সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:২৫ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

রুশপন্থিদের অবস্থান ও ভূমিকা

রুশপন্থিদের অবস্থান ও ভূমিকা

রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে যেমন ঊনসত্তরের অভ্যুত্থানেও তেমনি বামপন্থিরাই ছিলেন প্রধান শক্তি। এবং উভয় ঘটনার সময়ই সরকারপক্ষ থেকে বামপন্থিদের শুধু সন্দেহ নয়, অভিযুক্তই করা হয়েছে। তবে বামপন্থিরা নিজেরা সুসংগঠিত ছিলেন না। কমিউনিস্ট পার্টির যে আত্মগত উত্তরাধিকারের বিষয় সেটাকে সঙ্গে নিয়েই তাদের এগোতে হয়েছে। এরই মধ্যে জুটেছিল আরও এক মস্ত বিড়ম্বনা, সেটা হলো আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট শিবিরে চীন-রাশিয়া বিরোধ। এ বিরোধের প্রভাব ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির ওপর এসে পড়েছিল, পূর্ববঙ্গের পার্টিও বাদ পড়েনি। উভয় ক্ষেত্রেই পার্টি ভাগ হয়ে গেছে।

প্রথমে বিভক্ত হয় ছাত্র ইউনিয়ন। ওই বিভাজনে নেতৃত্ব নিয়ে ব্যক্তিগত বিরোধের একটি উপাদান ছিল বৈকি, কিন্তু মূল কারণ মতাদর্শিক। তবে এ বিরোধের তাত্ত্বিক দিকটা যে খুব স্পষ্ট ছিল তা নয়।

১৯৫৬-তে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে দ্বিতীয় কংগ্রেসে গৃহীত সশস্ত্র বিপ্লবের অদূরদর্শী রণনীতি পরিত্যক্ত হয় এবং তার পরিবর্তে দোলক বিপরীত প্রান্তে পৌঁছে যায়; নতুন যে-রণনীতি গৃহীত হয় তাকে সংশোধনবাদীই বলা চলে। ওই কংগ্রেসে পাকিস্তানের (মূলত পূর্ববঙ্গের) কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন; তারাও ওই নতুন রণনীতিই সঙ্গে করে দেশে নিয়ে ফেরেন। পরিবর্তনটা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেই শুরু হয়। কারণ তখন স্ট্যালিন আর নেই, এবং ক্রুশ্চেভের অভ্যুদয় ঘটেছে। তবে এমনকি তখনকার ক্রুশ্চেভের আপসকামিতাকেও ছাপিয়ে উঠেছিল ভারতীয় পার্টির নতুন রণনীতি। পরবর্তীকালে, ১৯৫৭ সালে পূর্ববঙ্গের কমিউনিস্ট পার্টি স্বীকার করেছে যে, ১৯৫৬-তে অনুষ্ঠিত সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট রিপোর্টকে কিছু কমরেড ভুলভাবে বুঝেছিলেন। বিশেষ করে রিপোর্টে যে উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘কেউ কেউ মনে করেন, পার্লামেন্টের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পন্থায় ক্ষমতা দখলের সম্ভাবনাকে শ্রেণিসংগ্রাম ও গণসংগ্রাম বাদ দিয়ে শুধু আইনসভা ও নির্বাচনের মারফত সফলতা অর্জন করবেন’, সে-উক্তিটিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। ধরে নেওয়া হয়েছিল যে এতে সংসদীয় শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়েছে। ক্রুশ্চেভরা কিন্তু তখনো অতটা সংশোধনবাদী হয়ে ওঠেননি।

ওটা যদি ভুল হয়েও থাকে তবুও বলতে হবে যে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ওই ভুলটি করার জন্য আগ্রহী হয়ে পড়েছিল, বিশেষ করে কথিত উগ্রবামপন্থি রণনীতি গ্রহণের ফলে বিপর্যস্ত অবস্থাতে। নির্বাচনে পার্টির আগ্রহ অবশ্য আগে থেকেই ছিল। স্মরণীয় যে সুবিধা হবে না জেনেও ১৯৪৬-এর নির্বাচনে পার্টি অংশ নেয়।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পার্টির ওপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ব্রিটিশ আমলের চেয়েও নির্মম আকার ধারণ করে। পাশাপাশি নেতৃত্বে শূন্যতা দেখা দেয়। আমরাই জিতব, ভবিষ্যৎ আমাদের হাতেই, এ মনোভাব দুর্বল হয়ে পড়ে। এমন দুর্দশাতে পার্টি সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামী লীগের ভেতর থেকে কাজ করার এবং নিজস্ব গণসংগঠন, শ্রমিক সংগঠন, কৃষক সংগঠন, এমনকি ছাত্র সংগঠন গড়ে তোলাতেও উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। এর বিপরীতে নির্ভরশীলতা বাড়ে পার্টির প্রতি পেটি বুর্জোয়াদের সমর্থনের ওপর। বস্তুত পার্টি পেটি বুর্জোয়া বলয়ের ভেতরেই আটকে থাকে। অর্থাৎ কিনা বিভিন্ন দিক থেকেই পূর্ববঙ্গের কমিউনিস্ট পার্টি বিপ্লবী চরিত্র অর্জনে অক্ষম হয়ে পড়ে। আর কমিউনিস্ট পার্টি তো কমিউনিস্ট পার্টিই থাকে না যদি বিপ্লবী না হয়, যদি সামাজিক বিপ্লবের লক্ষ্যকে ধারণ ও প্রচার না করে।

