
রাজনৈতিক সংকট নিরসনে কোনো ধরনের মধ্যস্থতা করবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংকট নিরসনে কোনো মধ্যস্থতা করব না এবং করতে পারব না। তবে দরজা খোলা। সহযোগিতা চাইলে তা করব।
গতকাল রোববার নির্বাচন ভবনে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সিইসি বলেন, মান্যবর হাইকমিশনার স্পষ্ট করে বলেছেন, উনারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুন্দর, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক এবং ফ্রুটফুল হবে, এটা উনাদের প্রত্যাশা। আমরাও আমাদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছি। আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। আমরাও চাচ্ছি যে, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক। আমাদের দায়িত্বের মধ্যে উনারা জানতে চেয়েছেন আমরা কি দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টি করতে পারি কিনা। আমরা বলেছি সেটা আমাদের দায়িত্বের পরিধিভুক্ত নয়।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা কবরো যে নির্বাচনটা যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়। আমরা সবাইকে আবেদন করব যে আপনারা আমাদের ওপর আস্থা রাখুন এবং দেখুন যে নির্বাচনটা কেমন হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, অংশগ্রহণের বিষয়ে আমরা কোনো উদ্যোগ নেব না। এটা রাজনৈতিক ইস্যু। কোনো সংকট থেকে থাকে তারা আলোচনার মাধ্যমে নিরসন করবেন। আমরা ব্রোকারেজ করবোনা, করতে পারব না। কিন্তু আমরা ওপেনলি আহ্বান করে যাব, আমাদের দরজা খোলা আছে, কোনো পার্টি যদি এসে সহযোগিতা কামনা করতে চান আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি।
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া : কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ের বলেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চাই।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দপ্তরের উত্তর ও দক্ষিণ এশিয়ার সহকারী সচিব (প্রথম) গ্রে কোওয়ান, সহকারী পরিচালক এলিস হেইনিঙ্গার ও হাইকমিশনের উপপ্রধান নার্দিয়া সিম্পসন।