রাজকুমার নন্দী
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:১৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বিদেশিদের মন গলাতে তৎপর বিএনপি

বিদেশিদের মন গলাতে তৎপর বিএনপি

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিদেশি কূটনীতিকদের আনাগোনা বেড়েছে। দেশে একের পর এক সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের শীর্ষ কূটনীতিক। প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ছাড়াও ঘুরেফিরে আসছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা।

আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিয়েও মতামত দিচ্ছেন বিদেশিরা। তবে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক করছেন না তারা। ফলে নির্বাচনের আগে কূটনৈতিক তৎপরতায় দলটি পিছিয়ে পড়ছে কিনা—এমন প্রশ্ন তুলছেন বিশ্লেষকরা।

অবশ্য ঢাকা সফরে আসা কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা না হলেও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত নন বিএনপি নেতারা। কারণ, দলটির কূটনৈতিক উইং ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে, দেশের সর্বশেষ মানবাধিকার ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাদের অবহিত করে, তাদের সঙ্গে নিয়মিত চা-চক্রে মিলিত হয়। বিএনপি নেতারা বলছেন, বিএনপির অবস্থান বিদেশিদের কাছে স্পষ্ট। তাই সফর আসা কূটনীতিকদের সঙ্গে তাদের বৈঠকের দরকার নেই। দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচনের বার্তা দিতেই তারা বাংলাদেশে আসছেন। এর মধ্য দিয়ে সরকারের ওপর বরং চাপ তৈরি হচ্ছে।

জানতে চাইলে বিএনপির ‘ফরেইন অ্যাফেয়ার্স কমিটি’র প্রধান ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা সরকারকে বার্তা দেওয়ার জন্যই আসছেন। বাংলাদেশের জনগণের অধিকার, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, আইনের শাসন, নিরাপত্তা—এই বিষয়গুলো আজকে বিদেশিদের কাছে পরিষ্কার। এখানে তাদের অ্যাম্বাসি আছে, মিশন আছে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে ওরা কথা বলছেন।

জাতিসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়টি পরিষ্কার। এ ক্ষেত্রে বিএনপির মতামত নেওয়ার তো প্রয়োজন নেই। বিএনপির অবস্থান তাদের কাছে পরিষ্কার। এক প্রশ্নে তিনি বলেন, একটি দেশের সরকারের প্রতি আরেকটি দেশের সরকারের সমর্থন থাকতেই পারে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তখন বিএনপি সরকারকেও ভারত সমর্থন দেবে। কান্ট্রি টু কান্ট্রি সমর্থন থাকতেই পারে, এটাই স্বাভাবিক।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা ডেরেক শোলে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের ভবিষ্যৎ কৌশল বিষয়ক বিশেষ দূত জ্যাং সুং মিন ঢাকায় আসেন। গতকাল তাদের সবাই ঢাকা ত্যাগ করেন। এর আগে গত ৮ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ উপদেষ্টা রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন লউবেখার এবং ১৪ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকা সফর করেন। এ ছাড়া ১০ জানুয়ারি চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিন গ্যাং বাংলাদেশ সফরে আসেন।

জানা যায়, ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপির কূটনৈতিক উইংয়ের নিয়মিত যোগাযোগের পাশাপাশি প্রয়োজনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ ছাড়া বিদেশেও দলটির কূটনৈতিক তৎপরতা রয়েছে। আমেরিকা, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কাজ করছেন। এ ছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে অনেক নেতা নিয়মিত দেশের বাইরেও যাচ্ছেন, সেখানে দায়িত্বশীলদের সঙ্গে মিটিং করছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে বিএনপির ভিন্ন ভিন্ন নেতা কাজ করছেন।

বিএনপির একাধিক নেতা জানান, কোনো কর্মসূচি ঘিরে যখন গ্রেপ্তার, অত্যাচার-নির্যাতন বেড়ে যায়, গুম-খুনের ঘটনা ঘটে, বিষয়টি ডকুমেন্টসহ কূটনীতিকদের জানায় বিএনপি। ১০ ডিসেম্বর ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে ৭ ডিসেম্বর দলীয় কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের ঘটনাটি তৎক্ষণাৎ ঢাকাস্থ কূটনীতিকদের অবহিত করে দলটি।

তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ যখন কোনো ফরেন ডেলিগেশন বাংলাদেশে আসেন, তারা আগে থেকেই দেশের অবস্থা সম্পর্কে ইনফরমড থাকেন। কারণ, বিএনপি বিভিন্ন সময় কূটনীতিকদের কাছে যেটা শেয়ার করে, যেসব ডকুমেন্ট দেয়, সেসব তথ্য তারা নিজ নিজ দেশের কাছে সরবরাহ করে। সেখান থেকে বিদেশি কূটনীতিকরা অবহিত হন। যেমন ডেরেক শোলে বাংলাদেশে আসার আগেই বাংলাদেশ সম্পর্কে স্টাডি করে এসেছেন। ঢাকাস্থ অ্যাম্বাসির দেওয়া তথ্য থেকেই তিনি এটা করেছেন। এজন্য বিএনপির সঙ্গে আলাদা করে মিটিং করার প্রয়োজন নেই।

নেতারা বলেন, সরকারের সঙ্গে বিদেশি কূটনীতিকদের বৈঠকের মধ্য দিয়েও বিএনপির অর্জন হচ্ছে। কারণ, সরকারের সঙ্গে যে দেশের কূটনীতিকদেরই মিটিং হচ্ছে—সেখানে তারা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলছেন; মানবাধিকারের কথা বলছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা—এটা তারা ক্যাটাগরিক্যালি জানতে চান। বিশেষ করে ডোনাল্ড লু, ডেরেক শোলেসহ গত কিছুদিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের যে কজন কূটনীতিক এসেছেন, তারা বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশে কেমন নির্বাচন দেখতে চান—দ্বিপক্ষীয় বৈঠক কিংবা সংবাদ সম্মেলন করেও সেটা তুলে ধরেছেন। এর মধ্য দিয়ে সরকার চাপে পড়ছে।

জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটি ও ফরেইন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিদেশিরা বিএনপির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে কিনা, সেটা তাদের ব্যাপার। বিএনপি তো বিদেশিদের ওপর ভরসা করে রাজনীতি করে না, জনগণই বিএনপির শক্তি। জনগণের ভোটেই বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অতীতে দেখা গেছে, আমেরিকা-ব্রিটেনের কূটনীতিকের সঙ্গে বৈঠকের পর সরকারের পক্ষ থেকে যা বলা হয়েছে, ঢাকাস্থ দূতাবাসের পক্ষ থেকে তার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সফরকালে ডোনাল্ড লুর ক্ষেত্রে আমরা তেমনটা দেখেছি। গতকাল (বুধবার) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার যে বক্তব্য গণমাধ্যমে এসেছে, সেটি সরাসরি তার বক্তব্য নয়। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার সাংবাদিকদের তা জানিয়েছেন। যদি বিনয় কোয়াত্রা নিজে বলতেন, তাহলে দেশবাসীর মনো কোনো প্রশ্ন থাকত না।

বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম বলেন, সফররত কূটনীতিকরা বিএনপির সঙ্গে মিটিং করতেন যদি দেশে বিএনপির সহিংস কোনো আন্দোলন হতো। মানুষের ভোটাধিকার ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছে। সুতরাং বিএনপি সঠিক পথেই রয়েছে। বরং ক্ষমতাসীনরা ভুল পথে রয়েছে। ক্ষমতায় থাকতে তারা দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। জনগণের দাবি উপেক্ষা করছে। সে কারণে কূটনীতিকরা তাদের সঙ্গে দেখা করতেছেন; সুষ্ঠু-অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, মানবাধিকার অক্ষুণ্ন রাখার তাগিদ দিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, কোনো দেশের গণতন্ত্র যদি নড়বড়ে থাকে কিংবা ঠিকমতো পারফর্ম না করে, তখন যুক্তরাষ্ট্রসহ ক্ষমতাধর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর একটা কনসার্ন থাকে। বাংলাদেশ আজকে সে অবস্থায় চলে গেছে। সে কারণে সরকারের সঙ্গে তারা কথা বলছেন। বিএনপি ইতোমধ্যে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। এখানে বিএনপিকে আন্ডারমাইন্ড করার কিছু নেই।

দলটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সহসম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। কূটনীতিকরা চাইলে যে কোনো সময় বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করতে পারে। তবে বিএনপির সঙ্গে বৈঠক না হলেও সরকার কূটনৈতিকভাবে বিশেষ কোনো সুবিধা পাবে না। কূটনীতিদের সঙ্গে বৈঠকের ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রশ্নে ক্ষমতাসীনদের ওপর বরং এক ধরনের চাপ তৈরি হচ্ছে। প্রত্যেকেই একটা বিষয় খুব পরিষ্কার করে বলছেন যে, নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা ডেরেক শোলে বলেছেন, গণতন্ত্র সংকুচিত হলে আমেরিকার সহযোগিতাও সংকুচিত হয়ে পড়বে।

ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক ভালো হওয়ায় তাদের সঙ্গে আমাদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ে বোঝাপড়ার ব্যাপার আছে। তাই বলে তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নেই, এটা মোটেই ঠিক নয়। বিএনপি সব রাষ্ট্রের সঙ্গে সমমর্যাদার ভিত্তিতে বন্ধুত্বে বিশ্বাস করে। ভারতও বিএনপির বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর একটি। দেশটির সঙ্গে বিএনপির চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। ভারত বারবার বলেছে, বাংলাদেশে জনগণের সমর্থনে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, ভারত সরকার তার সঙ্গেই কাজ করবে।

রুমিন ফারহানা বলেন, আমি বিশ্বাস করি—ভারত দুই দেশের জনগণ এবং সরকার টু সরকার সম্পর্কে বিশ্বাস করে। আশা করি, বাংলাদেশে জনগণ ভোট দিয়ে যাকেই ক্ষমতায় আনবে, ভারত সরকার তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে কাজ করবে।

দলের ফরেইন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন কালবেলাকে বলেন, বাংলাদেশে যেসব কূটনীতিক আসছেন, তারা সরকারের সঙ্গেই মিটিং করছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিটিং করেননি। করলে অবশ্যই বিএনপির সঙ্গেও মিটিং হতো। ডোনাল্ড লু, ডেরেক শোলে স্টেট টু স্টেট পর্যায়ে মিটিং করছেন। সেখানে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যুও থাকছে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত। তারা এখানে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চান। সরকারের সঙ্গে মিটিংগুলোতে তারা জোর দিয়ে এই বিষয়টিও বলছেন। সে দিক থেকে বরং সরকারই এক ধরনের চাপের মধ্যে রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুনের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ : প্রতিমন্ত্রী রুমানা

ডামি নির্বাচনের সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে : রিজভী

কাশ্মীরে যাত্রীবাহী গাড়ি গভীর খাদে, নিহত ১০

যুক্তরাষ্ট্রের জার্সিতে খেলবেন সাবেক কিউই তারকা

রাজার আমন্ত্রণে ভুটানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী

নেতাকে ফাঁসাতে গিয়ে আ.লীগ কর্মী গ্রেপ্তার

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ / স্বাধীনতা দিবসের নামে চাঁদা দাবি করায় ইউএনওর ২ স্টাফ বদলি

স্কুটারে বসেই অফিস করছেন তিনি, ভিডিও ভাইরাল

মোস্তাফিজদের ম্যাচ দেখায় নতুন রেকর্ড

এখনো যুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে ফিলিস্তিনিরা

১০

‘বিএনপি নেতাদের কথা শুনলে জিয়াউর রহমানও লজ্জা পেয়ে যেতেন’

১১

কুমিল্লায় গত ১১ মাসে শতাধিক মামলায় গ্রেপ্তার ৪৬৭

১২

বৃষ্টি হলেই সড়ক হয়ে যায় পুকুর, জনদুর্ভোগ চরমে

১৩

ব্রিটিশ গণমাধ্যমের তালিকা / পেলে-ম্যারাডোনা নয় সর্বকালের সেরা মেসি

১৪

আইপিইউ সম্মেলন শেষে দেশে ফিরলেন স্পিকার

১৫

৫ হাজার মূল্যের বাতি ২৭০০০ টাকায় কিনেছে রেল!

১৬

মেট্রোরেলের ওপর দিয়ে যাওয়া ইন্টারনেট-ডিসের তার অপসারণের নির্দেশ

১৭

২০০ বছরের পুরোনো ‘গায়েবি’ মসজিদের গুপ্ত তথ্য

১৮

বিএনপির নেগেটিভ রাজনীতি মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে : ওবায়দুল কাদের

১৯

জজশিপের কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে দুদিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

২০
*/ ?>
X