প্রভাষ আমিন
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরাভ খান : বহুমাত্রিক অপরাধের ক্ল্যাসিক উদাহরণ

আরাভ খান : বহুমাত্রিক অপরাধের ক্ল্যাসিক উদাহরণ

ইদানীং ওটিটিতে নানারকমের ওয়েব সিরিজ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশেষ করে থ্রিলারের জনপ্রিয়তা সবার ওপরে। কিছু কিছু ওয়েব সিরিজ বা সিনেমা বানানো হয় সত্য ঘটনা অবলম্বনে। সিনেমার স্বার্থে তাতে নানান রং মেশানো হয়। কিন্তু সত্য কখনো কখনো সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের চেয়েও থ্রিলিং হতে পারে। সম্প্রতি আরাভ খান নামে এক আন্তর্জাতিক জালিয়াত দেশ-বিদেশে আলোচনার শীর্ষে। আরাভ খানের উত্থানের গল্প যে কোনো ওয়েব সিরিজ বা সিনেমাকেও হার মানাবে। তার গল্পে খুন আছে, জালিয়াতি আছে, যৌনতা আছে, নৃশংসতা আছে, মানি লন্ডারিং আছে, প্রতারণা আছে, অস্ত্র আছে, আয়নাবাজি আছে; তবে সবকিছুর ওপরে আছে আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের ছোঁয়া। গল্পের পরতে পরতে টুইস্ট। সিনেমার স্ক্রিপ্ট রাইটারের কল্পনায়ও এক গল্পে এত উপাদানের ঠাঁই মেলে না। বাংলাদেশের চিত্রপরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী অবশ্য এ ঘটনা নিয়ে ‘সলিড গোল্ড’ নামে একটি ওয়েব সিরিজ বানানোর ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন।

তার নামেই আছে জালিয়াতির উপাদান। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার আশুতিয়া গ্রামের সন্তান রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ মোল্লা ওরফে হৃদয় ওরফে হৃদি শেখ ওরফে আরাভ খান। তার বাবা মতিউর রহমান মোল্লা কখনো ভাঙাড়ি ব্যবসা, কখনো মাছ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আরাভ খান ছেলেবেলায় এলাকায় ছোটখাটো চুরি করেছেন। এলাকায় তাকে সবাই চিটার আপন নামে চেনে। তারপর তিনি ঢাকায় আসেন। ঢাকায় এসেই তার প্রতিভার বিকাশ ঘটে। ছোটখাটো চুরি, ছিনতাই, প্রতারণা দিয়ে হাত পাকান। তবে তার মূল ব্যবসা ছিল প্রতারণা। অভিজাত এলাকায় বাসা ভাড়া করে নারীদের টোপ হিসেবে ব্যবহার করতেন রবিউল। বিত্তবান লোকদের এসব বাসায় ডেকে এনে মাতাল করে আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করাই ছিল তার মূল ব্যবসা। তেমনি এক আড্ডায় এসে খুন হয়ে যান পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান। তার লাশ গায়েব করতে গাজীপুরের এক জঙ্গলে নিয়ে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই মামলার ৬ নম্বর আসামি রবিউল। এর আগেই অবশ্য অস্ত্র মামলায় দুবার কারাগার ঘুরে এসেছেন তিনি। তবে খুনের মামলায় আর জেলে যেতে চাননি। খুঁজে পান ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে চাঁদপুর থেকে ঢাকায় আসা আবু ইউসুফ লিমনকে। নগদ ৫ লাখ টাকা এবং বিকেএসপিতে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রবিউল সেজে লিমন আদালতে হাজির হন। আদালত জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর নিরপরাধ লিমনের ৯ মাস কাটে কারাগারে। যখন লিমন বুঝলেন তিনি প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছেন, তখন সব ফাঁস করে দেন। কিন্তু ততদিনে পগারপার রবিউল। খুনের মামলার দায় থেকে রেহাই পেলেও লিমন এখন প্রতারণা মামলার আসামি। নিজে প্রতারিত হলেও আরেকজনের হয়ে আদালতে হাজিরা দেওয়া আইনের ভাষায় প্রতারণাই। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন তো অনেক আগেই দুঃস্বপ্ন হয়ে গেছে। লিমন এখন ঢাকায় টিকে থাকার লড়াই করছেন। সেই লড়াইয়ের বড় সময় কাটছে আদালতের বারান্দায়। আরাভ খানের গল্পে ফেরার আগে একটু লিমনের কথা বলে নেই। লিমন ঢাকায় এসেছিলেন জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন নিয়ে। তেমনি আরেক ক্রিকেটার তাওহিদ হৃদয়। অভিষেক ম্যাচেই ৯২ রান করে সবার হৃদয় জয় করে নেওয়া তাওহিদও ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসে প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছিলেন। যে ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি হয়ে ঢাকায় এসেছিলেন, এসে দেখেন তার কোনো অস্তিত্বই নেই। জাতির ভাগ্য ভালো তাওহিদ হৃদয় সেই খপ্পর থেকে বেরিয়ে নিজের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছিলেন। লিমনের কপাল খারাপ, তিনি এখন প্রতারণা মামলার আসামি।

