একটি বুনিয়াদি ভঙ্গি। এ জাতীয় রচনার মধ্যে কৌতুকবোধের ছটা এসেও লেগেছে অনেক সময়।

নজরুলের জীবনে অনেক ভঙ্গি আছে। তার যে আলোকচিত্রগুলো রক্ষিত রয়েছে, তার কোথাও তিনি দাঁড়িয়ে আছেন হাবিলদারের পোশাকে, কোথায়ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ছেলেকে কোলে নিয়ে, কোথাও কামানের গায়ে কাঁধ ঠেকিয়ে, কখনো নদীর পাশে নির্জনে। তিনি কবিতা লিখেছেন, গান গেয়েছেন ও শিখিয়েছেন; জনসভায় বক্তৃতা, রাজনৈতিক দল গঠন, ভোট প্রার্থনা, পত্রিকা সম্পাদনা, আড্ডা দেওয়া—কোনোটাই বাকি রাখেননি। তার মধ্যে নৈর্ব্যক্তিকতার অভাব ছিল; তিনি সম্মান চেয়েছেন, জনসমর্থন কামনা করেছেন। সম্মান যেমনই হোক তাতে যেন অহমিকা তৃপ্ত হয়, আর তাতে যেন নাটকীয়তা থাকে। কাজী মোতাহার হোসেনের কাছে তিনি লিখেছিলেন, “অসুন্দর শ্রদ্ধা নিবেদনের শ্রাদ্ধ দিনে-বন্ধু। তুমি যেন যেয়ো না। যদি পারো চুপটি করে বসে আমার অলিখিত জীবনের কোনো একটি কথা স্মরণ করো। তোমার ঘরের আঙিনায় বা আশেপাশে যদি একটি ঝরা পায়ে পেষা ফুল পাও সেটিকে বুকে চেপে বলো—‘বন্ধু, আমি তোমায় পেয়েছি’।” জীবনের ও প্রত্যাশার এ নাটকীয়তা সরাসরি পৌঁছে গেছে তার রচনায়।

অভিমান, চাঞ্চল্য, উত্তেজনা ও নাটকীয়তা ছিল বলেই তিনি নজরুল ইসলাম। নইলে হয়তো তিনি তার নিন্দিত বিএ পাস আপিস করা লোক হতেন, নয়তো যুদ্ধ-ফেরতা সাব-রেজিস্ট্রার হয়ে স্ত্রী, পুত্রকন্যা সমভিব্যাহারে কালাতিপাত করতেন; তিনি কাজী নজরুল ইসলাম হতেন না।

‘আমাদের সবচেয়ে বড় অভাব কথাসাহিত্যের’—তিনি জানতেন। তার প্রথম আত্মপ্রকাশ গদ্যলেখক হিসেবেই (‘আমার সুন্দর প্রথম এলেন ছোটগল্প হয়ে, তারপর এলেন কবিতা হয়ে’)। তিনি যে শুধু গদ্য রচনায় নিয়োজিত থাকেননি তাতে গদ্যের ক্ষতি হয়েছে নিশ্চয়ই, কিন্তু কবিতার লাভ হয়েছে বেশি। সেটা অবশ্য ভিন্ন প্রসঙ্গ।

লেখক : ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজ রূপান্তর অধ্যয়ন কেন্দ্রের সভাপতি

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com