বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর ওই প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন দিয়েছিল বুয়েট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সম্প্রতি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বুয়েটের দুই শিক্ষার্থী পদ পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। ওই প্রজ্ঞাপনের আড়াই বছরের মাথায় ফের একই প্রজ্ঞাপন জারি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সতর্ক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত বুধবার বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রম এরই মধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুতরাং কোনো শিক্ষার্থী অনুমোদিত ক্লাব/সোসাইটি ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দলের বা এর অঙ্গসংগঠনসহ অন্য কোনো সংগঠনের সদস্য হতে বা তার কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অন্য কোনো মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সাংগঠনিক/রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশে বর্ণিত নিয়মগুলো যথাযথভাবে পালন করতে হবে এবং এটি অমান্য করলে অধ্যাদেশে বর্ণিত বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে পিটিয়ে হত্যা করা হয় শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। বারবার প্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানালেও বাঁচতে পারেননি তিনি। ৬ ঘণ্টা নির্যাতনের পর মারা গেলে হলের দোতলা ও নিচতলার মাঝামাঝি সিঁড়িতে ফেলে রাখা হয় আবরারের মরদেহ। সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়ে এ দৃশ্য। শনাক্ত করা হয় আসামিদের। এ ঘটনার পর ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর শিক্ষার্থীদের রাজনীতিতে অংশ না নিতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল বুয়েট প্রশাসন।
মন্তব্য করুন