রীতা ভৌমিক
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৮:৫১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মেলেনি ৫২ বছরেও

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মেলেনি ৫২ বছরেও

আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, জাতীয় গণহত্যা দিবস। মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত অধ্যায়। একাত্তরের এই দিনে এক বিভীষিকাময় রাত নেমে আসে বাঙালি জাতির জীবনে। নিরপরাধ, নিরস্ত্র, ঘুমন্ত বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। পূর্বপরিকল্পিত অপারেশন সার্চলাইটের নীলনকশা অনুযায়ী, বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে চালানো হয় এই হত্যাযজ্ঞ। নির্মম সেই হত্যাযজ্ঞে শহীদদের স্মরণে প্রতিবছর ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়। তবে ৫২ বছর পার হলেও আজ পর্যন্ত মেলেনি সেই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। দিনের পর দিন ফিঁকে হয়ে যাচ্ছে সেই সম্ভাবনাও।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম কালবেলাকে বলেন, ‘যথেষ্ট তথ্যউপাত্ত ও প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর শক্তিশালী অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের গণহত্যার স্বীকৃতি লাভ কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে সরকার গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে চেষ্টা করছে।’ ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থেকে ট্যাঙ্ক-কামান নিয়ে বের হয়। সেই রাতে ও পরদিন ২৬ মার্চ ঢাকার নীলক্ষেত, পলাশী, রেলওয়ে বস্তিগুলোতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আগুন

ধরিয়ে দেয়। তাদের অনেকেই শহীদ হয়েছেন। তাদের সংখ্যা কত, তা নির্ণয় করা সম্ভব নয়।

পাকিস্তানি সেনাদের হাতে আটক হওয়ার আগে সেই রাতে পরপর তিনবার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রথমটি ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১০টা, দ্বিতীয়টি রাত সাড়ে ১১টা এবং তৃতীয়টি রাত সাড়ে ১২টায়। তার তৃতীয় স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্ববাসী বাংলাদেশের গণহত্যার কথা প্রথম জানতে পারেন।

স্বাধীনতার ঘোষণাটি ছিল, ‘পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অতর্কিত পিলখানায় ইপিআর ঘাঁটি ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স আক্রমণ করেছে এবং শহরের লোকদের হত্যা করেছে। ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় যুদ্ধ চলছে। আমি বিশ্বের জাতিসমূহের কাছে সাহায্যের আবেদন করছি। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা বীরত্বের সঙ্গে মাতৃভূমি মুক্ত করার জন্য শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে।’

২৫ থেকে ২৭ মার্চ ঢাকায় নিরীহ মানুষের ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞ সম্পর্কে তিন বিদেশি সাংবাদিক সিডনি শেনবার্গ, জেটলিন ও দ্য টাইমসের সাংবাদিক লুইস হেরেন জানান, এয়ারপোর্টে যাওয়ার সময় তারা স্বচক্ষে দেখেছেন, বস্তির লোকদের হত্যা করা হয়েছে। তাদের মতে, ওই তিন দিনে ঢাকা শহরে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়। এর মধ্যে মাত্র ৭ হাজার শহীদকে শনাক্ত করা হয়।

গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন কালবেলাকে বলেন, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়টি এখনো অস্পষ্ট। যদিও গণহত্যার ৫২ বছর পেরিয়ে গেছে। এত বছর পর আমেরিকা, ইউরোপের দেশগুলোকে বিভিন্ন রকম তোয়াজ করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পক্ষে আমি নই। তিনি বলেন, আমাদের দেশের গণহত্যা প্রচার হোক এটা একসময়ের রাজনৈতিক মহল চায়নি। কিন্তু এখন আমরা বাংলাদেশের গণহত্যার কথা প্রচার করতে পারি। দ্বিতীয়ত এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপালকে বলা যেতে পারে, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদানের কথা। এজন্য ইউরোপের দেশগুলোর ওপর নির্ভর করতে হবে কেন? এশিয়া মহাদেশের দেশগুলো তাদের পার্লামেন্টে বাংলাদেশের গণহত্যার কথা তুলে ধরে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রস্তাব করলেই স্বীকৃতির পথ সুগম হবে।

