মোনায়েম সরকার
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

মুক্তিযুদ্ধের সূচনা পর্ব

মুক্তিযুদ্ধের সূচনা পর্ব

দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে এবং সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসকদের কূটকৌশলের পরিণতিতে ভারতবর্ষের রাজনৈতিক বিভক্তি হয়েছিল ১৯৪৭ সালে। ওই বছর ১৪ ও ১৫ আগস্ট পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি রাষ্ট্রের পত্তন হয়। ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সিন্ধু, পাঞ্জাব, বেলুচিস্তান ও সীমান্ত প্রদেশ এবং পূর্ববাংলা সমন্বয়ে গঠিত হবে একটি রাষ্ট্র-ফেডারেশন, এমন প্রত্যাশা ছিল সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের, বিশেষভাবে মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে। কিন্তু হলো এক রাষ্ট্র পাকিস্তান। ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন, ভাষা-সংস্কৃতি আলাদা কিন্তু রাষ্ট্র একটি—পাকিস্তান। ধর্ম ছিল পাকিস্তানের ঐক্যসূত্র। পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতাদের হিসাব-নিকাশ পূর্ববাংলার বাঙালি নেতাদের কাছেও খুব স্পষ্ট ছিল না। নবগঠিত পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর সংকীর্ণ স্বার্থের বিষয়টি বাঙালির বুঝতে একটু সময় লেগেছে। পাঞ্জাবিদের অপ্রতিরোধ্য প্রভাবের কাছে সিন্ধি, বালুচ ও পাঠান জনগণের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার আকাঙ্ক্ষাও মার খেয়েছে।

পাকিস্তানের সুখস্বপ্নে বিভোর শিক্ষিত বাঙালিদের মোহভঙ্গ হতে খুব বেশি সময় লাগেনি। সূচনাতেই আঘাত আসে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির ভাষা বাংলাকে উপেক্ষা করে ‘উর্দু, কেবল উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’—পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলি জিন্নাহর অপরিণামদর্শী এই উচ্চারণে। পাকিস্তানের স্রষ্টাই পাকিস্তান ধ্বংসের বীজ বপন করেছিলেন রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে সংখ্যালঘুদের পক্ষ নিয়ে। বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্ফুরণ ঘটে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি ও মর্যাদাদানের আকাঙ্ক্ষাকে কেন্দ্র করে। একই সঙ্গে পূর্ববাংলার জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দাবিগুলো উপেক্ষিত হওয়ার অবশ্যম্ভাবী পরিণতিতে বাঙালির মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি এবং তা ধাপে ধাপে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে অগ্রসর হয়।

১৯৪৮-৫২ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলন, পাকিস্তানে কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধকরণ, ১৯৫৪-এর প্রাদেশিক আইন পরিষদের নির্বাচনে শাসক মুসলিম লীগের শোচনীয় পরাজয় এবং ২১ দফার ভিত্তিতে হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্টের ঐতিহাসিক বিজয়, পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র রচনা ও সাধারণ নির্বাচন দিতে টালবাহানা এবং বাঙালিকে চিরপদানত রাখার অপকৌশলের প্রতিবাদ, ১৯৫৮ সালে সেনাপ্রধান আইয়ুব খানের ক্ষমতা দখল ও সামরিক শাসন জারি, ১৯৬২ সালে পূর্ববাংলার সংগ্রামী ছাত্রসমাজের ‘আইয়ুব শাহি’বিরোধী আন্দোলনের সূচনা, ১৯৬৪ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধিয়ে পূর্ববাংলার রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ধরপাকড়, ১৯৬৫ সালে সংঘটিত ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা প্রস্তাব উত্থাপন, এই ৬ দফার বিরুদ্ধে আইয়ুবের ‘অস্ত্রের ভাষা’ প্রয়োগের হুমকি প্রদান, আওয়ামী লীগ নেতাদের ব্যাপক হারে গ্রেপ্তার, ১৯৬৮ সালে শেখ মুজিবকে প্রধান আসামি করে আগরতলা মামলা দায়ের, এ মামলার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিচালনা, ১১ দফাভিত্তিক সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে ১৯৬৯ সালে গণআন্দোলন এবং গণঅভ্যুত্থান—সবকিছুই ছিল বাংলার বঞ্চিত-নিপীড়িত-শোষিত জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার স্থির লক্ষ্যে পরিচালিত আন্দোলনের একেকটি ধাপ।

