রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
মোস্তফা কামাল
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২২ এএম
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ডিমে ডিগবাজি: নিত্যপণ্যে কারসাজি

ডিমে ডিগবাজি: নিত্যপণ্যে কারসাজি

তিনি কথা দিয়েছেন জনগণের জীবনযাপন সহজ করতে দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার। সেই দৃষ্টে চেষ্টাও চলে। বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজারে টাকার সরবরাহ কমানোর নীতি নেয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ৫ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ ও আলু আমদানিতে শুল্ক-কর কমানো হয়। এর সুফল আসেনি। সেইসঙ্গে আরও কিছু পণ্যের দাম নতুন করে বাড়ে

নিত্যপণ্যের বাজারে সরকারের সংস্থাগুলোর মনিটরিং আপাতত ব্যর্থ হয়েছে। সবচেয়ে বাজে অবস্থা কাঁচাবাজারে। অধিকাংশ সবজির দামই চড়া। বৃষ্টি-রোদ-বন্যায় সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের বিক্রেতাদের কত যে অজুহাত! স্বাভাবিকভাবেই ডিম, আলু, পেঁয়াজ, চাল-ডালের মতো পণ্যের দাম বড় করে আলোচনায় আসে। এসবের বাইরে অন্য পণ্যের দাম আরও অনেক বেশি। সব মিলিয়ে সাধারণ ক্রেতারা সরকারের ওপর চটছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টিম কাঁচাবাজারে অভিযানে গিয়ে পণ্যের বিক্রি মূল্যতালিকা টানানো ও অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে কি না, তা তদারকি করে। হুমকিধমকি দেয়। বিক্রেতারা মাথা নাড়ে, ঘাড় চুলকায়। আর অভিযানের কর্তারা বলেন, ঠিক হয়ে যাবে। দাম কমে যাবে। এরই মধ্যে বেশ কিছু পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানোর পরও কেন পণ্যের দাম কমে না—প্রশ্নের জবাব মেলে না।

সরকারের চেষ্টায় কমতি-ঘাটতি নেই। আবার মনিটরিং-তদারকিও ব্যাপক। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ নেই। বরং পাল্টা নিয়ন্ত্রণ আছে চক্র বা সিন্ডিকেটের। নানা ক্যাচালের মধ্যে প্রতিবেশী ভারত থেকে ডিমের চালান আসতে না আসতেই তেলেসমাতি। দামে ডিগবাজি। এবার ভারত থেকে সাড়ে সাত টন ওজনের ডিমবোঝাই ট্রাকে ২ লাখ ৩১ হাজার পিস মুরগির ডিম আমদানি করেছে ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিডিএফ করপোরেশন। ভারতীয় রপ্তানিকারক কানুফ ত্রিপুরা ইন্ডিয়া। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকার সময় গত বছর শেষেও একবার ৬১ হাজার ডিমের একটি চালান আসে। সে সময় ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি ছিল। তবে দেশেই দাম কমে আসায় আর কোনো চালান আসেনি।

প্রতি ডজনের দাম পড়েছে দশমিক ৫৬ ডলার। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতিটি ডিমের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৫ টাকা ৭০ পয়সা। প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বাবদ ১ টাকা ৮৩ পয়সা যোগ হবে। সব মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়াচ্ছে প্রায় সাড়ে ৭ টাকার মতো। এর সঙ্গে গুদাম ভাড়া, এলসি খরচ, ট্রাক ভাড়া যোগ হবে। সব মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের খরচ সাড়ে ৮ টাকার মতো। কিন্তু বাজারে ১৪-১৫ টাকা। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে ডিমের দাম লাফ দেওয়ার পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতিটি ডিমের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১২ টাকা বেঁধে দিয়েও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। পরে ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। তখন প্রতিটি ডিমের আমদানি খরচ পড়ে ৭ টাকার কিছু বেশি, যা দেশের বাজারদরের চেয়ে অনেকটাই কম ছিল। তবে যে পরিমাণ ডিম আমদানির অনুমতি ছিল, সে পরিমাণ ডিম দেশে আসেনি। এর আগেই ডিমের দাম কমে যাওয়ায় আর আমদানি করেননি ব্যবসায়ীরা। এবার আরেক চিত্র। এ ভিন্নতারও জবাব নেই।

