
ময়মনসিংহের ত্রিশালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে একটি মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে দম্পতি, শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত পাঁচজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত রোববার রাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাঙামাটি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ধোবাউড়া উপজেলার খামারবাসা গ্রামের আক্কাস আলী, তার স্ত্রী দোলেনা খাতুন, তোতা মিয়ার স্ত্রী রেজিয়া খাতুন, মুন্সিপাড়া গ্রামের রুবেলের ছেলে আশিক (৭) ও উত্তর গোপীনগরের আইয়ুবের স্ত্রী জরিনা। আহত অবস্থায় তোতা মিয়া, হামিদুলের দুই বছর বয়সী শিশু ইয়াসিন, নিহত শিশু আশিকের বাবা রুবেল ও মা ফেরদৌসী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ত্রিশাল থানার ওসি মাইন উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থলে চারজন ও ঢাকায় নেওয়ার পথে একজন মারা যান।
ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মাসুদ সরদার বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাস থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে সিলিন্ডার গ্যাসের লিকেজ হয়ে গাড়িতে আগুন ধরে যায়।
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুস্তাফিজার রহমান জানান, প্রতিটি লাশ সৎকারের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হচ্ছে।
ত্রিশাল থানায় লাশঘরের সামনে দাঁড়িয়ে লাশের অপেক্ষায় রেজিয়ার মেয়ে মিনারা খাতুন। ‘আম্মা তুমি কই গেলাগা, ছয় ভাই-বোনকে রাইখ্যা তুমি কেমনে গেলা, অহন কারে আমরা আম্মা কইয়া ডাকমু’—এমন কান্নায় বিলোপ করছিলেন তিনি।
ঢাকার শাহজাদপুরে হোটেল ব্যবসার সুবাদে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সেখানেই থাকতেন আক্কাস আলী। তার পরিবারে দুই ছেলে ও এক মেয়ের রয়েছে। সম্বন্ধী শাহাবুদ্দিনের মেয়ে তানজিনার বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে ধোবাউড়া থেকে সপরিবারে ঢাকায় কর্মস্থলে ফিরছিলেন আক্কাস। তাদের বিয়ের আনন্দ আর ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছায়নি।