আগরতলা মামলা প্রত্যাহারে পাকিস্তানি সামরিক শাসকগোষ্ঠীর নতিস্বীকার এবং শেখ মুজিবসহ মামলায় অভিযুক্ত সবাইকে মুক্তিদানের ঘটনায় সংগ্রামী বাঙালির মনে নতুন আস্থা ও আশাবাদ তৈরি করে। একনায়ক সামরিক শাসক আইয়ুবের বিদায় এবং আরেক সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খানের ক্ষমতা দখল মূলত পাঞ্জাবি কুচক্রীগোষ্ঠী চক্রান্তেরই পরিণতি—এ কথা বুঝতে বাংলার মানুষের বেগ পেতে হয় না। ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে দৃঢ়, সাহসী ও আপসহীন নেতৃত্বদানের কারণে শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির অপ্রতিদ্বন্দ্বী জননায়ক হিসেবে পরিণত হন এবং ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত হন।

১৯৭০ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশে ঘটে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস। সমুদ্র-উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকায় বয়ে যাওয়া শতাব্দীর ভয়ংকর সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি সারা দুনিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করে। কিন্তু পাকিস্তানের গণবিরোধী শাসকগোষ্ঠী বিপুল প্রাণহানিকেও নিজেদের স্বার্থরক্ষার অনুকূল বলে এক ধরনের আত্মপ্রসাদ লাভ করে। তারা ভেবেছিল বাংলাদেশের লোকসংখ্যা হ্রাস পেলে তাদের সংকীর্ণ শোষণমূলক স্বার্থ রক্ষা পাবে এবং অবাধ শাসন-শোষণ কায়েম রাখতে সহায়ক হবে। বাংলার মানুষ তথা বাঙালিকে মনেপ্রাণে সমমর্যাদার নাগরিক বলে গ্রহণ করতে তাদের ছিল চরম অনীহা। প্রচার-প্রচারণায় বাংলাদেশের জনগণ এবং অনেক বাঙালি রাজনৈতিক নেতাকে ‘হিন্দুস্থানের চর’ অভিধায় অপমান করতে তাদের বিন্দুমাত্র দ্বিধা ছিল না।

পক্ষান্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার লক্ষ্যে সংকল্প গ্রহণ করে সেভাবে মানুষকে প্রস্তুত করতে থাকেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পাকিস্তানের কায়েমি শাসকগোষ্ঠীর সব ষড়যন্ত্র ভণ্ডুল করে দিয়ে বাংলার মানুষ আওয়ামী লীগের পক্ষে ঐতিহাসিক রায় প্রদান করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হন নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভকারী আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের নেতা। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আইনি অধিকার অর্জন করেন। কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক-বেসামরিক আমলাচক্র নির্বাচনের এ ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকার করে। সামরিক শাসকগোষ্ঠী শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার পরিকল্পনা থেকে টালবাহানার আশ্রয় নেয়। এরই অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ৩ মার্চ ঢাকায় পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন আহ্বান করেন। কিন্তু সত্তরের নির্বাচনে পশ্চিম পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলি ভুট্টো অধিবেশন বর্জনের হুমকি দেন। তিনি ঘোষণা করেন, তার দলকে ক্ষমতার অংশীদার না করে অধিবেশন অনুষ্ঠানের চেষ্টা হলে গণপরিষদ কসাইখানায় পরিণত হবে। আসলে ভুট্টোর প্ররোচনায়ই ১৯৭১ সালের ১ মার্চ দুপুর ১টা ৫ মিনিটে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন।

গণপরিষদ অধিবেশন স্থগিত ঘোষণার খবর লোকমুখে দাবানলের মতো ঢাকাসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্র-জনতা। ওইদিন ১৯৭০-এর নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকার দুর্গত মানুষকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে ঢাকা স্টেডিয়ামে (বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম) কমনওয়েলথ বনাম পাকিস্তান একাদশের ক্রিকেট খেলা চলছিল। দুপুর ১টা ৫ মিনিটে রেডিওতে ৩ মার্চের অধিবেশন স্থগিতের ঘোষণা শুনে ঢাকা স্টেডিয়াম থেকে হাজার হাজার দর্শক গগনবিদারী ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে দিতে বেরিয়ে আসে। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা অবস্থা বেগতিক দেখে মাঠ থেকে দৌড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ক্লাস বর্জন এবং বিভিন্ন ছাত্রাবাস থেকে বের হয়ে কলাভবন প্রাঙ্গণে বটতলায় জমায়েত হয়। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা পাকিস্তানের জাতির জনক বলে পরিচিত মোহাম্মদ আলি জিন্নাহর ছবি এবং পাকিস্তানি পতাকায় আগুন ধরিয়ে তা পুড়িয়ে ফেলে। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা জঙ্গি মিছিল করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নেতারা এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখান থেকে পল্টন ময়দানে যায়। সেখানে তারা সভা শুরু করে দেয়। বিক্ষুব্ধ জনতাও সে সভায় চারদিক থেকে এসে যোগ দিলে তা বিশাল আকার ধারণ করে। ছাত্র ইউনিয়ন এবং ন্যাপ জমায়েত হয় বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণাঙ্গনে। শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ থেকেও ছাত্রছাত্রীরা বেরিয়ে পড়ে। ছাত্র-জনতার হাতে উঠে আসে বাঁশের লাঠি, লোহার রড ইত্যাদি।

