সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২২, ০১:১৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

মওলানা ভাসানী ও তাঁর রাজনীতি

মওলানা ভাসানী ও তাঁর রাজনীতি

স্বাধীনতার পর ভাসানী নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার কাজে। সেটি ইসলামী শিক্ষার চর্চার কেন্দ্র ছিল না, ছিল একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠারই প্রকল্প। এ সময়ে তিনি সঙ্গে পেয়েছিলেন ‘সাম্যবাদী ইসলামে’র কয়েকজন প্রবক্তাকে। এঁদের মধ্যে একজন হলেন কথাসাহিত্যিক শাহেদ আলী। ভাসানীর তখনকার সার্বক্ষণিক সঙ্গী সৈয়দ ইরফানুল বারী জানাচ্ছেন : “একদিন সবার উপস্থিতিতে অধ্যাপক শাহেদ আলী আক্ষেপ করে বললেন, হুজুর, আপনি আমাদেরকে সাথে না রেখে রাখলেন কমিউনিস্টদের। সেজন্যে আপনার কাছে আমরা আসতে পারিনি। হুজুর একটি মাত্র বাক্যে পুরা ইতিহাসের কথা বলে দিলেন। বললেন, তোমরা আমার সাথে মীর্জাপুর পর্যন্ত যেতে পারতা। এর পর আমাকে ছেড়ে দিতা। কমিউনিস্টগণ তাও টঙ্গী পর্যন্ত গিয়ে আমাকে ছেড়েছে। রাজধানী ঢাকায় কেউ যেতে পারল না।” তাঁর নিজের লক্ষ্য ছিল বাহিনী নিয়ে রাজধানীতে হানা দেওয়া।

১৯৭০ সালে সেপ্টেম্বর মাসে মওলানা ভাসানী গিয়েছিলেন রাওয়ালপিন্ডিতে; ইয়াহিয়া খানের আগ্রহে, এবং যাদু মিয়ার উৎসাহে। যাদু মিয়া সঙ্গে যাচ্ছেন দেখেই হবে, মওলানা ভাসানী সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর বিশেষ আস্থাভাজন আবদুল জলিলকেও। সাক্ষাৎকারটির ব্যাপারে জলিল সাহেবের মনে শঙ্কা ছিল। আলোচনা বিরূপ ধরনের হলে ইয়াহিয়া খান ন্যাপ নেতাদের আটকে রাখতেও পারেন, এমন সম্ভাবনা তিনি ভেবেছিলেন। সে ক্ষেত্রে আবদুল জলিলের সিদ্ধান্ত ছিল, যে করেই হোক, গোপনে পিন্ডি থেকে বেরিয়ে গিয়ে তিনি বেলুচনেতা বেজেঞ্জোর কাছে চলে যাবেন, এবং আত্মগোপন করে থাকবেন। বাস্তবে অবশ্য সেরকম কিছু ঘটেনি। যা ঘটেছিল আবদুল জলিলের বর্ণনাতে তা এরকম : “হলরুমে ঢুকতেই ইয়াহিয়া এগিয়ে এসে মওলানার সঙ্গে করমর্দন করলো। তারপর নিজ থেকেই পরিচয় করিয়ে দেয়ার আগেই যাদু ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে হেসে বলে উঠলো, ‘হ্যালো যাদু’! সাথে সাথে যাদুর গালটা দুই আঙুলে একটু চাপ দিল। বহুদিন পর ইয়ারদোস্তের সাথে দেখা হলে যেমন অনেকে করে।” এরপর যখন আলোচনা শুরু হলো, মওলানা তখন নিজে থেকেই ইতিহাস, ভূগোল, রাজনীতি, পূর্ব পাকিস্তানের অভাব অভিযোগ, বন্যার অভিশাপ ইত্যাদি নিয়ে এতসব প্রসঙ্গে কথা বলতে থাকলেন যে, ইয়াহিয়া খান কোনো প্রস্তাব উত্থাপনের সুযোগই পেলেন না।

