পেশিশক্তি ও বন্দুকের নল দিয়ে কোনো নির্বাচন এ দেশে হবে না। আওয়ামী লীগ সবসময় সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। যুক্তরাষ্ট্রকে তা অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তবে বৈঠক নিয়ে পিটার হাস কোনো কথা বলেননি।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কোন কোন বিষয়ে কথা হয়েছে—জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসা নীতি দিয়েছে, সেই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন পিটার হাস। তিনি শুরুতেই বলেন, এটা কাউকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া হয়নি। একটি সুন্দর নির্বাচন যাতে হয়, সে জন্যই দেওয়া হয়েছে। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমি তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, ভিসা যার যার দেশের নিজস্ব ব্যাপার। কাকে সেই
দেশে ঢুকতে দেবে কি দেবে না, সেটি সেই দেশই জানে, সেখানে আমাদের কিছু বলার নেই। তারা ভিসা নিয়ে যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেটি তাদের নিজস্ব ব্যাপার।
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্যে ভিসা নীতি ঘোষণা করায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা দেশে একটি সুন্দর নির্বাচন চান। আমরাও বিশ্বাস করি ষড়যন্ত্র নয়, কোনো শক্তির অভ্যুত্থান নয়, কিংবা বন্দুকের নল নয়। মানুষের ম্যান্ডেটে একটি নির্বাচন হোক। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে, জনগণের ম্যান্ডেট।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সংগত কারণেই তার (পিটার হাস) নিরাপত্তার প্রশ্নটি এসেছে। সড়কে চলাচলে হঠাৎ করে কেন তার নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে, তিনি সেই প্রশ্ন তুলেছেন। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমরা সিস্টেমটি পরিবর্তন করেছি। পিটার হাসকে সেই কথারই পুনরাবৃত্তি করেছি। আমরা কূটনৈতিকপাড়ায় কোনো ধরনের নিরাপত্তা ত্রুটি হতে দেব না। কূটনৈতিকপাড়া ও কূটনীতিকদের চলাচল যাতে নিরাপদ থাকে, সেই ব্যবস্থা আমরা করব। সেজন্য আমরা কাজ করছি। কোনো ধরনের নিরাপত্তায় ব্যাঘাত ঘটতে দেওয়া হবে না। সব বিদেশি নাগরিক যেন নিরাপদে নিশ্চিন্ত থাকেন, সরকার সে বিষয়ে সচেতন রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, উনারা কিছু সময় চেয়েছিলেন (সড়কে নিরাপত্তার বিষয়ে)। তাদের বলা হয়েছে, যাদের (আনসার গার্ড রেজিমেন্ট) নিরাপত্তার জন্য দেওয়া হচ্ছে, তারা খুবই প্রশিক্ষিত। তবে এ বিষয়ে আরও বসা হবে। যদি মনে করা হয়, নিরাপত্তার জায়গায় কোনো অভাব আছে, তা হলে সেটি দেখা হবে। এই নিরাপত্তার জন্য টাকা পরিশোধ করতে হবে, তা-ও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।