শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
মোস্তফা কামাল
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৯:১৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

স্যার! চাকর কেন মনিব

স্যার! চাকর কেন মনিব

স্বাধীনতার ৫২ বছরে এসেও শাসনব্যবস্থায় প্রভুত্বের তোড় নতুন করে আলোচিত। তা সামাজিকতায়ও ক্ষত তৈরি করছে। মাঝেমধ্যে এক-একটি ঘটনায় তা দগদগে হয়ে উঠছে। স্বাধীনতা দিবসের কদিন আগে স্কুলে এক বিচারকের রীতিমতো ছ্যাঁচড়ামি এবং এক ডিসির জবরদস্তিতে ‘স্যার’ সম্বোধন আদায়ের স্মার্টনেসে ব্রিটিশরাজ ও পাকিস্তানি শাসকের মনমগজ প্রদর্শন হলো। সমাজভিত্তিক না করে রাষ্ট্রকেন্দ্রিক সমাজে ‘স্যার’ ডাকতে আপত্তি করা যে ডাবলস্ট্যান্ডার্ড সেই আলোচনা উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। মূল জায়গায় যাওয়ার আগে আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে কৌশলে।

‘স্যার’ শব্দের মধ্যে ঔপনিবেশিকতার যোগসূত্র। এ সম্বোধনে তৃপ্তদের মগজে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের বসবাস। তারা ‘স্যার’ ডাক বিলোপ নয়, বহাল রাখার যাবতীয় কলাকৌশল জানেন। সেই বুদ্ধিবলে মহাশয়রা লর্ড নইলে অন্তত জমিদারি প্রথা কায়েম রাখছেন। তারা যে সরকারি প্রশাসনে নারীদেরও ‘স্যার’ ডাকার হুকুমত বলবৎ করে ফেলেছেন তা অনেকে ভুলেই গেছেন। এ সুযোগে ‘স্যার-স্যার’ ডাক আদায় করে দাসানুবৃত্তি চরিতার্থ করে চলছেন। কিন্তু, মানুষকে তুষ্ট করতে শোনান তারা পাবলিক সার্ভেন্ট, প্রজাতন্ত্রের চাকর-দাস। আর আদায় করেন প্রভুত্ব। সদ্য স্বাধীন দেশে মিনতির মতো তাদের মগজ থেকে শাসক-প্রশাসকের ভূত নামানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণটি তারা বাজান না, যেখানে তিনি এই স্যারদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘মনে রাখবা তোমরা জনগণের কর্মচারী, ভাববা তোমাদের মাইনের টাকা কোত্থেকে আসে।’ প্রশ্নের পাশাপাশি আমাদের প্রশাসনের বিধানে তাদের প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী করা হয়েছে। কিন্তু, প্রয়োগে তারা প্রভু-লর্ড, মহাশয়।

শাসন তাদের মগজে প্রোথিত। জনগণকে শুধু শাসন নয়, শোষণের যত সুযোগও তাদের কদমে কদমে। এ সুযোগে তারা কেবল শাসান। সংবিধানের তৃতীয় পরিচ্ছেদে ৫৯ (১) অনুচ্ছেদ বলছে, ‘আইনানুযায়ী নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠানসমূহের ওপর প্রজাতন্ত্রের প্রত্যেক প্রশাসনিক একাংশের স্থানীয় শাসনের ভার প্রদান করা হইবে।’ আমাদের সংবিধান রচনা হয়েছিল ইংরেজিতে। পরে অনুবাদ করা হয় বাংলায়। যদিও বলা হয়েছে যে, ইংরেজি ও বাংলা পাঠে সমস্যা দেখা দিলে বাংলা প্রাধান্য পাবে। ইংরেজিতে যেটি লোকাল গভর্নমেন্ট, বাংলায় সেটি করা হয়েছে স্থানীয় শাসন। অথচ এটি হওয়ার কথা ছিল স্থানীয় সরকার। সেটি না করে সরকারকে শাসনে পরিণত করা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় ডিসি মানে ডেপুটি কমিশনার, ডিস্ট্রিক্ট কমিশনার, ডিস্ট্রিক্ট কালেকটরকে তারা বাংলা করেছেন জেলা প্রশাসক নামে। শাসক-প্রশাসক হওয়ার কী মোহ? জেলা প্রশাসকের ইংরেজি তো ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হওয়ার কথা। সংক্ষেপে লিখলে ডিএ। কোনোভাবেই ডিসি নয়। সংবিধানের ২১, ১২০, ১৩৪ ও ১৫২ অনুচ্ছেদ এবং সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ অনুযায়ী তারা যে ‘কর্মচারী’, কর্মকর্তা নন—তা মনে করিয়ে দেওয়ার হিম্মত কার?