সরকারের জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ এখন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। গত সেপ্টেম্বরে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। যেমন ১৬ সেপ্টেম্বর ফার্মের মুরগির ডিম এবং ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। বেঁধে দেওয়া দাম অনুসারে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিমের দাম হওয়ার কথা ১৪২ টাকা। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ফার্মের মুরগির ডিম এবং ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। নতুন বেঁধে দেওয়া দামে উৎপাদন পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম নির্ধারিত হয় ১০ টাকা ৫৮ পয়সা এবং পাইকারিতে ১১ টাকা শূন্য ১ পয়সা। আর খুচরা পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিমের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা। ফলে প্রতি পিস ডিমের দাম ধরা হয় ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। তবে মূল্য নির্ধারণের পরও মাঠপর্যায়ে তার বাস্তবায়ন করা যায়নি। বরং হুহু করে বাড়তে থাকে ডিমের দাম।

কারণ হিসেবে সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত এবং সিন্ডিকেটকে দায়ী করছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু বাজারের চাহিদার ৮০ পারসেন্ট উৎপাদনকারী প্রান্তিক খামারিদের রাখা হয়নি। দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে বাজার মেকানিজম না জেনেই করপোরেটদের দিকনির্দেশনায় এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এর মাধ্যমে করপোরেট গ্রুপগুলোকে সিন্ডিকেট করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। আসলে শুধু ডিম নয়, প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামই চড়া। ক্ষমতার পালাবদলে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজার সিন্ডিকেট উঠে যাবে এবং দ্রব্যমূল্য কমবে বলে একটা প্রত্যাশা ছিল। বাস্তবটা হয়ে গেল উল্টো। এ তেলেসমাতি বুঝতে অন্তর্বর্তী সরকার বাজার মনিটরিংয়ে টাস্কফোর্স গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। ক্রীড়া উপদেষ্টা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে অনেকগুলো পণ্য ডিউটি ফ্রি করার পরও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। তাই দ্রুত মাঠে টাস্কফোর্স নামানো হবে।

এ ধরনের হবে-হচ্ছে ধরনের কথাবার্তায় মানুষ চরম ত্যক্ত-বিরক্ত। এগুলোতে তারা অনেক শুনেছে। তার ওপর বাজারের হালহকিকতে এখন বোবা হওয়ার অবস্থা। নানা দোহাই ও অজুহাতে এখন আর জেদ দেখানোর অবস্থাও নেই। কার ওপর জেদ দেখাবে? সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির হিসাবে দেখা যায়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে ডিমের দাম বছরজুড়ে ডজন ৮০ থেকে ১১০ টাকার মধ্যে ছিল। যুদ্ধ শুরুর ছয় মাসের মাথায় ডিমের দাম বেড়ে ১২৫-১৩৫ টাকা হয়, যা গত বছরের শেষ নাগাদ ১৫০-১৬৫ টাকায় পৌঁছায়। এরপর অনেকটা কাছাকাছি দামেই ডিম বিক্রি হয়ে আসছিল। কদিন আগে ১৬০-১৭০ টাকায় উঠে যায়। এখন ভারত থেকে সামান্য কিছু ডিম আনায় তা কমে যায়। বোঝার একটুও বাকি থাকছে না, ম্যাজিকটা একেবারে নিজেদের। ম্যাজিশিয়ানও হোম মেইড।

নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উৎস ডিম ও ব্রয়লার মুরগি। কিন্তু উচ্চ দামের কারণে ডিম-মুরগি কিনতেও মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুরগির ডিম উৎপাদন খরচের ৮০-৮৫ শতাংশ যায় পোলট্রি খাদ্যের দামের পেছনে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বেড়ে যাওয়া পোলট্রি খাদ্যের দাম কমলেও ডিমের দাম কমেনি। আবার খাদ্য উৎপাদনকারীরা বলছেন, মার্কিন ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে খাদ্যের দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত বাজারে অভিযান পরিচালনা করছে। এ ছাড়া ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার পরিস্থিতি তদারকির জন্য বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের ঘোষণা এসেছে। অভিযান কোনো সমাধান নয়, টাস্কফোর্সও তো একটা অভিযান। অভিযান বা ভয় দেখিয়ে শুধু ডিম নয়, কোনো কিছুই দমানো যায় না। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম ছিল অত্যন্ত চড়া। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এ জায়গায় একটুও হেরফের হয়নি। বরং দ্রব্যমূল্য আরও বেড়েছে। অবস্থায় ফের আনতে সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কিছু পণ্যের শুল্ক-কর কমানোর পরও বাজারে এর প্রভাব পড়েনি।

