রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জোরালো ভূমিকা রাখতে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট জি-২০ নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিল্লিতে জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
সম্মেলনের শুরুতে জি-২০’র সভাপতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রাষ্ট্রপতি ভবন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ড. আব্দুল মোমেনসহ ৪০ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। উদ্বোধনী পর্বে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও বার্তায় সবাইকে স্বাগত জানান।
সম্মেলনে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অবদান রাখছে—এমন মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে দীর্ঘস্থায়ী বসবাস এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। তাই তাদের দ্রুত নিজ দেশে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।
আব্দুল মোমেন বলেন, চলমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, বাণিজ্য ও সরবরাহ চেইন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর কারণে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিও অস্থিতিশীল হচ্ছে।
ড. মোমেন বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রতিরোধে জি-২০ দেশগুলোকে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অর্থায়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি পূরণের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল বরাদ্দ এবং বাস্তবায়নের জন্য জি-২০ জোটের প্রতি অনুরোধ করেন।
জি-২০ বৈঠকের সাইডলাইনে ড. মোমেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কলোনা, স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসে ম্যানুয়েল আলবারেস এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রবিষয়ক ভাইস মিনিস্টার লি দো-হুনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতাকে আরও গভীর করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।