
কান নিয়ে গেছে চিলে! সবাই দৌড়াচ্ছে চিলের পেছনে। কিন্তু কান রয়েছে ঠিক জায়গাতেই। ছোটবেলা থেকেই এ প্রবচন শুনে বড় হয়েছি। কিন্তু এরকম পরিস্থিতি কখনো দেখিনি। এত বছর পর এ প্রবচনের বাস্তবতা প্রত্যক্ষ করলাম। গত ১৫ মে ঢাকার পুলিশ কমিশনার ঘোষণা করেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ কয়েকটি দেশ যে বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা পেত তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওইদিনই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন অনেক ভালো, তাই বাড়তি নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই। মন্ত্রী এবং পুলিশ কমিশনারের বক্তব্যের পরপরই এ নিয়ে হৈচৈ শুরু হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে এর প্রতিবাদ করা হয়। এ ধরনের সিদ্ধান্ত ‘ক্ষতিকর’ বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। মজার ব্যাপার হলো, ‘বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহার’ এ শব্দগুচ্ছ থেকে বাড়তি শব্দটি বাদ দিয়ে প্রচারণায় ঝাঁপিয়ে পড়েন বিএনপি নেতারা। বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা তো আতঙ্কিত হয়ে বলেন, রাষ্ট্রদূতদের কিছু হলে সরকারই দায়ী থাকবে। বিএনপি নেতাদের এসব বক্তব্যে একটু ভিরমি খেতেই হয়। বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের জন্য তাদের এ উতলে পড়া দরদ তাৎপর্যপূর্ণ। তারা কি সত্যি রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন, নাকি একে রাজনৈতিক ইস্যু বানাতে চাইছেন?
১৯ বছর আগে, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজন মারা যান। অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার। এ ঘটনা ঘটেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়। এ নিয়ে তদন্তে বলা হয়েছে, এটি ছিল জঙ্গি হামলা। এ ঘটনা বাংলাদেশে অবস্থানরত কূটনীতিকদের নিরাপত্তা হুমকির প্রধান ঘটনা। তৎকালীন সরকার এর দায়-দায়িত্ব এড়াতে পারে না। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে। এর পেছনে জামায়াতের সক্রিয় পৃষ্ঠপোষকতা ছিল। একের পর এক অনাকাঙ্ক্ষিত উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটতে থাকে। সারা দেশে একযোগে গ্রেনেড হামলা। বিভিন্ন আদালতে জঙ্গিদের বোমা হামলা। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা, ১০ ট্রাক অস্ত্র আটক রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গিবাদের উত্থানের প্রমাণ। সেইসময় মার্কিন দূতাবাস সরকারের সঙ্গে জঙ্গিদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের অভিযোগ করে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে জঙ্গি উত্থানে বাংলাদেশের নিরাপত্তাব্যবস্থা হুমকির মধ্যে বলে শঙ্কা করা হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সে সময় রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছিল। ২০০৫ সালে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস তাদের কর্মকর্তাদের ভ্রমণ সীমাবদ্ধ করে পরিপত্র জারি করে। আওয়ামী লীগের ১৪ বছর শাসনামলে দুবার কূটনীতিকদের নিরাপত্তাঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। তবে এসব ঘটনা কোনোভাবেই ২০০৪ সালের ঘটনার ধারেকাছেও নয়। ২০০৮ সালের ৪ আগস্ট তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট দাওয়াত খেতে মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে যান। সংস্কারপন্থি, বিরাজনীতিকরণের অন্যতম উদ্যোক্তা ড. বদিউল আলমের বাড়িতে এ নৈশভোজের আমন্ত্রণ ছিল। স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা দেখেন সেখানে ড. কামাল হোসেন, আসিফ নজরুলসহ আওয়ামীবিরোধী লোকজন জড়ো হচ্ছেন। সে সময়টি ছিল রাজনৈতিক উত্তেজনার। অতি-উৎসাহীরা বদিউল আলম মজুমদারের বাড়িতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে তার বাড়ি ঘেরাও করে। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। বাইরে চিৎকার-চেঁচামেচির পরিপ্রেক্ষিতে বার্নিকাটের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বা তার সঙ্গী-সাথীর গায়ে সেই ঘটনায় একটি আঁচড় লাগেনি। আওয়ামী লীগের কিছু অর্বাচীন বিচ্ছিন্নভাবে এ অনাকাঙ্ক্ষিত কাণ্ড ঘটায়। কিন্তু মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড. মজুমদারের বাড়িতে যাওয়ার বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেননি। গত ১৪ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা সরকারকে না জানিয়েই মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস যান শাহীনবাগে। সেখানে বিএনপি নিয়ন্ত্রিত সংগঠন ‘মায়ের ডাকের’ এক নেতার বাসায় তার উপস্থিতি ছিল বিতর্কিত। তার আগমনের খবরে ‘মায়ের কান্না’ বলে আরেকটি সংগঠনের সদস্যরা শাহীনবাগে যান। ‘মায়ের ডাক’ বিএনপির প্রতিষ্ঠিত একটি সংগঠন। বর্তমান সরকারের আমলে কথিত ‘গুম’ হওয়া পরিবারকে এ সংগঠনের সামনে রাখা হয়েছে। গুম ইস্যুতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে নানা প্রচারণার জন্য এ সংগঠনটি আলোচিত-সমালোচিত। ঠিক তেমনি ‘মায়ের কান্না’ হলো ’৭৭-এ জিয়ার নির্মমতার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারদের সংগঠন। জিয়ার সময় ক্যু এবং নানা কারণে যাদের বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে, তারা বিচারের দাবিতে এ সংগঠন গড়ে তুলেছে। শাহীনবাগে গিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তারা ’৭৭-এর হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারেও কথা বলার অনুরোধ করেন। পিটার হাস মায়ের কান্নার সদস্যদের উপস্থিতিতে ভয় পেয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। এ নিয়ে তিনি নালিশও করেন। এ ঘটনাগুলো উল্লেখ করলাম এ কারণে যে, রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি হয় দুটি কারণে। এক. যদি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বা জঙ্গিগোষ্ঠী নাশকতার পরিকল্পনা করে এবং সরকার সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়। যেমনটি হয়েছিল আনোয়ার চৌধুরীর ক্ষেত্রে। দ্বিতীয়টি হলো একজন রাষ্ট্রদূত যদি কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে নিজেই নিরাপত্তাঝুঁকি সৃষ্টি করেন। ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করে একটি দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জড়িয়ে যান।
২০০৪ সালের ২১ মের ঘটনা ছিল পরিকল্পিত। বাড়তি নিরাপত্তাও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতকে আহত হওয়া থেকে বাঁচাতে পারেনি। এখানে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল। ছিল রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা ও উদাসীনতা। আর পরের দুটি ঘটনা ছিল কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘনের কারণে সৃষ্ট। তিনটি ঘটনার সময়েই রাষ্ট্রদূতদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা সুবিধা ছিল। তাই অতিরিক্ত নিরাপত্তা থাকলেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না, এমন সরলীকৃত ধারণা সঠিক নয়। বাংলাদেশে বহুদেশের দূতাবাস আছে। আছেন রাষ্ট্রদূতরা। প্রশ্ন হলো, এদের মধ্যে মাত্র ছয়টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা কেন বিশেষ মর্যাদা পাবেন? রাশিয়া নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। ’৭১-এ বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। চীন বাংলাদেশের অন্যতম অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগী। বিশ্বে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক শক্তি। এসব দেশ বাড়তি প্রটোকল পেত না। এ বৈষম্য বাংলাদেশে পররাষ্ট্রনীতির মৌলিক অবস্থানের পরিপন্থি। আমি যদ্দুর জানি, ছয়টি দেশ যে ধরনের এসকট সুবিধা পায় অন্তত ১০টি দেশ সেরকম প্রটোকল চেয়েছিল। ফলে সবার সঙ্গে সাম্যতার নীতি অনুসরণের জন্য এরকম সিদ্ধান্তের কোনো বিকল্প ছিল না। কূটনৈতিকদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের একটি আলাদা শাখা গঠন করা হয়েছে। যার নাম ‘ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি ডিভিশন’-এ শাখায় পুলিশের ১১০০ জন দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে মার্কিন দূতাবাস, আমেরিকান সেন্টার, আমেরিকান ক্লাব এবং রাষ্ট্রদূতের বাসভবনের দায়িত্ব পালন করে ২০০ জনের বেশি। এদের মধ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এসকটের দায়িত্বে অতিরিক্ত সাতজন পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে মাত্র। তাদের স্বাভাবিক নিরাপত্তা প্রটোকল প্রত্যাহার করা হয়নি। ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশনে বাড়তি নিরাপত্তার কথা নেই। বলা হয়েছে ‘কূটনীতিক মিশনের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে গ্রাহক দেশকেই’। বাংলাদেশ এ দেশে অবস্থানরত সব রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তা বিধান বন্ধ করেনি। অথচ বিএনপি এটিকে একটি চটুল রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছে। গত কিছুদিন ধরেই বিএনপির রাজনীতি দূতাবাসনির্ভর। বিএনপির নেতারা যত না জনসংযোগে ব্যস্ত তার চেয়ে বেশি ব্যস্ত কূটনীতিকপাড়ায়। বিভিন্ন দূতাবাসে তারা কখনো প্রাতরাশ, কখনো মধ্যাহ্ন কখনো বা নৈশভোজে মিলিত হচ্ছেন। জনগণের শক্তিতে নয়, দূতাবাসের শক্তিতে তারা সরকার হটাতে চায়। এ জন্যই অতি মার্কিন প্রেম বিএনপি নেতাদের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করে, তারা রাজনীতির মাঠে আধিপত্য সৃষ্টি করতে চায়। বিএনপির অনেক নেতাই এখন মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেবে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী নির্বাচন হতে হবে ‘অংশগ্রহণমূলক’। এ জন্যই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দলটি নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপির অনেক নেতাই মনে করেন, নির্বাচন থেকে দূরে থাকলেই হলো। ওই নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্র গ্রহণ করবে না। সরকারের পতন হবে। এরকম সরল রাজনৈতিক সূত্র মাথায় নিয়ে তাদের একমাত্র মনোযোগ যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করা এবং মার্কিন প্রশাসনকে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলা। এজন্যই তারা যুক্তরাষ্ট্রের লবিস্ট নিয়োগ করেছে। এ লবিস্টরা প্রতিনিয়ত মার্কিন প্রশাসনে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। তাদের কারণেই এলিট ফোর্স র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তাদের ভুল তথ্যের জন্যই বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অযাচিত মাথাব্যথা। যুক্তরাষ্ট্রকে বিএনপি যেন এখন প্রভু মানছে। আর এ কারণেই বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের ইস্যুতে বিএনপি নেতাদের এত মায়াকান্না। যেভাবে বিএনপির পয়সার লবিস্ট ফার্মগুলো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তথ্য বিকৃতি করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনকে বিরূপ করছে, বিএনপি ঠিক একই কৌশল নিয়েছে নিরাপত্তা ইস্যুতে। বিএনপি প্রচারণা শুনলে মনে হবে রাষ্ট্রদূতদের পুরো নিরাপত্তাই বোধহয় প্রত্যাহার করা হয়েছে। কি সাংঘাতিক কথা। বাংলাদেশে ছয়টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা যে রাজকীয় নিরাপত্তা সুবিধা পেতেন তা নজিরবিহীন। যুক্তরাষ্ট্রে যেসব দেশের রাষ্ট্রদূত আছেন তারা কি কোনো ধরনের বাড়তি নিরাপত্তা পান? কিংবা যুক্তরাজ্য তার দেশের রাষ্ট্রদূতদের কতটুকু নিরাপত্তা দেয়? লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসে যখন হামলা হয়েছিল তখন পুলিশ এসেছিল অনেক দেরিতে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থাই দেওয়া হয় না। একটু খোঁজখবর নিলেই এরকম অনেক উদাহরণ পাওয়া যাবে। তবে পুরো এ বিতর্কে বিএনপির নেতারাই শুধু অতিকথন এবং তথ্য বিবৃতির দোষে দুষ্ট নয়। সরকারের অতি উৎসাহীরাও একই অভিযোগে অভিযুক্ত। এটি একটি দেশের সরকারের একান্ত নিজস্ব সিদ্ধান্ত। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা কৌশল। সংবাদ সম্মেলন করে, ঢাকঢোল পিটিয়ে এটা বলার কি কোনো প্রয়োজন ছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী ‘অতিকথন’ রোগে দুষ্ট। তিনি বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেবেন কেন? পুলিশ কমিশনারের বক্তব্যের পর এ নিয়ে তার কথা বলাটা কি খুব প্রয়োজনীয় ছিল? বাড়তি এসকট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানাতে তাকে এত অপ্রয়োজনীয় কথা বলতেইবা হবে কেন? তার কথা শুনে মনে হচ্ছে, তিনি যেন প্রতিশোধ নিচ্ছেন। তিনি আবার বললেন, ‘রাষ্ট্রদূতদের গাড়িতে তার দেশের পতাকা ব্যবহারও বন্ধ করা হবে। তার এ বক্তব্য ভিয়েনা কনভেনশনের পরিপন্থি। রাষ্ট্রদূতদের গাড়িতে তার দেশের পতাকা ব্যবহারের অধিকার ওই কনভেনশনে স্বীকৃত। রাজনীতিতে সব পক্ষের অবিবেচক, দায়িত্বজ্ঞানহীনদের থামাতে হবে। অতিকথনের লাগাম টেনে ধরতে হবে। তা না হলে সর্বনাশ হবে গণতন্ত্রের।
লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত
poriprekkhit@yahoo.com