তবু একপর্যায়ে আসন্ন নির্বাচন ও ছয় দফা নিয়ে কথা পাড়লেন প্রেসিডেন্ট। এই দফারফা না করে ইলেকশন দিলে পাকিস্তানের সংহতি ও অখণ্ডতা কি রক্ষিত করা যাবে? কী ভাবছেন শ্রদ্ধেয় মওলানা? এবার মওলানা গামছার কোণ থেকে গিঁট খুলে পান মুখে দিলেন, একটা নয়, দুটো। ইয়াহিয়া হতভম্ব হয়ে চেয়ে রইল। তারপর আয়েশ করে পান চিবোতে চিবোতে যা বলতে লাগলেন, চোস্ত উর্দুতে তার সারমর্ম এই রকমের : “আরে সদর সার, অখণ্ডতা রক্ষার প্রশ্ন কিসের? আমরা হলাম এক দিল, এক আত্মা, এক দেশ। আরে, প্রথমেই তো ষড়যন্ত্র করে লাহোর প্রস্তাবে ‘টু স্টেটস’ দুইটা রাষ্ট্র লিখে রেখেছিল। আমাদের আলাদা দুই দেশ বলেছিল, কিন্তু দেখো আমরা সেই উদ্দেশ্য ভণ্ডুল করে গত চব্বিশ বছর এক দেশ, এক ঘর, এক মোকামে আছি। আলাদা করার চেষ্টা তো সেই কবেই নস্যাৎ হয়ে গেছে। তদুপরি তোমার দেওয়া ছক বা খ.ঋ.ঙ তার মধ্যেই তো ইলেকশন করতে রাজি সবাই। চিন্তা কিসের? তারপর ইয়াহিয়ার খুব কাছে একটা চেয়ারে সরে বসে, নাটকীয়ভাবে কানের কাছে মুখ নিয়ে বললেন, ‘মুজিবকে ডরাও? আরে, ওকে একবার ইশারা দাও জিতলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বানাবে, বাস, দেখো আর কিছু চিন্তা করতে হবে না তোমার, যা সামলাবার মুজিবই সামলাবে; আর দেখো, তোমাকেই প্রেসিডেন্ট থাকতে বলবে! হা-হা-হা’।” গলা ফাটিয়ে হাসতে হাসতে উঠে দাঁড়িয়ে পড়লেন মওলানা। “মোলাকাতের ইতি টেনে দিলেন। যেন এই অতীব জরুরি বার্তাটা ইয়াহিয়াকে দিতেই দেড় হাজার মাইল ছুটে এসেছেন।”

সত্তরের নির্বাচনে মওলানা ভাসানী আস্থা হারিয়েছিলেন। সত্তরের নির্বাচন ছিল অতীব গুরুত্বপূর্ণ। সেটিই ছিল পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচন। এ নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হবেন তারা দায়িত্ব পাবেন পাকিস্তানের জন্য কার্যকর একটি সংবিধান রচনার। প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাচন হবে, তার ফলে কেন্দ্রীয় সংসদে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৬২টির বরাদ্দ পেল পূর্ব পাকিস্তান, পশ্চিম পাকিস্তানের ভাগে পড়ল বাকি ১৩৮টি; সংরক্ষিত ১৩টি নারী আসনের মধ্যেও পূর্ব পেল ৭টি, পশ্চিম ৬টি। কাজেই পূর্ব পাকিস্তানের যে সুবিধা হবে তা বোঝা গেল। আওয়ামী লীগের ছয় দফা এরই মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে, এবং সে জনপ্রিয়তা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পশ্চিমে ভুট্টো উগ্র জাতীয়তাবাদের সঙ্গে সমাজতান্ত্রিক দাবির মিশাল ঘটিয়ে বিপুল বিক্রমে নির্বাচনী প্রচার চালাতে থাকলেন, এবং তার জনপ্রিয়তাও বাড়তে থাকল।