পাকিস্তানের শাসকরা যে রাষ্ট্রকে পুঁজিবাদী বিকাশের দিকেই নিয়ে যাচ্ছে পার্টির নেতৃত্ব সেটাও খেয়াল করেনি। ব্রিটিশ আমলে শত্রু ছিল সাম্রাজ্যবাদ, সামন্তবাদ ও বৃহৎ পুঁজি; পাকিস্তান আমলে সামন্তবাদ ক্রমেই শক্তি হারাচ্ছিল, শক্তিশালী হচ্ছিল পুঁজিবাদ; অথচ পার্টি সামন্তবাদকে সেই আগের দৃষ্টিতেই দেখছিল।

লক্ষ্য হিসেবে পার্টি ঠিক করেছিল একটি জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব সম্পন্ন করাকে। সেটা ঠিকই ছিল; কিন্তু ওই বিপ্লবকে যে দ্রুত সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের দিকে নিয়ে যেতে হবে এ চিন্তাকে লালন করেনি। পার্টি স্ট্যালিনবাদ ত্যাগ করেছে এবং নিজেকে লেনিনবাদী বলে ঘোষণা করতে মোটেই কুণ্ঠা করেনি। কিন্তু পার্টির নেতৃত্ব লেনিনীয় অন্তর্দৃষ্টি থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত ছিল। দৃষ্টান্ত নেওয়া যাক। ১৯১৭-তে, বিপ্লবের পূর্বমুহূর্তে লেনিন যখন রাশিয়াতে ফিরছিলেন তখন সুইজারল্যান্ডের কমরেডদের উদ্দেশে লিখিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন যে, রাশিয়া হচ্ছে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পশ্চাৎপদ এবং বিপ্লবীদের পক্ষে সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে জয়লাভের সম্ভাবনা নেই, যে বক্তব্যটি ছিল তার রণকৌশল; অথচ ওই যাত্রাপথেই, ট্রেনের রুদ্ধদ্বার কামরাতে বসেই তিনি রাশিয়াতে বিপ্লবের মুহূর্ত যে এসে গেছে সেটা জানিয়ে তার বিখ্যাত এপ্রিল থিসিসটির খসড়া রচনা করেছিলেন। কমিউনিস্ট পার্টিকে বলা হয় শ্রমিকশ্রেণির অগ্রবাহিনী; লেনিনের পার্টি সবসময়ই ওই অবস্থানে থাকতে চাইত এবং থাকতও; কিন্তু পূর্ববঙ্গের কমিউনিস্ট পার্টি মেহনতিদের সামনে তো নয়ই, পাশেও থাকতে পারেনি, কখনো কখনো চলেছে পেছনে পেছনে। পার্টির বিরুদ্ধে লেজুড়বৃত্তির অভিযোগ রয়েছে; তবে সে-লেজুড়বৃত্তি যতটা না বুর্জোয়াদের ততোধিক ঘটনার। ঘটনা ঘটে গেছে আগে, পার্টি সাড়া দিয়েছে পরে, সক্রিয়ভাবে না এগিয়ে এগিয়েছে প্রতিক্রিয়াতে।