পল্টন ময়দান এবং বায়তুল মোকাররমে জমায়েত হওয়া জনগণ এরপর সমবেত হয় হোটেল পূর্বাণীর সামনের রাস্তায়। এ সময় পূর্বাণী হোটেলে চলছিল আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের বৈঠক। এর সামনের চত্বর ও রাস্তায় সমবেত ছাত্র-শ্রমিক-জনতার স্লোগানের ভাষাও দ্রুত বদলে যেতে থাকে। তারা ‘জয় বাংলা’ এবং ‘জয় বঙ্গবন্ধু’র সঙ্গে নতুন স্লোগান শুরু করেন : ‘জয় স্বাধীন বাংলা’, ‘স্বাধীন জাতির পিতা শেখ মুজিব শেখ মুজিব’, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’ ইত্যাদি।

শুধু ঢাকা শহর নয়, গোটা দেশই যেন এক বিশাল বিক্ষুব্ধ মিছিলে পরিণত হয়। বাঙালির এ বিদ্রোহী রূপ এর আগে কখনো দেখা যায়নি। গোটা বাংলাদেশ পাকিস্তানি শাসন-শোষণ-নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। একাত্তরের ১ মার্চেই যেন নির্ধারিত হয়ে যায় পরবর্তী ঘটনাক্রম। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যে পাকিস্তানের রাজনৈতিক সংকট নিরসন সম্ভব নয়, যুদ্ধ ছাড়া যে মুক্তি নেই—সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়। আর এটা যে সামরিক যুদ্ধ না হয়ে জনযুদ্ধ হয়ে উঠবে সেটাও ১ মার্চেই বিক্ষুব্ধ বাঙালি মিছিলে-স্লোগানে স্পষ্ট করে তুলেছিল। বঙ্গবন্ধু তার ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, ‘কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না।’ বাঙালিকে দাবিয়ে রাখা যায়নি। এক নদী রক্ত সাঁতরে বাঙালি ছিনিয়ে এনেছে স্বাধীনতা।

লেখক : রাজনীতিবিদ, লেখক ও মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আগের ম্যাচে খরুচে বোলিংয়ের পরও একাদশে মোস্তাফিজ 

অসুস্থ নেতার পাশে মহানগর বিএনপি

ট্রাফিক সদস্যদের বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন দিচ্ছে ডিএমপি কমিশনার

চট্টগ্রামে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

নির্বাচন করবেন যুব মহিলা লীগ নেত্রী, আলোচনায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার বাড়ি

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পথে আইসিসি

মরা মুরগির ঘিলা-কলিজা বিক্রি করেই কোটিপতি সুজন

চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিনে ঝুলছিল নারীর মরদেহ

‘মধ্যপ্রাচ্যে শেখ হাসিনার মতো নেত্রী থাকলে গাজায় এমন পরিস্থিতি হতো না’

সাইকেল হয়ে গেল মোটরসাইকেল!

১০

বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা চালু করল রাকাব

১১

রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় নিহত ৩

১২

শহরে কৃষক লীগের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না : কাদের 

১৩

মার্কিন মুলুকে দাঁড়িয়ে ইসরায়েলকে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হুঙ্কার

১৪

বান্দরবানের সেই ব্যাংক ম্যানেজারকে চট্টগ্রামে বদলি

১৫

পাবনা কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

১৬

জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

১৭

ফরিদপুরে আবারও সড়ক দুর্ঘটনা / মাইক্রোবাস-মাহিন্দ্রার সংঘর্ষে নিহত দুই

১৮

নৌপথে মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনাসদস্যদের ফেরত পাঠাবে বাংলাদেশ

১৯

তীব্র দাবদাহে রাজশাহীতে ডায়রিয়ার প্রকোপ

২০
*/ ?>
X