নিজের খুনের মামলায় লিমনকে ফাঁসিয়ে দিয়ে রবিউল পালিয়ে গেলেন ভারতে। সেখানে গিয়ে তিনি কলকাতার উপকণ্ঠে একটি বাসা নিলেন। বাড়িওয়ালা জাকির হোসেনকে বাবা এবং রেহানা বিবি খানকে মা ডাকতেন। তাদের আধার কার্ড নিয়ে তাদের বাবা-মা সাজিয়ে বানিয়ে ফেললেন ভারতের পাসপোর্ট। এবার নাম ধারণ করলেন আরাভ খান। সেখানে আসামের এক নারীকে বিয়েও করলেন। তাকে স্থানীয়রা চিনত টালিগঞ্জে ছোটখাটো জিনিসের সাপ্লায়ার হিসেবে। ভারত থেকে ভারতের পাসপোর্ট নিয়েই দুবাই চলে যান আরাভ খান। আলোচনায় আসার পর বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, ইউটিউব এবং নিজের ফেসবুক লাইভে আরাভ খান জানিয়েছেন, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুই বন্ধুর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ধার করেছিলেন। ভারতে গিয়ে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়ি থেকে ১৬ হাজার টাকা নিয়ে টুকটাক ব্যবসা শুরু করেন। পশ্চিমবঙ্গের কন্দর্পপাড়ার বস্তির মতো যে বাসায় আরাভ ভাড়া থাকতেন, সেটির মাসিক ভাড়া ছিল ২ হাজার টাকা।

কিন্তু তারপরের গল্প রূপকথাকেও হার মানায়। দুবাই গিয়ে কারও সেটেল হতেই দুই-তিন বছর লেগে যায়। সেখানে আরাভ খান মাত্র তিন বছরে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। গত ১৫ মার্চ দুবাইয়ে আরাভ জুয়েলার্স নামে একটি স্বর্ণের দোকানের উদ্বোধন হয়েছে, যার লোগো বানাতেই ৬০ কেজি স্বর্ণ লেগেছে। তার ফেসবুক লাইভ থেকেই জানা যায়, তিনি সেখানে বুর্জ খলিফার ৬৫ তলায় ফ্ল্যাট কিনেছেন, আছে আরও চার-পাঁচটি ফ্ল্যাট, বিশাল বাগান ও সুইমিং পুলসহ বাড়ি। এসব বাড়িতে তিনি সবজি চাষ করেন। মায়া হরিণ জবাই করে অতিথিদের আপ্যায়ন করেন। দুবাইয়ের শেখদের মতো তিনিও একটি বাজপাখি পোষেন, যার দাম কয়েক কোটি টাকা। তিন বছর আগে যিনি ভারতে ২ হাজার টাকা ভাড়ার বাসায় থাকতেন তিনি কীভাবে দুবাইয়ে হাজার কোটি টাকার ব্যবসা ফেঁদে বসলেন, এটা একটা রহস্য বটে। শুরুতে আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের কথা বলেছি বটে। কিন্তু আলাদিনের প্রদীপের দৈত্যের পক্ষেও এত দ্রুত কাউকে এত সম্পদ দেওয়া সম্ভব নয়।