সেই হত্যাকাণ্ডে শহীদ হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষক, ১০১ ছাত্র, ১ কর্মকর্তা এবং ২৮ কর্মচারী। জগন্নাথ হলে গণহত্যার প্রত্যক্ষ সাক্ষী সেই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তপন কুমার বর্ধন। পাকিস্তানি সেনাদের নৃশংসতার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে টাঙ্গাইলের কাগমারী সরকারি কলেজের সাবেক এই অধ্যক্ষ বলেন, ‘২৫ মার্চ সকাল থেকেই চাপা উত্তেজনা লক্ষ করি। রেডিওতে জানতে পারি, ইয়াহিয়া ও ভুট্টো ঢাকা ত্যাগ করেছে। আনুমানিক রাত ১২টা-সাড়ে ১২টার দিকে পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র দেবী নারায়ণ রুদ্র পালের ডাকে রুমে তালা লাগিয়ে বেরিয়ে আসি। তিনি আমাকে জানান, হল রেইড হতে পারে। আমরা নেতৃবৃন্দের কাছে সঠিক সংবাদ জানার জন্য ইকবাল হলের দিকে রওনা হই। ততক্ষণে ইকবাল হলে পাকিস্তানি সেনারা আক্রমণ চালায়। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানি হানাদাররা ইউ.ও.টি.সি অফিসের কাছ থেকে জগন্নাথ হলে আক্রমণ চালায়। আমরা প্রাণভয়ে দৌড়ে হলের কর্মচারী সীতানাথের কোয়ার্টারে ঢুকি। পাকিস্তানি সেনারা অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, মর্টার ও মেশিনগান ব্যবহার করে নিরস্ত্র ছাত্রদের হত্যা করে। কোনো ছাত্র পেয়ে গেলে ওরা পৈশাচিক আনন্দে চিৎকার করে বলছিল, ‘ওস্তাদ, চিড়িয়া মিল গিয়া।’ হানাদাররা চলে গেলে হামাগুড়ি দিয়ে ডাইনিং হলের পাশ ঘেঁষে গেটে এসে দেখি অসংখ্য লাশ স্তূপাকারে পড়ে আছে।’

গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত ‘ঢাকায় গণহত্যার প্রথম পর্ব’ গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে আক্রমণ চালায়। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে এসআই, সুবেদার, নায়েক, হাবিলদার, সিপাহিসহ প্রায় দেড়শ বীর পুলিশ যোদ্ধা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি হন। একাত্তরের ২৫ থেকে ২৮ মার্চ ঢাকা জেলায় ৫০, ঢাকা বি আর পির ১৪০ পুলিশ নিহত হন। ঢাকার টেলিকম অফিসের ৭ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী শহীদ হন। একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনারা নারিন্দা, পুরানা পল্টন, কোতোয়ালি, বাবুবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ চালিয়ে নিরীহ পুলিশদের হত্যা করে। ২৬ মার্চ পাকিস্তানি সেনারা শাঁখারীবাজারে দুপুর ২টা থেকে আড়াইটার দিকে অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে ১৪ জনকে হত্যা করে। মোট ৫৪ জন শহীদ হন শাঁখারীবাজারে। ২৮ মার্চ রাজাকাররা ডা. নিশি হরি নাগকে (৬৫) হত্যা করে। ২৭ মার্চ সকাল ১১টার দিকে পাকিস্তানি সেনারা বিউটি বোর্ডিং ঘেরাও করে। মালিক প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহাসহ তার বন্ধুবান্ধব, বোর্ডার, কর্মচারীসহ ১৯ জনকে ধরে নিয়ে যায়। অন্যত্র নিয়ে পাকিস্তানি সেনারা ১৮ জনকে হত্যা করে। একাত্তরের ২৭ মার্চ দিবাগত রাতে রমনা কালীমন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রমে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অতর্কিত আক্রমণ চালায়। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দ্বারা নিহত ৫৯ জন শহীদের নাম পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হরিনাথ দেকে ২৭ মার্চ মালাকাটোলার বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। তার ছেলে চক্রপানি দে (লাপ্পু) কালবেলাকে বলেন, ২৭ মার্চ রাতে হানাদাররা বাবাসহ আমাদের প্রতিবেশী ইন্দ্রমোহন পাল, বিপ্লব কুমার দে খোকন, দুলাল চন্দ্র দে, লালমোহন সাহা, মনিলাল সাহা, গোলাপ চাঁন সাহা, ক্ষিতিস চন্দ্র নন্দী, প্রাণকৃষ্ণ পাল, বিশ্বনাথ দাসকে (পল্টু) লোহারপুর ব্রিজের সামনে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। একাত্তরের ২৩ মার্চ মিরপুরে কবি মেহেরুন্নেসা তার বাড়িতে স্বাধীন পতাকা উড়িয়েছিলেন। অবাঙালিরা ১৯৭১-এর ২৭ মার্চ সকাল ১১টার দিকে ডি-ব্লকের ৬ নম্বর বাড়িতে ঢুকে কবি মেহেরুন্নেসা, তার মা ও দুই ভাইয়ের শিরশ্ছেদ করে।