ওদিকে গণসংগঠনের অভাবে এবং প্রকাশ্যে কাজ করার প্রতিবন্ধকতায়, পার্টি নির্বাচনকেই ভালো তো বটেই, অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক কাজের ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছিল। ১৯৫৪-এর নির্বাচনে কমিউনিস্ট পার্টি সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করেছে লীগবিরোধী যুক্তফ্রন্ট গঠনকে সম্ভব করে তুলতে এবং যদিও প্রতিক্রিয়াশীলদের তৎপরতায় যুক্তফ্রন্টে কমিউনিস্ট পার্টিকে নেওয়া হয়নি, পার্টি তথাপি যুক্তফ্রন্টের ওপর ভরসা ত্যাগ করেনি। নির্বাচনে আগ্রহ পার্টির ওপর এমনভাবে আসর করে ফেলেছিল যে, বিভক্ত হওয়ার পরও সেটিকে ধারণ করে পার্টির রুশপন্থি ধারা আইয়ুব খানের বুনিয়াদি গণতন্ত্রের নির্বাচনেও অংশ নিয়েছে। ১৯৬৮-তে আইয়ুব যখন বুনিয়াদি গণতন্ত্রের ভিত্তিতে দ্বিতীয়বার একটি নির্বাচনী প্রহসনের আয়োজন শুরু করেন এবং যখন দেশ ঊনসত্তরের অভ্যুত্থানের দিকে এগোচ্ছে, অভ্যুত্থানের সূচনার যখন দুই মাস মাত্র বাকি, তখনো পার্টির রুশপন্থি ধারা আইয়ুবের ওই প্রহসনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। আওয়ামী লীগ জানায় তারা নির্বাচনে অংশ নিতে সম্মত নয়, মওলানা ভাসানী প্রকাশ্য জনসভায় বলেন তারা নির্বাচনে যাবেন না, পশ্চিম পাকিস্তানের রুশপন্থি ন্যাপ নেতারাও ছিলেন নির্বাচন বর্জনের পক্ষে; এমনকি অল্পদিন পরেই, রুশপন্থিরা যে ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন কমিটি (ডাক) গঠনে উদ্যোগ নেন, প্রতিক্রিয়াশীলদের নেতৃত্বে পরিচালিত সেই জোটটিও বুনিয়াদি গণতন্ত্রী নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। সবার তুলনাতেই পশ্চাৎমুখী ছিল রুশপন্থিদের এ সিদ্ধান্ত। এটি যে ভ্রান্ত ছিল তা প্রমাণের অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু ওই পার্টি কখনো স্বীকার করেনি যে তারা ভুল করেছিলেন; তারা বলেছেন সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল, কিন্তু পরিস্থিতির বিবেচনাতে তারা অন্যদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলেন। কমিউনিস্ট পার্টি অবশ্যই ভুল করতে পারে, ভুল করা মোটেই অস্বাভাবিক কিছু নয়, সংসারে অভ্রান্ত কে কবে, তবে নিয়ম হলো ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগোনো। রুশপন্থিদের মধ্যে তেমন কোনো মনোভাব দেখা যায়নি।

পার্টির মস্ত বড় ভ্রান্তি ঘটেছিল জাতি সমস্যার মীমাংসার প্রশ্নে। পাকিস্তান যে একটি বহুজাতিক রাষ্ট্র সে কথা পূর্ববঙ্গের অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টি রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সময়েই ঘোষণা করেছে; কিন্তু পরবর্তী সময়ে জাতি সমস্যার সমাধান না হলে যে শ্রেণি সমস্যা সমাধান বিঘ্নিত হবে এবং হচ্ছিলও, রুশপন্থি ধারা সেই বাস্তব সত্যটা মেনে নিতে পারেনি। সারা পাকিস্তান জুড়ে শ্রেণিসংগ্রাম অব্যাহত রাখবে এটাই তারা ঠিক করেছিল। সারা (অর্থাৎ অখণ্ড) পাকিস্তান যে পাঞ্জাবি শাসকদের প্রচারিত ধারণা, এটা তারা জেনেও মানতে চায়নি। ফল দাঁড়িয়েছিল এই যে, ঊনসত্তরের অভ্যুত্থান যখন গড়ে উঠছে তখনো তারা ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন কমিটি (ডাক)-এর সঙ্গে সারা পাকিস্তানব্যাপী আন্দোলনের পক্ষেই থেকেছে। আওয়ামী লীগ যে ডাক-এ যোগ দিয়েছিল সেটা কৌশলগত কারণে, ডাক-এর কর্মসূচিতে তারা শেখ মুজিবের মুক্তির দাবিকে অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছিল, রুশপন্থিরা কিন্তু যোগ দিয়েছিলেন আদর্শগত কারণে। জাতীয়তার প্রশ্নে তাদের বক্তব্য ছিল ‘উগ্র জাতীয়তাবাদ’ শ্রমিকশ্রেণির মুক্তি-আন্দোলনের জন্য ক্ষতিকর। এ কথাটা তারা বলেছিলেন ১৯৬৮-তে অনুষ্ঠিত নবগঠিত পার্টির প্রথম কংগ্রেসে। তাদের নির্দেশ ছিল অনেকটা সতর্কবাণীর মতো, উগ্র বাঙালি জাতীয়তাবাদ থেকে কমরেডরা যেন সতর্ক থাকেন, ওই ‘দুর্বৃত্ত’ পাছে কামড়ে দেয়। ‘পূর্ববঙ্গের শ্রমিকশ্রেণির সভ্যগণকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ হইতে সাবধান থাকিয়া প্রকৃত দেশপ্রেম ও আন্তর্জাতিকতাবাদী আদর্শে উদ্বুদ্ধ করিতে হইবে।’ যেন আন্তর্জাতিকতাবাদীরা দেশে বাস করেন না, যেন দেশপ্রেমিকদের পক্ষে আন্তর্জাতিক হওয়াটা অসম্ভব। সর্বহারা শ্রেণির কোনো ‘দেশ নেই’ এটা সত্য; কিন্তু দেশ না-থাকাটা অর্থাৎ উৎপাটিত ও আশ্রয়হীন অবস্থায় থাকাটা যে কাম্য ও আদর্শস্থানীয় এমন কথা কে বলল? সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠাকামীরা তো রুশ দেশেরই মানুষ ছিলেন, এবং তারা তো নিজেদের দেশকে মুক্ত করেছিলেন, সবার আগে। কেবল যে জারের স্বৈরশাসন থেকে তাই নয়, রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত পুঁজিবাদী ব্যবস্থার থেকেও। কাজটা তারা করেছিলেন শুধু যে রুশ দেশের মানুষকে মুক্ত করবেন এ লক্ষ্যে নয়, করেছিলেন বিশ্ব বিপ্লবের স্বার্থেও। জাতীয়তাবাদ তাদের শ্রেণিচেতনা ও শ্রেণিসংগ্রামকে স্তিমিত করে দেয়নি। তাদের দেশপ্রেম ও আন্তর্জাতিকতার ভেতর কোনো বিরোধ ছিল না, একটি অপরটির সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য গ্রন্থিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। কারণ তাদের ওই জাতীয়তাবাদ আগ্রাসী ছিল না, ছিল সামাজিক বিপ্লবকে সম্ভব করার লক্ষ্যে অঙ্গীকারাবদ্ধ। কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টোতে এ বক্তব্যটা খুব স্পষ্টভাবেই আছে।

