মাহমুদ হাসান
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৩, ১০:০৬ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

রোজা ফরজ যাদের ওপর

রোজা ফরজ যাদের ওপর

মুসলিম সমাজে শবেবরাতের পরই শুরু হয় পবিত্র রমজানের আবহ। পুরো একটি মাস ভোররাত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার ও কিছু কাজ বন্ধ রাখতে হয়। মহান আল্লাহর কাছে পুণ্যের আশায় সবাই মনোনিবেশ করে উপবাস পালনে। রোজাহীন রমজানের সব আমল ও ইবাদতই অসম্পূর্ণ। রোজার গুরুত্ব সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা রাখা ফরজ, যেমন ফরজ ছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর।’ (সুরা বাকারা : ১৮৩)। তবে কোন শ্রেণির মানুষের জন্য এ সিয়াম সাধনা ফরজ করা হয়েছে তা জানা থাকে না অনেকের। এ বিষয়ে ইসলাম সুস্পষ্ট বর্ণনা দিয়েছে। কোরআন-হাদিসের আলোকে ফুকাহায়ে কেরাম কোনো ব্যক্তির ওপর রোজা ফরজ হওয়ার জন্য ছয়টি শর্ত বর্ণনা করেছে।

এক. মুসলমান হওয়া। অমুসলিমদের জন্য ইসলামে রোজা রাখার কোনো হুকুম নেই।

দুই. প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া। অপ্রাপ্তবয়স্কের জন্য রোজা ফরজ নয়। তবে মুসলিম ছেলেমেয়ের বয়স সাত বছর হলেই রোজা রাখার ব্যাপারে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। যদি তারা রোজা পালনে সক্ষম হয়। সাত বছর বয়স থেকে ছেলেমেয়ে রোজা রাখলে তারা সওয়াব পাবে। আর ভালো কাজে উৎসাহিত করার কারণে উৎসাহদাতা বা বাবা-মাও সওয়াব পাবেন।

তিন. জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া। অর্থাৎ মস্তিষ্ক বিকৃত (পাগল) লোকের ওপর রোজা ফরজ নয়।

চার. নিজ ঘরে অবস্থানকারী হওয়া। কোনো ব্যক্তি যদি সফরে বের না হয়, তবে তার জন্য রোজা রাখা আবশ্যক। যদি কেউ দীর্ঘ সফরে বের হয় তবে তার জন্য রোজার বিধানকে সহজ করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ কিংবা সফরে থাকে তবে সে অন্য সময় তা পালন করবে।’ (সুরা বাকারা : ১৮৪)।

পাঁচ. শারীরিকভাবে রোজা রাখার সক্ষমতা থাকা। যদি কোনো ব্যক্তি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয় কিংবা রোজা রাখলে জীবননাশ হতে পারে—এমন পরিস্থিতিতে তার জন্যও রোজার বিধান সহজ করা হয়েছে। অর্থাৎ তখন রোজা না রেখে সুস্থ হওয়ার পর সে রোজা রাখলেও হবে। আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ কিংবা সফরে থাকে তবে সে অন্য সময় তা পালন করবে।’ (সুরা বাকারা : ১৮৪)।

ছয়. নারীরা হায়েজ ও নেফাস থেকে মুক্ত থাকা। নারীদের মাসিক ঋতুস্রাবকে হায়েজ বলা হয়। হায়েজ অবস্থায় নারীরা অপবিত্র থাকে। এ সময় তাদের জন্য রোজা রাখার হুকুম নেই। আর সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর নারীদের প্রথম ৪০ দিন হলো নেফাসের সময়। এ দুই সময়ে নারীদের রোজা বিধান থেকে মুক্ত রাখা হয়েছে।

উল্লিখিত কারণ ছাড়া যদি রমজানের ফরজ রোজা কেউ ভাঙে তাহলে কঠিন গুনাহের ভাগীদার হবে সে। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো বিশেষ ওজর ছাড়া রমজানের একটি রোজাও ছেড়ে দিল, সে যদি তদস্থলে সারা জীবনও রোজা রাখে, তবু (রমজানের ওই একটি রোজার হক আদায় হবে না) সে আল্লাহর সামনে এমনভাবে হাজির হবে যে, আল্লাহ চাইলে ক্ষমা করবেন বা শাস্তি দেবেন।’ (মুজামে কাবির : ৯৫৭৪)।

রাব্বে কারিম আমাদের সবাইকে প্রতিটি রোজা রাখার তাওফিক দান করুন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জেলেনস্কির মিথ্যাচার ফাঁস, ইউক্রেনে কোণঠাসা পশ্চিমারা

ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল

ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম পোস্টের লাইক লুকিয়ে রাখা যাবে আরও সহজে

ইরানের হাতে রাশিয়ার অস্ত্র, এবার কী করবে ইসরায়েল

বাসচাপায় পিকআপের চালক-সহকারী নিহত

মৃত ব্যক্তিকে ব্যাংকে নিয়ে টাকা তোলার চেষ্টা, নারী আটক

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে লড়বে কারা?

জেনে নিন, কী আছে আজ আপনার ভাগ্যে?

৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েও পার্সেল চেয়েছিলেন পরীমণি

গাজীপুরে আগুনে পুড়ল ৪ গুদাম

১০

‘গিনেস বুকে স্থান পাবে বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট’ 

১১

ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাঠে নামছে ডিএনসিসি

১২

চেয়ারে বসা নিয়ে তর্কে স্কুলশিক্ষার্থী খুন

১৩

আজ শুরু হচ্ছে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ

১৪

দুপুরের মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড় হতে পারে যেসব অঞ্চলে

১৫

ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

১৬

১৮ এপ্রিল : নামাজের সময়সূচি

১৭

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

১৮

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের ভাগ্য চূড়ান্ত হবে কাল

১৯

লুনিনের কৃতিত্বে সেমিতে রিয়াল

২০
*/ ?>
X