রুশপন্থি ন্যাপ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা আগে যা করেছে এবারও তাই করবে, নির্বাচনে অংশ নেবে। প্রশ্ন দাঁড়াল, ভাসানীপন্থি ন্যাপ কী করবে? ন্যাপের পশ্চিম পাকিস্তানের অংশ নির্বাচনে অংশগ্রহণের পক্ষে; কারণ উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ ও বেলুচিস্তানে তাদের সংগঠন আছে; সিন্ধু, এমনকি পাঞ্জাবেও তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম। আবার পূর্ব পাকিস্তানের ন্যাপের একাংশও ছিল নির্বাচনের পক্ষে, এদের নেতা ছিলেন যাদু মিয়া। এরা নিজেদের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তায় ও মওলানার সমর্থনে জিতে আসতে পারবেন বলে আশা করছিলেন। কিন্তু মওলানা নির্বাচনে যেতে অসম্মত ছিলেন। নির্বাচনের আগেই তিনি আওয়াজ তুলেছিলেন, ‘ভোটের আগে ভাত চাই নইলে এবার রক্ষা নেই’; এবং ‘কেউ খাবে তো কেউ খাবে না তা হবে না, তা হবে না’—এ দুটির মধ্যে দ্বিতীয় স্লোগানটি ছিল যেমন কাব্যিক তেমনি জনপ্রিয়।

তবে তিনি নিজের সিদ্ধান্ত দলের ওপর চাপিয়ে দেননি। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ন্যাপের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনা, বক্তৃতা, বাগ্‌বিতণ্ডা শেষে ভোটাভুটির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে ন্যাপ নির্বাচনে যাবে। এর পর পূর্ব পাকিস্তান কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় যে, হ্যাঁ যাবে, তবে নামকাওয়াস্তে, মুখরক্ষার জন্য। আসলেও সে অংশগ্রহণটা দাঁড়িয়েছিল নেহায়েত ওই নামকাওয়াস্তেই। মওলানা কোনো প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেননি। বস্তুত ভাসানী ন্যাপ ওই সাধারণ নির্বাচনে ছিল না; পূর্ব পাকিস্তানে নয়, পশ্চিম পাকিস্তানেও নয়। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ১৯৭০-এর অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে ভাসানী ন্যাপ আর এক থাকছে না, পূর্ব-পশ্চিমে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠল, এর পর কী হবে? উপস্থিত নেতা এবং সাংবাদিক সকলের মনে ও মুখে ওই একই প্রশ্ন। জয়নাব আখতার জানাচ্ছেন, একপর্যায়ে সেই প্রসঙ্গ ভাষায় উচ্চারিত হলো। মওলানা দেরি না করে বললেন, “বাংলা একদিন স্বাধীন রাষ্ট্র হবেই, যা ১৯৪৭ সালেই হবার কথা ছিল।”

বামপন্থি মহলেরও কেউ কেউ এখনো মনে করেন যে ভাসানী ন্যাপের পক্ষে নির্বাচনে অংশ না নেওয়াটা ঠিক হয়নি; কারণ অংশ নিলে ন্যাপ কিছু আসন অবশ্যই পেত এবং তার ফলে একাত্তরের মুক্তিসংগ্রামটা একদলীয় থাকত না, জাতীয় চরিত্র পেত। তাদের এ ধারণা কিন্তু ঠিক নয়। ন্যাপ কিছু আসন পেত ঠিকই, কিন্তু যারা জয়ী হতেন তারা কতটা বিশ্বাস রক্ষা করতেন তা বলা কঠিন। মওলানা ভাসানী চাচ্ছিলেন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার পক্ষে একটা স্পষ্ট ও অবিভক্ত রায় বেরিয়ে আসুক, যেখান থেকে আওয়ামী লীগ সরে আসতে পারবে না এবং পরবর্তী সময়ে বামপন্থিরা তো মাঠে থাকবেই। ঠিক সেটাই ঘটেছিল। রায় বের হয়ে এসেছিল স্বাধীনতার পক্ষে এবং সাতচল্লিশে যা ঘটেনি, অথচ ঘটতে পারত, সেটাই ঘটেছে; বাংলা স্বাধীন হয়েছে। তবে বামপন্থিরা সেভাবে মাঠে থাকতে পারেনি যেভাবে থাকলে ইতিহাস হয়তো ভিন্ন দিকে এগোত।

