যে বই পড়া উচিত

যে বই পড়া উচিত

অবসরে বই হতে পারে আপনার সময় কাটানোর সর্বোত্তম উপায়। এমন দারুণ কিছু বই রয়েছে; যার আকার-আয়তন-ওজন একটু বেশিই। ফলে বইগুলো দেখে অনেক সময় পড়ার আগ্রহে ভাটা পড়তে পারে। আবার এক জায়গায় বসে পড়ার পর্যাপ্ত সময়েরও থাকে অভাব। তারপরও পাঠককে এসব মোটা মোটা বই পড়ার কথা ভাবতে বাধ্য করে কিছু বই। সে ক্ষেত্রে অবশ্য এখন ব্যবস্থা রয়েছে ই-রিডার। অর্থাৎ এসব মোটা বইয়ের প্রতি যাতে অনীহা তৈরি না হয়, তাই ই-রিডারের যুগে হাজার হাজার শব্দ পকেটে নিয়ে চলতে পারবেন পাঠক। এখানে বিশ্বসাহিত্যের কয়েকটি অসাধারণ উপন্যাসের নাম দেওয়া হলো; যা পাঠক তাদের অবশ্যপাঠ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারেন।

চার্লস ডিকেন্সের ‘ব্লিক হাউস’ (৯২৮ পৃষ্ঠা): ‘ব্লিক হাউস’ হলো ডিকেন্সের দীর্ঘতম উপন্যাস। বইটি জার্নডাইস পরিবারের গল্পকে ঘিরে লেখা হয়েছে। যাদের আশা উত্তরাধিকারসূত্রে সম্পদ পাওয়া। কিন্তু সেই স্বপ্ন বারবার ব্যর্থতার মুখে পড়ে। কারণ জার্নডাইস অ্যান্ড জার্নডাইস মামলাটি দীর্ঘকাল ধরে আইনি মারপ্যাঁচের মধ্যে চলছে এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে চলে আসছে। মামলাটি এতটাই জটিল হয়ে পড়েছে যে, এখন বেঁচে থাকা উত্তরাধিকারদের কেউ এ মামলার কিছু বুঝতে পারে না। ডিকেন্স এ বইটিতে ‘কোর্ট অব চ্যান্সেরি’ নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন, এ আদালতে একটি মামলা কয়েক দশক ধরে চলতে পারে। উপন্যাসটিতে রয়েছে অসংখ্য চরিত্র এবং বেশ কয়েকটি পার্শ্বকাহিনিও।

হানিয়া ইয়ানাগিহারার ‘আ লিটল লাইফ’ (৭৩৬ পৃষ্ঠা): এ বইটি ম্যান বুকার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল। উপন্যাসটি গড়ে উঠেছে চার বন্ধুর জীবনের গল্প ঘিরে। কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করে তারা অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে নিউইয়র্ক সিটিতে যায়। জেবি হলেন শিল্পী। উইলিয়াম একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী অভিনেতা এবং ম্যালকম একজন স্থপতি। তবে জুড নিজেকে ক্ষতি করতে চাওয়া একজন আইনজীবী; যার রয়েছে একটি রহস্যময় অতীত—বইটি জুডের এ গল্পেই দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। গল্পটি যতই এগিয়ে যায় জুডের দুর্ভোগ ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি, ততই প্রকাশ পেতে থাকে। গল্পটি মারাত্মক কষ্টের এবং মন খারাপ করে দেওয়ার মতো। যেখানে কয়েক দশকের ঘটনা বলা হয়েছে এবং বইটির শেষ পৃষ্ঠাগুলো পড়ার সময় আপনার চোখ বেয়ে কান্না আসবেই। অনেক পুরোনো বইতেও অবিশ্বাস্যরকম আধুনিকতা বোধ ফুটে ওঠে। মিগুয়েল ডি সার্ভান্তেসের ‘ডন কিয়োটে’ (৯৭৬ পৃষ্ঠা): ডন কিয়োটে একজন মধ্যবয়সী স্প্যানিশ ভদ্রলোক, যিনি বীরদের অনেক রোমান্স গাথা পড়েন। সেই থেকে তিনি তলোয়ার তুলে একজন ভবঘুরে বীর হয়ে ওঠার সিদ্ধান্ত নেন। নিজের পুরোনো ঘোড়া এবং বাস্তববাদী মানসিকতা নিয়ে বিশ্বব্যাপী অভিযাত্রার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন। ডন কিয়োটের ‘বীরত্বপূর্ণ’ কাজের মধ্যে রয়েছে উইন্ডমিলের সঙ্গে লড়াই করার চেষ্টা করা, যেগুলোকে তিনি দৈত্য ভেবে ভুল করেছিলেন এমনকি তিনি একপাল ভেড়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামেন। এ প্রভাবশালী সাহিত্যকে প্রায়ই প্রথম আধুনিক উপন্যাস হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com