আরাভ খানের সম্পদের সাম্রাজ্য সামনে আসে আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধনকে ঘিরে। বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান তার ফেসবুকে এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নিজের উপস্থিত থাকা নিশ্চিত করেন এবং সবাইকে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানান। শুধু সাকিব নন, এ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানিয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন ইংলিশ ক্রিকেটার বেনি হাওয়েল, শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের পেসার উসুরু উদানা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি ওপেনার এভিন লুইস, সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রোহান মোস্তফা, আফগানিস্তানের হজরতউল্লাহ জাজাই, পাকিস্তানের ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমিরসহ অনেকে। বাংলাদেশের ফেসবুক তারকা হিরো আলম, গায়ক নোবেল, রুবেল খন্দকার, বেলাল খান, জাহেদ পারভেজ পাভেল, চিত্রনায়িকা দীঘিসহ অনেকেই এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় লেখক সাদাত হোসাইনও শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন চিত্রপরিচালক দেবাশীস বিশ্বাস। সবকিছু দেখেশুনে মনে হচ্ছে, উদ্বোধন অনুষ্ঠানের বাজেটই ছিল কয়েকশ কোটি টাকা। আরাভ খান দাবি করছেন, একজন বাংলাদেশি দুবাইতে এত ভালো করছেন, এতে বাংলাদেশের মানুষের গর্বিত হওয়া উচিত। কিন্তু সেটা না করে গণমাধ্যম তার পিছে লেগেছে। জনাব আরাভ খান, আপনার সাফল্যে আমরা অবশ্যই গর্বিত। খালি একবার বলেন, আপনার এই সাফল্যের রহস্যটা কী?

বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় দেখলাম পুলিশের সাবেক এক ঊর্ধ্বতন প্রভাবশালী কর্মকর্তাই নাকি জোগান দিয়েছেন আরাভ খানের টাকা। কোনো পত্রিকাতেই সাবেক সেই কর্মকর্তার নাম আসেনি। তবে পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সম্মানিত দেশবাসী, আমি আপনাদের সবাইকে আশ্বস্ত ও সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে চাই যে, আরাভ ওরফে রবিউল ওরফে হৃদয় নামে আমি কাউকে চিনি না। আমার সাথে তার এমনকি প্রাথমিক পরিচয়ও নাই। আমি আমার ল এনফোর্সমেন্ট ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় খুনি, সন্ত্রাসী, ড্রাগ ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি, ভেজালকারী ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি কখনোই সখ্য নয়। আপনাদের অফুরান ভালোবাসা, সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।’ মূলধারার কোনো গণমাধ্যমে সাবেক আইজির নাম উল্লেখ করা না হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ হয়তো তার কথা ভেবেছে। দুজনের বাড়ি গোপালগঞ্জ বলে কেউ কেউ হয়তো দুয়ে দুয়ে চার মিলিয়েছেন। আমি বেনজীর আহমেদের স্ট্যাটাস বিশ্বাস করলাম। এখন বাংলাদেশ পুলিশের দায়িত্ব কোন সাবেক কর্মকর্তা আরাভ খানকে অর্থ দিয়েছেন, তা খুঁজে বের করা।

বাংলাদেশের পুলিশ বলছে, আরাভ খানকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে। এরই মধ্যে ইন্টারপোল তার নামে রেড ওয়ারেন্ট জারি করেছে। তবে রবিউলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে ১৪টি ওয়ারেন্ট থাকলেও আরাভ খানকে ফিরিয়ে আনাটা অত সহজ হবে না। কারণ আরাভ দুবাই গেছেন ভারতীয় পাসপোর্টে। রবিউল ওরফে আরাভ আসলে তিন দেশে অপরাধ করেছেন। বাংলাদেশে তার অপরাধ বহুমাত্রিক। ভারতে তিনি জাল পাসপোর্ট বানিয়েছেন। আর দুবাইয়ে গড়ে তুলেছেন অবৈধ অর্থের পাহাড়। এখন কোন দেশ তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়, সেটাই দেখার।

তবে তার আগে কয়েকটি প্রশ্ন রয়ে গেছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা মামলার আসামি হয়ে তিনি কীভাবে পালিয়ে গেলেন। শোনা যাচ্ছে, কোনো পুলিশ কর্মকর্তাই তাকে পালাতে সহায়তা করেছে। আরাভ খান দাবি করেছেন, পালিয়ে যাওয়ার পরও তিনি অন্তত দুবার বাংলাদেশে এসেছিলেন। তখনো পুলিশ তাকে ধরেনি কেন? তাহলে কি সত্যিই আরাভ খানের পেছনে কোনো প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তার আশীর্বাদ রয়েছে?

