রাজন ভট্টাচার্য
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৩, ০৯:৩২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে পর্দার আড়ালে আলোচনা

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে পর্দার আড়ালে আলোচনা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে পর্দার অন্তরালে চলছে আলোচনা। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে এই আলোচনায় মধ্যস্থতায় আছেন বিদেশি কূটনীতিকরা। একদিকে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে বিএনপির অনড় অবস্থান, অন্যদিকে বিদ্যমান সংবিধানের বাইরে কোনো পদক্ষেপ নিতে নারাজ আওয়ামী লীগ। এ অবস্থায় দুপক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি পথ খোঁজা হচ্ছে। সমাধানের সেই চেষ্টা থেকেই সামনে এসেছে বিএনপিকে নির্বাচনকালীন সরকারে জায়গা দেওয়ার আলোচনা। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে তারই প্রতিফলন ঘটেছে বলে জানা গেছে।

গত রোববার সেতু কর্তৃপক্ষের এক সভা শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপি আগামী নির্বাচনে আসার ঘোষণা দিলে তাদের নির্বাচনকালীন সরকারে রাখার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে আওয়ামী লীগ।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের এ বক্তব্যের পরই রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনায় আসে নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুটি। তবে এরই মধ্যে নির্বাচনকালীন সরকারে যাওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন, আগে সরকারের পদত্যাগ। তারপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা।

সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তব্য, আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে আনতে এ ধরনের প্রস্তাব একেবারেই হাস্যকর। তারা সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দিয়ে বলেছেন, জনস্বার্থে সংবিধান সংশোধন করে ক্ষমতাসীন দল সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করতে পারে। তা চায় না বলেই উদ্ভট প্রস্তাব দিয়ে রাজনৈতিক আলোচনা তৈরি হবে। এতে কাজের কাজ কিছুই হবে না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপিকে নির্বাচনমুখী করতে এটি ক্ষমতাসীন দলের একটি কৌশলমাত্র। এমন প্রস্তাবের মাধ্যমে বড় দুই রাজনৈতিক দলের দূরত্ব কমবে—এমন আশা করছেন না তারা।

তাদের মতে, এ ধরনের প্রস্তাব চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধানের পথ দেখাবে না। বরং এই প্রস্তাবকে এক ধরনের ধোঁকাবাজি হিসেবেও দেখেন কেউ কেউ। রাজনৈতিক সংকট সমাধানে উভয় পক্ষকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় দিয়ে গ্রহণযোগ্য সমাধানের পথে হাঁটার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। বলেছেন, অন্যথায় রাজপথে সংঘাত অনিবার্য। এতে দেশ আরও পিছিয়ে যাবে। বাড়বে নানামুখী সংকট।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগে সাবেক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এ ধরনের বক্তব্যের কোনো অর্থই বহন করে না। কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই এ ধরনের প্রস্তাবকে আওয়ামী লীগের ধোঁকাবাজি মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনের আনতে যে ধরনের রাজনৈতিক জটিলতা তৈরি হয়েছে, এই প্রস্তাব কোনো অবস্থাতেই সমাধানে পথ তৈরি করবে না।

তিনি বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থান একেবারেই স্পষ্ট। দলটি বলেছে, সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। সেদিকে না গিয়ে আওয়ামী লীগ মাঝেমধ্যে অর্থহীন কথা বলে, এসব কথা শুনতে শুনতে মানুষ একেবারেই ক্লান্ত হয়ে গেছে। এসব বলে তারা কী লাভ পায় আমি জানি না। তাই অর্থহীন কথা না বলে আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের পথে হাঁটার পরামর্শ দিয়েছে তিনি।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে আওয়ামী লীগ নানা কৌশল অবলম্বন করবে এটাই স্বাভাবিক। এ কৌশলকে রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে দেখবে সেটা তাদের বিবেচনার বিষয়।

