রাজধানীতে ভাংচুর-আগুন : গয়েশ্বর ও এ্যানিসহ আসামি ৫ শতাধিক

সায়েন্স ল্যাবে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ।
সায়েন্স ল্যাবে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ।ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি থেকে রাজধানীর ধানমন্ডি ও নিউমার্কেট এলাকায় ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেছে পুলিশ। এতে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ অন্তত ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার এ ঘটনার পর গতকাল বুধবার ধানমন্ডি থানা ও নিউমার্কেট থানায় ওই মামলা হয়। ধানমন্ডি থানার মামলায় পুলিশের কাজে বাধা, হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে ৫২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে। নিউমার্কেট থানার মামলায় পুলিশের ওপর আক্রমণ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়েছে, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা পরস্পর যোগসাজশে পুলিশকে হত্যার উদ্দেশে আক্রমণ, ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ঘটনাস্থল থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধারের কথাও বলা হয় এজাহারে।

ওই দুই মামলার মধ্যে ধানমন্ডি থানায় ২৭ জন এবং নিউমার্কেট থানায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এই ৩৭ জনকে গতকাল আদালতে হাজির করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ ১২ জনকে তিন দিন করে এবং নিউমার্কেট থানা পুলিশ ১০ জনকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত ধানমন্ডি থানার মামলায় ১২ জনের এক দিন করে এবং নিউমার্কেট থানার মামলায় আটজনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমসহ ১৭ জন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।

দুই মামলার এজাহারভুক্ত অপর আসামিরা হলেন, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আব্দুস সালাম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসাহাক সরকার, বিএনপি নেতা সোহরাব হোসেন, আনাচ, এজাজুল হাসান শিবলী, শেখ খালিদ হাসান জ্যাকি, জাকির হোসেন, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, ছাত্রদল নেতা আব্দুস সাত্তার, আবুল খায়ের লিটন, মহিলা দল নেত্রী রুমা, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সজীব, ছাত্রদলকর্মী ছানা, সাহাদাৎ, জেসি এবং জাহাঙ্গীর।

এ ছাড়াও নিউমার্কেট ২১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. সবুজ মোল্লা, মো. মনিরুজ্জামান, মো. সবুজ, ইরাক শেখ, মো. রিপন, মো. মকবুল হোসেন, মো. আক্তার হোসেন, মো. সোহাগ মাল, মো. শাওন মিয়া, রাইসুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সাবেক সহসভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবীর, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আহ্বায়ক রাহিমা আক্তার নীলা, সদস্য সচিব পারভীন আক্তার, কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা আনিসুর রহমান খোকন, মীর নেওয়াজ আলী, অ্যাডভোকেট মো. মকবুল হোসেন সরদার, রবিউল আলম, আব্দুস সালাম, মো. জাহাঙ্গীর আলম পাটোয়ারী, মো. আমির হোসেন, আল মামুন শিমুল, শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, ইউনুস পাটোয়ারী বাচ্চু, মো. জাকির হোসেন, সোহেল রানা, মো. সুমন, মো. আসিফ হক, মো. আশ্রাফ হোসেন শিমুল ও সুমন চৌধুরীকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে।

ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া কালবেলাকে বলেন, মামলার পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার ও অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের শনাক্ত করতে কয়েক আসামিকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

নিউমার্কেট থানার ওসি শফিকুল গণি সাবু বলেন, মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com