ঘটনার ব্যাপকতা ও সমালোচনার তেজে বগুড়ায় এক শিক্ষার্থীর মাকে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনকে বদলি করা হয়েছে। রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওমর ফারুক স্যার (সহযোগী অধ্যাপক) কেন ডিসি নাজনীনকে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করলেন না—এ সংক্রান্ত ঘটনাও সম্ভবত বেশিদূর গড়াবে না। ডিসি, এসপি, ইউএনও ধরনের কেউ কোথাও নিজেকে জনগণের চাকর-সেবক ধরনের একটা বক্তব্য দিয়ে কিস্তি ঘুরিয়ে দেবেন।

স্যারের আক্ষরিক অর্থ—জনাব, মহোদয়, হুজুর, হজরত ইত্যাদি। আর প্রায়োগিকভাবে ‘সম্মানিত’ কেউ। শিক্ষকদের স্যার সম্বোধন করার বিশেষ চর্চা বহুদিনের। ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের শুরু থেকে বঙ্গীয় সমাজে স্যার ডাকা সম্মানসূচক। হালে একশ্রেণির কাছে ‘স্যার’ ডাকটি আদায় করে ছাড়ার বিষয়। সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা পর্যায়ের কিছু ব্যক্তি উন্মুখ হয়েই থাকেন ‘স্যার’ ডাক শুনতে। মোবাইল, ব্যাংক বা বিমানের টিকেটিং কোম্পানিতে আবার ব্যতিক্রম। সেখানে নিচু পর্যায়ের কাস্টমারকেও ‘স্যার’ সম্বোধনের সংস্কৃতি চলে। সেখানেও আবার সীমাহীন সাংঘর্ষিক চিত্র। কাস্টমারদের দিক থেকে কাউন্টারের ওপাশের জনকে নাম ধরে ডাকা দূরে থাক, করজোরে দাঁড়াতে হয়। কে সেবাদাতা, কে গ্রহীতা বোঝার অবস্থা থাকে না। বছর কয়েক ধরে টিভি-রেডিওতে বিচারকের আসনে বসা শিল্পীকেও গুরুজি-ওস্তাদজির বদলে ‘স্যার’ সম্বোধনের রীতি চালু হয়েছে।

এ বঙ্গে ‘স্যার’ চালু করা ব্রিটিশ রাজ্যের দেশেও এখন স্যার সম্বোধনের চল উঠে সরাসরি নাম ধরে ডাকা হচ্ছে। নামের আগে ডক্টর-ডাক্তার, প্রফেসর, মিস্টার যুক্ত করা হয় সম্মানের সঙ্গে। কথায় ব্রিটিশদের গাল দিয়ে এক ধরনের তুষ্টিতে ভুগলেও আমাদের তথাকথিত বরেণ্য তথা ক্ষমতাধররা ব্রিটিশদের চালু করা ‘স্যার’-এর ভূত ধরে রাখতে বড্ড আগ্রহী। কিন্তু, ব্রিটিশদের ‘স্যার’ পরিহারের শিক্ষা নিতে আগ্রহী নন। তারা কর্তৃত্ব, প্রভুত্ব ও আভিজাত্য কায়েম করতে ‘স্যার’ ছাড়তে নারাজ। এর মধ্য দিয়ে রীতিমতো ষাঁড়ে পরিণত হওয়া এই শ্রেণির কাউকে থাপ্পড়-চড় মেরেও ‘স্যার’ ডাক আদায়ের ঘটনা এর আগেও গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। বাদবাকি সবাইকে তারা অধীন, এমনকি চাকর ভাবতেও অভ্যস্ত। এখানে ব্যক্তিবিশেষ বিষয় নয়। বিষয়টি সামন্তবাদী চর্চার। এ ব্যবস্থা অক্ষুণ্ন রেখে কেবল ‘স্যার’ কেন তাদের ‘জাঁহাপনা’ সম্বোধন আদায় করে নিতেও বাধা পড়বে না। শিক্ষকদের এখন স্যার না ডাকলেও সমস্যা হয় না। কিন্তু, তাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘স্যার’ হওয়ার লিপ্সা ভর করছে মারাত্মক পর্যায়ে। কর্মজীবনে প্রশাসক হয়ে ‘স্যার’ হতে যারপরনাই উদগ্রীব তারা। এ মেধাবীদের মধ্যে শিক্ষক-গবেষক হওয়ার চেয়ে শাসক-প্রশাসক হয়ে ‘স্যার’ হওয়ার দৌড়। এর তেলেসমাতিটা বড় তেলতেলে। শাসক-প্রশাসক হওয়ার পরও নিজেদের প্রজাতন্ত্রের চাকর সাজিয়ে মনিব হয়ে যাওয়ার চাতুরীটা বড় চমৎকার। বিদ্বান-গবেষক হওয়ার উপযুক্ত মেধাবানরাও তা বুঝে শাসক-প্রশাসক হয়ে ইহকালীন মওকা মেলার গণিত বুঝে ফেলেছে। শুধু জনগণ নয়, তারা জায়গামতো রাজনীতিকদের ওপর ভর করছে। আয়ত্ত করছেন সরকার বশীকরণের পাশাপাশি জনগণকে চিড়েচ্যাপটা করে নিজেদের সুখ-সম্ভোগের সামর্থ্য।

মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে চমৎকার রেজাল্ট করে মেডিকেল-ইঞ্জিনিয়ারিং বা এগ্রিকালচারে উচ্চশিক্ষা নিয়ে শাসক হওয়ার মোহে তারা কী হারে প্রশাসন ক্যাডারে ঢুকছেন গত কয়েক বছরের হিসাবে চোখ বোলালে চোখ কপালে ওঠার উপক্রম হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং-মেডিকেল-কৃষি বা সায়েন্সের ভালো ভালো সাবজেক্টে পড়ে কেন বিসিএস করে প্রশাসন ক্যাডারে যাওয়ার মোহ তৈরি হয়েছে তা গভীরভাবে উপলব্ধির বিষয়। প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ, কাস্টমস এবং ফরেন সার্ভিস ক্যাডারেও অভিষেক ঘটছে অনেকের। গবেষক-সাধক-উদ্ভাবক হওয়ার মতো উপযুক্ত দেশসেরা এ বিশেষায়িত মেধাবীদের সাধারণ ক্যাডারে ঢুকে অসাধারণ হওয়ার মোহ এমনি-এমনিই জাগছে না। তারা চোখের সামনে দেখছেন কেবল প্রশাসক হওয়ার দাপটে গাড়ি হাঁকাচ্ছেন কিছু লোক। আদাব-সালাম নিতে নিতে কাহিল এই ‘স্যারেরা’। তাদের চোখ ধাঁধানো শানশওকত, বাড়ির আকার আয়তন, সরোবর, প্রটোকল রাষ্ট্রে-সমাজেও সংবর্ধিত। সংস্থাপনের নাম ‘জনপ্রশাসন’ মন্ত্রণালয় হওয়ার পর তারা ‘অফিসিয়ালি’ই জনগণের শাসক-প্রশাসক অধিকর্তা। নামের সঙ্গে শাসক, প্রশাসক, কর্মকর্তা, নির্বাহী ধরনের শব্দ থাকার পরও ‘জনসেবক, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী নামাবলি নিতান্তই একটা চাতুরী। এ ক্যাটাগরির ব্যক্তিদের কেউ ‘স্যার’ ডাকতে বখিলি করলে স্যাররা তো গোসা হবেনই। আর তারা গোসা হলে কী পরিণতি হয় তা ভালো জানেন ভুক্তভোগীরা। এ ভুক্তভোগীর তালিকায় মাঝেমধ্যে মাননীয়রাও পড়ছেন।