নির্বাচনে ইসলামপছন্দ দলগুলো যে একেবারেই নগণ্যসংখ্যক ভোট পেয়েছিল তা কিন্তু নয়; সব মিলিয়ে তাদের প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ছিল ২২ শতাংশেরও বেশি; যদিও তারা একটি আসনও পায়নি। চীনপন্থি ন্যাপ দাঁড়ালে ভোট ভাগ হতো এবং বেশ কিছু আসনে, যেখানে ইসলামপছন্দরা দ্বিতীয় স্থানে ছিল সেখানে, হয়তো তারা জয়ীও হয়ে যেত। সুবিধা হতো সামরিক শাসকদের। তারা এই দলগুলোকে কেবল নৈতিক সমর্থন নয়, আর্থিক সাহায্য দিয়েছিল বলে জানা যায়।

এ দেশের বামপন্থি আন্দোলনে মওলানার ভূমিকার সঙ্গে অনেকে চীনের বিপ্লবে সান ইয়াৎ সেনের ভূমিকার তুলনা করেছেন, সে তুলনা মোটেই অযথার্থ নয়। যে রুশপন্থিরা তাঁর সমালোচনার ব্যাপারে কখনোই কোনো কুণ্ঠা প্রকাশ করেননি, ইতিহাস লেখার সময় তাঁরাও পরোক্ষে হলেও স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন যে মওলানার আওয়াজগুলো খুবই কার্যকর ছিল। যেমন শেখর দত্ত লিখছেন, “কারফিউ ভেঙে গণজাগরণকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল মূলত বস্তিবাসী নারীপুরুষ। গ্রামাঞ্চলে কৃষক নারীপুরুষকে যদি জাগিয়ে তুলতে সক্ষম না হতো তবে বিজয় অর্জনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হতো না। কেউ খাবে তো কেউ খাবে না-তা হবে না, জয় সর্বহারা ও দুনিয়ার মজদুর এক হও, ছিল জনসাধারণের জনপ্রিয় স্লোগান।”

কেবল জনপ্রিয় নয়, স্লোগানগুলো ছিল নাড়া দেওয়ারও। সাড়া পড়েছিল বিপুলভাবে। সাড়া পড়ার অনেক দৃষ্টান্ত আছে। সেগুলোর একটি হলো স্বাধীনতার পরে সংসদে সংবিধান গ্রহণ উপলক্ষে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর প্রদত্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তৃতা। তাঁর বক্তৃতাতে তিনি বলেছিলেন, “কেউ খাবে কেউ খাবে না তা হতে পারে না।” বহু মানুষের স্মৃতিতে যেমন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিতেও তেমনি আওয়াজটা জীবন্ত ছিল।

লেখক : ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সকালেই যেসব জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

পুকুরে মাছের সঙ্গে উঠে এলো মরদেহ

স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ওপর হামলা, স্বর্ণালংকার ও টাকা লুটের চেষ্টা

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণ করছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান

বাকেরগঞ্জে অনুমোদন বিহীন দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল বন্ধের দাবি

টিসিবির পণ্যের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক

বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় শালিকে কোপাল দুলাভাই 

৯ মাসেই রির্জাভ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার বিক্রি

বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

চাঁদপুরে ২ শ্রমিককে ইট ভাটায় আটকে রাখার অভিযোগ

১০

অপরাধী শনাক্ত করবে সিসি ক্যামেরা

১১

ই-সিগারেট / নতুন মোড়কে পুরনো সর্বনাশ

১২

নন্দীগ্রামে প্রেসক্লাবের তুহিন সভাপতি, হানিফ সম্পাদক

১৩

মসজিদে নামাজের সময় এসি বিস্ফোরণ

১৪

সপ্তাহের ব্যবধানে একই এলাকায় আবারও খুন

১৫

বদরের শিক্ষায় ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে : সেলিম উদ্দিন

১৬

মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেই সাপ

১৭

‘এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন’

১৮

‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কারের যে প্রমাণ দিল ইউনূস সেন্টার

১৯

মেহেদির রং শুকানোর আগে প্রাণ গেল যুবকের

২০
*/ ?>
X