বাংলাদেশের গণমাধ্যমের অনুসন্ধানেই আরাভ খানের এ নাটকীয় উত্থানের গল্প উঠে এসেছে। আরাভ খান তার বিরুদ্ধে আনা কোনো অভিযোগই অস্বীকার করেননি। নিজের ফেসবুক লাইভে এবং বিভিন্ন টিভিতে, তার বাবা একজন দিনমজুর ছিলেন, তিনি অস্ত্র মামলায় জেল খেটেছেন, পুলিশ হত্যা মামলার আসামি, ভারতে পালিয়ে যাওয়া, একাধিক বিয়ে করেছেন—সব অভিযোগই স্বীকার করেছেন। তারপরও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেই তার যত ক্ষোভ। তিনি অভিযোগ করেছেন, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কেউ কেউ নাকি তার কাছ থেকে টাকা চেয়েছেন। অভিযোগটা যে হাওয়াই, সেটা বোঝা যায়, কারণ তিনি কারও নাম বলেননি। চতুর আরাভ আসলে আক্রমণকেই প্রতিরক্ষার উপায় বানিয়েছেন। নিয়মিত সাংবাদিকদের গালাগাল করাই এখন তার কাজ। সঙ্গে খেলেছেন ধর্মের কার্ড। তিনি বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় আধুনিক মসজিদ বানানোর অঙ্গীকার করেছেন। একজন দিনমজুরের ছেলে কীভাবে মাত্র ৩২ বছর বয়সে দুবাইয়ে হাজার কোটি টাকার ব্যবসা বাগালেন, ফ্ল্যাট-বাগানবাড়ি কিনলেন, দেশের ৬৪ জেলায় মসজিদ বানানোর অর্থ তিনি কোথায় পাবেন; এসব প্রশ্ন তুললেই সাংবাদিকরা অপরাধী। তবে সাংবাদিকদের ক্রমাগত অনুসন্ধানে এখন আরাভ খানের সাম্রাজ্য তাসের ঘরের মতো ভেঙে যেতে বসেছে, তাতে তিনি ক্ষিপ্ত হতেই পারেন। তবে আরাভের মতো বাটপাররা ক্ষিপ্ত হলেই বুঝি সাংবাদিকরা তাদের দায়িত্ব ঠিকভাবেই পালন করছেন।

সাংবাদিকের কাজ তারা করেছে। এখন দায়িত্ব পুলিশের। একজন পুলিশ কর্মকর্তার হত্যা মামলার আসামিকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের মুখোমুখি করানোটাই এখন মূল কাজ। দেখেশুনে মনে হচ্ছে, আরাভ খান কেয়ারটেকার মাত্র। পুলিশের দায়িত্ব তার পেছনে কে আছে, তা খুঁজে বের করা। যদি সত্যি কোনো প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তাও থাকেন, সেটাও বের করতে হবে। একজন ব্যক্তির জন্য যাতে গোটা পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না হয়। আগেই বলেছি, কাজটা সহজ নয়। তবে বাংলাদেশ পুলিশ যদি ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সহায়তা চায় এবং ইন্টারপোলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে, তাহলে হয়তো তাকে ফিরিয়ে আনাটা অত কঠিন নাও হতে পারে।

আরাভকে ফিরিয়ে আনতে পারলে উন্মোচিত হবে এক আন্তর্জাতিক চক্র। কীভাবে বাংলাদেশ থেকে হাজার কোটি টাকা উড়ে যায়, জানা যাবে তাও।

লেখক : হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চবিতে নতুন ৫ জন সহকারী প্রক্টর নিয়োগ

পরনের কাপড় ছাড়া দরিদ্র ৫ পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাই

মিষ্টি খেতে বছর জুড়ে থাকে ভিড়

জ্ঞান ফেরেনি মায়ের, কবরের পাশে পায়চারি করছেন বাবা

খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ

এবার চিপকেও ব্যর্থ মোস্তাফিজ

বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন ডা. আতিকুর

চাঁদপুরে টাউন হল মার্কেটে আগুন

নারী বিশ্বকাপের ভেন্যু দেখতে সিলেটে আইসিসির প্রতিনিধি দল

সুদের ওপর কর অব্যাহতি পেল অফশোর ব্যাংকিং

১০

এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় বাচসাস’র নিন্দা

১১

চবিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর

১২

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রী থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

১৩

সেতুমন্ত্রীর পদত্যাগ চাওয়ায় শাহবাগ থানায় জিডি

১৪

পদ্মা ব্যাংকের এমডির পদত্যাগ

১৫

আদাবরে স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

১৬

ভর্তি পরীক্ষায় জবিতে থাকবে ভ্রাম্যমাণ পানির ট্যাংক

১৭

অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি, বিপাকে পুলিশ কনস্টেবল

১৮

গরমে বেড়েছে ডায়রিয়া, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩

১৯

একাধিক অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল, কে এই তরুণী

২০
*/ ?>
X