স্যার প্রশ্নে বগুড়ার হিরো আলমের নামটা চলে আসছে। সেই উপনির্বাচনে পরাজিত হিরো আলম তীর ছুড়েছিলেন ডিসি-এসপিদের দিকে। বলেন, তাকে স্যার সম্বোধন করতে হবে ভেবে ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে ফেল করিয়ে দিয়েছেন ওই স্যারেরা। ফেল করে ডিসি-এসপিদের হিম্মত বুঝেছেন এই হিরো। ফেল না করেও, সাতবার জিতেও, এমনকি হালনাগাদের প্রভাবশালী এমপি থেকেও চটেছিলেন আওয়ামী লীগের দবিরুল ইসলাম। তাও পথেঘাটে নয়, মহান সংসদে। ডিসি এবং ইউএনওরা অনেক এলাকায় রাজত্ব চালাচ্ছেন অভিযোগ করে ঠাকুরগাঁও-২ আসনের এই এমপি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের ভাবটা এমন যেন জনপ্রতিনিধিরা অবাঞ্ছিত। বলতে-বলতে তিনি বলেই ফেললেন, ‘আমরা (এমপিরা) যেন তাদের (ডিসি-ইউএনও) দয়ায় চলছি। তারাই যেন দেশটার মালিক।’ দবিরুল ইসলামের এ বক্তব্যের কিছুদিন আগে সংসদে এ মানের ক্ষোভ ঝাড়েন ময়মনসিংহ-৩ আসনের আওয়ামী লীগদলীয় এমপি নাজিম উদ্দিন আহমেদ। তার মন্তব্য ছিল, ‘সচিবের পিয়ন পর্যন্ত আমাদের দাম দেয় না। স্যারডা না বইলা পারে না।’ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের তো ভাইরাল হয়েছেন ‘মাঠে খেলছেন আমলারা, রাজনীতিবিদরা সাইডলাইনে বসে খেলা দেখছি’ মন্তব্য করে। আমলাদের ‘জগৎ শেঠ’ বলে অভিহিত করে দলটির আরেক নেতা কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, ‘টেলিকনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী ডিসিদের সঙ্গে কথা বলেন। আর এমপি সাহেবরা বসে থাকেন দূরে। তারপর বলে ডিসি সাব, আমি এমপি, একটু কথা বলব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। এতে এমপিদের কোনো দাম থাকে না। আমরা রাজনীতিবিদরা এখন তৃতীয় লাইনে দাঁড়িয়ে আছি।’ সরকারের আমলানির্ভরতায় ভারাক্রান্ত হয়ে সংসদে তোফায়েল আহমেদ মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা সচিবদের ওপরে। এটা খেয়াল রাখতে হবে।’

বাস্তব ও পারিপার্শ্বিকতায় এসব কথা খেয়াল রাখার দরকার আছে স্যারদের? বিশেষ করে ডিসি-এসপিসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এখন আর এসবে গা মাখেন না। কারণ মাননীয়, সম্মানীয়, মহাশয়, মহোদয় পর্যায়ের এ রাজনৈতিক-প্রশাসনিক ব্যক্তিত্বরা সবাই পরস্পর কমবেশি পরিচিত। তা কেবল তোফায়েল আহমেদ, ফিরোজ রশীদ, দবিরুল ইসলাম বা হিরো আলমই নন, জনগণও জানে-ভোগে। তারা নিত্য দেখছে কথিত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীখ্যাতদের

শাসক-প্রশাসকের বাস্তব রূপ।

লেখক : কলামিস্ট; বার্তা সম্পাদক, বাংলাভিশন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সিলেটে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২

ব্যারিস্টার খোকনের দলীয় পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপি 

বাড়ি ফেরা হলো না বাবা-ছেলের

বাংলাদেশের দাবদাহ নিয়ে যা বলছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম

অনুষ্ঠিত হলো বিইউএইচএস -এর প্রথম সমাবর্তন

ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে : ম্যাখোঁ

ছেলেদের দোষে ডুবছেন মাহাথির মোহাম্মদ

হিজাব আইন না মানায় ইরানে ব্যাপক ধরপাকড়

তীব্র তাপপ্রবাহে বৃষ্টি চেয়ে হাজারো মুসল্লির কান্না

মানব পাচারের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

১০

ঝিনাইদহে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

১১

কারিগরির ফাঁকা সনদ মিলল তোষকের নিচে, গ্রেপ্তার কম্পিউটার অপারেটর

১২

ঝিনাইদহে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

১৩

ভোট দিলে যে শহরে মিলবে ফ্রি বিয়ার, ট্যাক্সিসহ নানা সুবিধা

১৪

কুমিল্লায় পানিতে ডুবে ৪ শিশুর মৃত্যু

১৫

খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফখরুলের সাক্ষাৎ

১৬

চট্টগ্রামে জব্বারের বলী খেলায় চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার বাঘা শরীফ

১৭

সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরলেন শিক্ষামন্ত্রী 

১৮

৭৩ বছরে ছাত্র ইউনিয়ন  

১৯

কৃষক খুনের ঘটনায় থামছে না ভাঙচুর ও লুটপাট

২০
*/ ?>
X