বাস্তবতাটা তখন দাঁড়িয়ে গিয়েছিল এই রকমের যে, পূর্ববঙ্গের পক্ষে স্বাধীন হওয়াটা অপরিহার্য; প্রশ্ন হলো কার নেতৃত্বে সেটা ঘটবে? বাঙালি জাতীয়তাবাদীদের নাকি সমাজতন্ত্রীদের? রুশপন্থিরা চাননি ঘটনাটা সমাজতন্ত্রীদের নেতৃত্বে ঘটুক। এমনকি তারা এটাও বলতে পারেননি যে পাকিস্তান নামের রাষ্ট্রটি না ভাঙলে বাঙালির তো বটেই, অন্য জাতিসত্তাগুলোরও মুক্তি নেই। বস্তুত তারা তো তখন চানইনি যে পূর্ববঙ্গ স্বাধীন হোক। তাদের রণধ্বনিটা ছিল ‘পূর্ব-পশ্চিমে একই আওয়াজ কায়েম করো গণরাজ’। ওই লক্ষ্যে কাজ করতে গিয়ে তারা আওয়ামী লীগকে সহায়তা দিলেন আন্দোলনের নেতৃত্ব নিয়ে নিতে। দেশ কিন্তু স্বাধীন হতে পারত সমাজতন্ত্রীদের নেতৃত্বেই। সে ঘটনা ১৯৪৭-এ ঘটল না। ঘটল না ১৯৭১ সালেও। কমিউনিস্টদের যা অর্জন সেটা চলে গেল জাতীয়তাবাদীদের দখলে।

লেখক : ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে

ইসরায়েলি হামলার পর ইরান এখন কী করবে

ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের সদস্য করার প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো

১৩ বছর পর বাংলাদেশে আসছে জাল ব্যান্ড

নতুন ওয়েব ফিল্মে মেহজাবীন

আওয়ামী লীগ দেশকে মগের মুল্লুকে পরিণত করেছে : মির্জা ফখরুল

দুই হলুদের পরও মার্তিনেজ কেন পেলেন না লাল কার্ড?

রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন

ইসরায়েলের হামলা / মসজিদে জড়ো হচ্ছেন ইরানি নারী-পুরুষরা

১১৫ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক ৫ মাদক কারবারি

১০

ইরানে হামলার পর নাগরিকদের ইসরায়েল ছাড়তে বলল অস্ট্রেলিয়া

১১

আত্রাই নদী এখন মরা খালে পরিণত, দুশ্চিন্তায় কৃষক-জেলেরা

১২

শীর্ষে ফেরা কঠিন মোস্তাফিজের

১৩

রেখা ট্র্যাজেডি হার মানাবে হৃদয়বিদারক সিনেমাকেও

১৪

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচন / ডিপজলকে নিয়ে ভয় কাজ করছে না : নিপুন

১৫

শনিবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

১৬

ইসরায়েলের হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার যা হলো

১৭

ইরানে ইসরায়েলের হামলা পর বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম

১৮

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২৭

১৯

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচন / মাইকে ডেকেও ভোটার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না

২০
*/ ?>
X