২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় রাজনীতির মাঠ। তখন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দেয় আওয়ামী লীগ। ৯ বছর আগে নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ে আওয়ামী লীগের দেওয়া ওই প্রস্তাব বিএনপি গ্রহণ করেনি। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচন শেষ হয়।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান এখনো ২০১৪ সালের জায়গায় রয়ে গেছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপিসহ বিভিন্ন দল দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে ছিল। রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারে থেকেই নির্বাচন করেছিল। সে সময়ও সংবিধানের বাইরে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় সরকারের দাবি মানতে রাজি হয়নি আওয়ামী লীগ। সেবার বিএনপি নির্বাচন বয়কট করলেও নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। ভোট নিয়ে বিতর্ক হলেও পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করে আওয়ামী লীগ।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনও হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে। বিএনপি সেই নির্বাচনে অংশ নিলেও সুবিধা করতে পারেনি।

গত ৯ বছরে রাজনৈতিক বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সন্দেহ, অবিশ্বাস প্রকট হয়েছে। বেড়েছে রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানসিক দূরত্বও। এখন দুই রাজনৈতিক দলের অবস্থান দুই মেরুতে বলা যায়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপিসহ বিভিন্ন দল নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পুরোনো দাবিতেই আন্দোলনে রয়েছে। দাবি আদায়ে এবার দলটি চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলছে। এমন পটভূমিতে আওয়ামী লীগ তাদের অধীনে নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপিকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় দেওয়ার সেই পুরোনো প্রস্তাব সামনে নিয়ে এসেছে। এর সঙ্গে সেই পুরোনো শর্তের কথাই বলা হচ্ছে যে বিএনপিকে আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিতে হবে।

গত রোববার বনানীর সেতু ভবনে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তখন একজন সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, ‘২০১৪ সালের ভোটের আগে নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। এখন নির্বাচনের সময় বিএনপির কাউকে মন্ত্রিত্ব দেওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না?’

সাংবাদিকের এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত যদি নিতে হয়, তাহলে সংবিধানের মধ্যেই থাকতে হবে। সংবিধানে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকলে আপনি যেটা বললেন, এটাতে কোনো অসুবিধা নেই।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, “বিএনপি যদি বলে, ‘আমরা নির্বাচনে আসব।’ নির্বাচনে এলে তখন এক কথা। তারা নির্বাচন করবেই না তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া। তারা এই সংসদকে চায় না। মন্ত্রিসভা, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চায়। এসব শর্তারোপের মধ্যে আমরা কীভাবে বলব যে আপনারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিতে আসুন বা অন্য কোনো মন্ত্রণালয় আপনাদের দিচ্ছি? তাদের তো সম্পূর্ণ উত্তর আর দক্ষিণ মেরুর অবস্থান।”

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপিকে নির্বাচনকালীন সরকারে রাখার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে কী ভাবছে রাজপথে আন্দোলনরত বিএনপি। ওবায়দুল কাদেরের প্রস্তাব ‘জনগণকে বিভ্রান্ত করার আরেকটি চক্রান্ত’ বলে মনে করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গতকাল মঙ্গলবার দলের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনকালীন সরকার হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। ২০১৮ সালে আমরা শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করে তার সঙ্গে সংলাপে বসেছিলাম। সেই সংলাপে যে সমস্ত কথা তিনি দিয়েছিলেন, সেগুলোর একটাও রক্ষা করেননি। সুতরাং ওবায়দুল কাদেরের কথায় আস্থা রাখা, বিশ্বাস করা—এটার প্রশ্নই উঠতে পারে না। এগুলোকে আমি মনে করি, এটা আরেকটি চক্রান্ত জনগণকে বিভ্রান্ত করার। তারা বলবে যে, এ তো আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। ওরা শুনছে না, যাচ্ছে না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। বর্তমান সরকার পদত্যাগ করার পর নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে, এটিই তাদের অবস্থান।’

অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলছেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী দলের অব্যাহত আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের ভেতরে বিভিন্ন সময় নানা কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং হচ্ছে। নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপিকে রাখার বিষয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যকে তারা কৌশলের অংশ হিসেবে দেখছেন অনেকেই।