রমনা কালীমন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রমে একাত্তরের ২৭ মার্চ দিবাগত রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হামলায় শহীদ হন প্রায় শতাধিক। তাদের মধ্যে মন্দিরের পুরোহিত শ্রীমৎ স্বামী পরমান্দ গিরি, সাংবাদিক শিবসাধন চক্রবর্তীসহ ৫৯ শহীদের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে বললেন পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে আহত শংকর লাল ঘোষ।

ইতিহাসবিদ ড. ফিরোজ মাহমুদ বলেন, একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে সাধারণ মানুষ নীলক্ষেতে শহীদ হয়েছেন। নিউমার্কেটের কাঁচাবাজারের সব কসাইকে হত্যা করা হয়েছিল। তাদের লাশ ছাগলের সঙ্গে পড়ে ছিল।

ওই সময় আহতদের চিকিৎসা সেবাদানকারী ডা. মাখদুমা নার্গিস রত্না জানান, লালবাগ, আজিমপুর, পলাশীর বস্তিগুলোতে ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনারা হত্যাকাণ্ড ও অগ্নিকাণ্ড চালায়। ২ এপ্রিল বোরকা পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যাই। শিক্ষকদের কোয়ার্টারের দরজা, জানালা খোলা, ঘরের ভেতরে লাশ, ভবনের রেলিংয়ে শকুন দেখি। লাশগুলোকে শকুনে ছিঁড়ে খাচ্ছিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ কালবেলাকে বলেন, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছিল। কত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এর সংখ্যা বের করতে সময় লাগবে। এই গণহত্যায় আলবদর, আলশামসরাও সহায়তা করেছিল। ঢাকা শহরে একাধিক গণকবর পাওয়া গেছে। ২৫ থেকে ২৭ মার্চ তিন দিনের ঘটনাই গণহত্যা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট।

তিনি আরও বলেন, গণহত্যার আন্তজার্তিক স্বীকৃতি পাওয়া একটি রাজনৈতিক বিষয়। আমেরিকা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানকে সহায়তা করেছিল। সেই আমেরিকার অনেকে একাত্তরের গণহত্যাকে জেনোসাইড বলছে। যুদ্ধে সহায়তা করার কারণে আমেরিকা বিভিন্ন অজুহাতে গণহত্যার স্বীকৃতি দিচ্ছে না।

এদিকে, বাংলাদেশ সফররত এশিয়া জাস্টিস অ্যান্ড রাইটসের প্রেসিডেন্ট আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ প্যাট্রিক বার্জেস সম্প্রতি এক সেমিনারে বলেন, বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম রক্তপাতের ঘটনাকেও গণহত্যার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে অভ্যুদয়ের সময় সংঘটিত গণহত্যার প্রতি বিরূপ আচরণ করা হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা দিলেন না বুয়েট শিক্ষার্থীরা

প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করলে প্রেমিকা দায়ী নন : দিল্লি হাইকোর্ট

কিশোরগঞ্জে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী মামা-ভাগ্নে নিহত

মা হারালেন বেবী নাজনীন

সেলস এক্সিকিউটিভ পদে নিয়োগ দেবে উইকন

মোস্তাফিজের ‘বিকল্প’ নিল চেন্নাই!

বিশ্ববাজারে কমছে সোনার দাম

৪ দিন পর জবিতে উদযাপিত হলো বাংলা নববর্ষ 

মাদ্রিদের রক্ষণাত্মক কৌশলের সমালোচনা করতে চান না গার্দিওলা

খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমলেও বেড়েছে বোতলজাতের

১০

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

১১

পুকুর থেকে পলিথিনে মোড়ানো নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার

১২

রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ বন্ধ হচ্ছে ২৫ এপ্রিল

১৩

জামাইয়ের বাড়িতে শ্বশুর-শ্যালক মিলে চুরি

১৪

মালয়েশিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর 

১৫

রক্ষণাত্মক খেলা ছাড়া সিটিকে হারানোর উপায় দেখছিলেন না আনচেলত্তি

১৬

স্নাতক পাসে ব্র্যাক ব্যাংকে চাকরির সুযোগ

১৭

আধিপত্য বিস্তারের জেরে কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষ, নিহত ১

১৮

ট্রেনে কাটা পড়ে দিনমজুরের মাথা শরীর থেকে আলাদা

১৯

শনিবার ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

২০
*/ ?>
X