কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:০৬ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

নিপাহ ভাইরাসের রোগী বাড়ছে, সচেতনতার বিকল্প নেই

নিপাহ ভাইরাসের রোগী বাড়ছে, সচেতনতার বিকল্প নেই

দেশে আবারও দেখা দিয়েছে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। সারা দেশে শীতের মৌসুমের শুরু থেকেই অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসটিতে। ইতোমধ্যে দেশের ২৮ জেলায় এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে এবং আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুও ঘটেছে। করোনা আর ডেঙ্গুর ক্ষত না শুকাতেই জনমনে নতুন আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে নিপাহ ভাইরাস।

আমরা জানি, সাধারণত বাদুড় থেকে এই ভাইরাসের বিস্তার ঘটে। বাদুড় খেজুরের রস খায়, তখন তার মুখের লালা রসের সঙ্গে মিশে যায়। সেই রস না ফুটিয়ে খেলে মানুষ নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। সংক্রমিত রোগীর হাঁচি, কাশি, কফ ও থুতুর মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস একজনের দেহ থেকে অন্যজনের দেহে সংক্রমিত হতে পারে।

দেশে দুই দশকেরও বেশি সময় আগে প্রথম নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এরপর প্রতিবছরই এতে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছেন। পরিতাপের বিষয় হলো—নিপাহ ভাইরাসের এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিষেধক ও ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি। আবার এর চিকিৎসার কোনো ওষুধও নেই। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে রোগীর প্রধানত জ্বরের উপসর্গ দেখা দেয়। চিকিৎসকরা সিম্পটমেটিক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এই ভাইরাসের সবচেয়ে দুশ্চিন্তার দিক হলো—আক্রান্তদের মৃত্যুর হার ভয়াবহ রকমের বেশি হয়ে থাকে। যেহেতু এর কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, তাই আক্রান্তদের অধিকাংশেরই মৃশনিবার কালবেলায় প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০১ সাল থেকে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৩১ জন নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হন, যার মধ্যে ২৩৬ জনেরই মৃত্যু হয়। আর আক্রান্তদের ৭১ শতাংশেরই মৃত্যু হয়েছে।

সচেতনতার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞরা এ রোগের কিছু লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায় জানান। এই রোগের প্রধান লক্ষণ জ্বরসহ মাথাব্যথা, খিঁচুনি, প্রলাপ বকা, অজ্ঞান হওয়াসহ কোনো কোনো ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট। এ থেকে বাঁচতে খেজুরের রস কাঁচা খাওয়া বন্ধ করা, পশুপাখির আংশিক খাওয়া ফল না খাওয়া, ফলমূল পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে খাওয়া, আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে হাত সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নেওয়া। এ ভাইরাস যেহেতু মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়, এজন্য কেউ আক্রান্ত হলে রোগীর নাক-মুখ ঢেকে চলাফেরার পরামর্শ রয়েছে।

আমরা মনে করি, জনসচেতনতা বাড়ানোই এ ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র পথ। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা খুব একটা দেখা যায় না। টেলিভিশন বা গণমাধ্যমে সুনির্দিষ্টভাবে নিপাহ ভাইরাস নিয়ে ব্যাপক প্রচার প্রয়োজন থাকলেও তেমনটা চোখে পড়ে না বললেই চলে। আমরা চাই, সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এ বিষয়ক ব্যাপক প্রচারণার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি যেহেতু এটি সংক্রামক ভাইরাস, তাই পরিস্থিতি বিবেচনায় আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবার লক্ষ্যে করোনা ভাইরাসের মতো ডেডিকেটেড কোনো হাসপাতাল প্রস্তুত করা হোক। এতে করে সংক্রমণের সংখ্যা কমানোসহ জনভোগান্তিও দূর করা সম্ভব হবে।

ত্যু হয়। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিপাহ সংক্রমণকে বৈশ্বিক মহামারির সম্ভাব্য ১০টি হুমকির একটি হিসেবে ঘোষণা করেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

বোরো আবাদে হিটশকের শঙ্কা

এসির ‘টন’ মানে কী?

কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

প্রতীক বরাদ্দের আগেই পোস্টার বানিয়ে প্রচারে আ.লীগ নেতা

২৫ এপ্রিল : নামাজের সময়সূচি

সাতক্ষীরায় ৬০ বছর পর ৩৩ বিঘা সরকারি জমি উদ্ধার

দাবদাহে ঝরছে লিচুর মুকুল, দুশ্চিন্তায় দিনাজপুরে চাষিরা

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে কুমিল্লায় গাছ লাগাচ্ছে ছাত্রলীগ

ফরিদপুরের ঘটনা আদিম যুগের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে : আব্দুর রহমান

১০

২৪ ঘণ্টায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২ কর্মী খুন

১১

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে বিপদে জর্ডান

১২

‘হারল্যান স্টোর’ মিরপুর-১০ শাখার উদ্বোধন করলেন নুসরাত ফারিয়া

১৩

ভোলায় হিটস্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু

১৪

ফিতরা জাকাতের টাকা চেয়ে খুদে বার্তায় প্রতারণার ফাঁদ

১৫

এক সপ্তাহের মধ্যেই পরমাণু বোমার ইউরেনিয়াম পাবে ইরান!

১৬

ননদের বিয়েতে টিভি উপহার দিতে চাওয়ায় স্বামীকে হত্যা

১৭

মেঘনা নদীতে ভেসে এলো খণ্ডিত পা

১৮

ঈশ্বরদীতে হিটস্ট্রোকে স্বর্ণকারের মৃত্যু

১৯

সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘মাইক’ পুরস্কৃত

২০
*/ ?>
X