বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে চলতি অর্থবছর সরকার ৫০ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তা পাওয়ার আশা করছে। এর মধ্যে বৈশ্বিক বাস্তবতায় দেশের বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে সংস্থাটি থেকে যত দ্রুত সম্ভব ২৫ কোটি ডলার ছাড় পেতে চায় বাংলাদেশ। এই নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে গত সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদের যৌথ আলোচনা শুরু হয়েছে।
এ আলোচনায় বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা এনা লুইজা গোমেজ এর সঙ্গে প্রথম দিন অংশ নিয়েছেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তারা। অনলাইনে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা চলবে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। যেখানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ছাড়াও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি), বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগসহ (আইএমইডি) বাজেট সহায়তার অর্থ ব্যবহার সংশ্লিষ্ট ১২টি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা যুক্ত হবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, আলোচনা সফল হলে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় বাজেট সহায়তার এই প্রস্তাবটি আগামী মার্চ মাসেই অনুমোদন মিলতে পারে। এর পরই বাংলাদেশের অনুকূলে ছাড় হতে পারে প্রত্যাশিত বাজেট সহায়তার অর্থ।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাংকের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ২৫ কোটি ডলার দেওয়ার বিষয়ে বেশ আগেই সম্মতি মিলেছে। এখন এই অর্থ খরচের বিভিন্ন প্রক্রিয়া নিয়ে বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর কর্মকর্তারা। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ সূত্রমতে, মূলত বিশ্বব্যাংক প্রদেয় অর্থ বাংলাদেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, সামাজিক নিরাপত্তা, দারিদ্র্য বিমোচন খাতে এই অর্থ খরচের শর্ত রয়েছে। বাংলাদেশ সেটি যথাযথ প্রতিপালন করবে, না ভিন্ন খাতেও ব্যয় করবে; সে বিষয়ে এই আলোচনায় দরকষাকষি হবে।