বিএনপিকে নির্বাচনকালীন সরকারের রাখার বিষয়ে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম কালবেলাকে বলেন, ‘দলের সাধারণ সম্পাদক বিএনপিকে কী উদ্দেশ্যে নির্বাচনকালীন সরকারে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন তা আমি বলতে পারব না। এর ব্যাখ্যা তিনিই ভালো দিতে পারবেন। এই প্রস্তাবের অর্থ কী? তিনি কি বলতে বা বোঝাতে চেয়েছেন আমার জানা নেই।’

এ বিষয়ে সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘আমাদের যে সরকার ব্যবস্থা, সেখানে ৯৯ শতাংশ ক্ষমতার মালিক প্রধানমন্ত্রী নিজে। বাকি সবাই মিলে ১ শতাংশ। সেখানে কে কয়টা মন্ত্রণালয় পেল, তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। কারণ, সেখানে গিয়ে কারও পক্ষে কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব নয়, যতক্ষণ এই এককেন্দ্রিক ক্ষমতার পরিবর্তন না হয়। তাছাড়া আমরা তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই। যদি সরকার তা না চায় তাহলে এটা পরিষ্কার সরকার কারও দাবিকে তোয়াক্কা করছে না।’

অবশ্য ওবায়দুল কাদেরের এই প্রস্তাবকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন ১৪ দলের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। কালবেলাকে তিনি বলেন, ‘এর ফলে চলমান রাজনৈতিক টানাপোড়েন মিটবে কি না, তা আমি বলতে পারব না। তবে, বিএনপি যদি ক্ষমতাসীন দলের প্রস্তাব গ্রহণ করে তাহলে তো তাদের নির্বাচনকালীন সরকারে অংশ নিতে কোনো বাধা নেই। তারা নিশ্চয়ই দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ / স্বাধীনতা দিবসের নামে চাঁদা দাবি করায় ইউএনওর ২ স্টাফ বদলি

স্কুটারে বসেই অফিস করছেন তিনি, ভিডিও ভাইরাল

মোস্তাফিজদের ম্যাচ দেখায় নতুন রেকর্ড

এখনো যুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে ফিলিস্তিনিরা

‘বিএনপি নেতাদের কথা শুনলে জিয়াউর রহমানও লজ্জা পেয়ে যেতেন’

কুমিল্লায় গত ১১ মাসে শতাধিক মামলায় গ্রেপ্তার ৪৬৭

বৃষ্টি হলেই সড়ক হয়ে যায় পুকুর, জনদুর্ভোগ চরমে

ব্রিটিশ গণমাধ্যমের তালিকা / পেলে-ম্যারাডোনা নয় সর্বকালের সেরা মেসি

আইপিইউ সম্মেলন শেষে দেশে ফিরলেন স্পিকার

৫ হাজার মূল্যের বাতি ২৭০০০ টাকায় কিনেছে রেল!

১০

মেট্রোরেলের ওপর দিয়ে যাওয়া ইন্টারনেট-ডিসের তার অপসারণের নির্দেশ

১১

২০০ বছরের পুরোনো ‘গায়েবি’ মসজিদের গুপ্ত তথ্য

১২

বিএনপির নেগেটিভ রাজনীতি মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে : ওবায়দুল কাদের

১৩

জজশিপের কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে দুদিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

১৪

সিরিয়ায় ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ৩৬ সেনা

১৫

জাভির পর কে হবেন বার্সা কোচ!

১৬

১ ঘণ্টায় শেষ রেলের ১৪ হাজার টিকিট

১৭

বিজিএপিএমইএর নির্বাচনের প্যানেল ঘোষণা

১৮

গুগলে ৪ বিষয়ে এড়িয়ে না গেলে বিপদ

১৯

নাটোরে স্কুলছাত্রের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, ৪ বন্ধু আটক

২০
*/ ?>
X