সরকারের ঘোরতর সমর্থকদের মধ্যেও এ নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে লিখেছেন, ট্রাকে থাকা অবস্থায়ই কারওয়ান বাজারে চারবার ডিমের হাতবদল হয়। এখন পর্যন্ত এই সরকার কোনো ‘সিন্ডিকেট’ ভাঙতে পারেনি। শুধু ‘সিন্ডিকেটের’ সাইনবোর্ড পরিবর্তন হয়েছে। হাসনাত প্রশ্ন ছুড়েছেন, সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে এই অভ্যুত্থানের প্রাথমিক মাহাত্ম্য কী? বিগত সরকারের সর্বশেষ আড়াই বছরে নিত্যপণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। সরকারও বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি তেল, পানি ও সারের দাম দফায় দফায় বাড়িয়েছে। সরকার পতনের আন্দোলনে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণের এটি একটি বিশেষ কারণ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রথম ভাষণের কয়েক লাইন জুড়ে ছিল দ্রব্যমূল্য ইস্যু।

তিনি কথা দিয়েছেন জনগণের জীবনযাপন সহজ করতে দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার। সেই দৃষ্টে চেষ্টাও চলে। বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজারে টাকার সরবরাহ কমানোর নীতি নেয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ৫ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ ও আলু আমদানিতে শুল্ক-কর কমানো হয়। এর সুফল আসেনি। সেইসঙ্গে আরও কিছু পণ্যের দাম নতুন করে বাড়ে। চিনির শুল্ক-কর কমানোর পর ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। এ পদক্ষেপগুলোর সবই নেওয়া হয়েছে দাম বেড়ে যাওয়ার পর, আগে থেকে নয়। শুরুতেই এ ধরনের কিছু পদক্ষেপ নিলে অবস্থা এমন নাও হতে পারত। অবস্থা অনেকটা রোগীর মৃত্যুর পর ডাক্তার আসার মতো। ডাক্তার আগে ডাকলে রোগীর এমন দশা নাও হতে পারত। তা করলে ম্যাজিশিয়ানরা ম্যাজিকের এতো সময় পেত না। কারসাজির এমন সুযোগটা পেত না তারা। এখন তাদের রোখা একটু কঠিন হয়ে পড়েছে। সংস্কার আলোচনার চেয়ে নিত্যপণ্যের বাজার হয়ে গেছে বেশি আলোচ্য বিষয়।

লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

২৪ চেতনায় সবাইকে জাগ্রত হতে হবে : শামীম

পাওনা টাকা নিয়ে ঝগড়া, ভাতিজাকে খুন করে গ্রেপ্তার চাচা

আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

মাছের প্রজননে সময় না দিয়ে মানুষ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে : মৎস্য উপদেষ্টা

আজিজুল হক কলেজে কনসার্ট চলাকালে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাপসসহ ৩০ জনের নামে মামলা

কিছু মানুষের ব্রেইন সিটিস্ক্যান করে দেখার ইচ্ছা, কীভাবে এত ক্রিমিনাল হতে পারে?

কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে তৃণমূলের আস্থা হুদাতে

১ হাজারে দৈনিক সুদ ১০০ টাকা!

বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটেনের রাজা

১০

‘ড্রেসিংয়ে গেলে বলতেন আন্দোলনে গেছিলা ক্যান’

১১

৩১ দফা বাস্তবায়নে বিএনপি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ : যুবদল সম্পাদক

১২

শহীদ শাকিলের কবরে ছাত্র ফেডারেশনের শ্রদ্ধা নিবেদন

১৩

দুই দিনের ব্যবধানে সোনার দাম বৃদ্ধি, ভরি কত?

১৪

সাগরে লুঘচাপের মধ্যেই বৃষ্টি নিয়ে বড় দুঃসংবাদ   

১৫

আ.লীগের ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ : রাশেদ প্রধান

১৬

সাতছড়ি উদ্যান দখল করে প্রভাবশালীদের লেবু চাষ

১৭

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কমিটি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সংঘর্ষ

১৮

এবার মারা গেলেন পরীমণির প্রথম সিনেমার পরিচালক

১৯

বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীর ঠাঁই হবে না : আমিনুল হক 

২০
X