রাজনীতি জমবে এবার ইফতারে

রাজনীতি জমবে এবার ইফতারে

রাজপথে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় রোজার মাসেও সরব থাকবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি। সাংগঠনিক তৎপরতার পাশাপাশি জমে উঠবে ইফতার রাজনীতি। দল ও অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে মাসজুড়ে এসব আয়োজনে শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। এর মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করবে দুদলই। রোজার মাসে ইফতার ও অন্যান্য কর্মসূচির মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি সেরে নিতে চাইবে বিএনপি। আর নির্বাচন সামনে রেখে বিভক্তি নিরসন করে সংগঠন শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তৎপর থাকবে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, ১৪ দলীয় জোটের শরিক, বিএনপির মিত্র বিভিন্ন জোট ও দল এবং ইসলামী দলগুলোও ইফতারকেন্দ্রিক রাজনীতিতে সক্রিয় থাকবে।

করোনা মহামারির কারণে গত তিন বছর রোজার মাসে তেমন কোনো আয়োজন করতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এবার জোরেশোরে ফিরছে ইফতার রাজনীতি। জাতীয় নির্বাচনের আগে সর্বশেষ রমজানে নিজেদের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের প্রস্তুতির জন্য ছোট-বড় সব দলই কাজে লাগাতে চাইবে।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী রাজনীতি : রমজানে দেশের রাজনীতিতে

কিছুটা শিথিলতা আসে। মাঠের রাজনীতি সীমিত হয়ে ঘরোয়া রাজনীতিতে সরব হয়ে ওঠে রাজনৈতিক দলগুলো। রোজার মাসে ইফতার রাজনীতির চিরন্তন ধারা ভেঙে এবার মাঠে সক্রিয় থাকবে আওয়ামী লীগ। যেহেতু নির্বাচনের খুব বেশি সময় নেই, তাই এই মাসে বিভিন্ন সাংগঠনিক ও ধর্মীয় কর্মসূচির মাধ্যমে জনসংযোগ করবে ক্ষমতাসীন দলটি। নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দূরত্ব কমাতে সোচ্চার থাকবে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।

গত কয়েক বছর করোনা মহামারির প্রকোপে রমজান মাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সীমিত থাকায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হবে। এরই সুযোগে দেশের সব সংসদীয় আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য, এমপি ও সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইফতার আয়োজনকে গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে রোজার পুরোটা সময় সাংগঠনিক ও ধর্মীয় বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকার পরিকল্পনা করছে ক্ষমতাসীনরা।

গত কয়েক মাস থেকে বিএনপি সরকারবিরোধী ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা বাড়াচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলও বিএনপির কর্মসূচির পাল্টা হিসেবে মাঠ দখল ও মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে জনসংযোগ করছে। জানা গেছে এসব কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় রোজার সময়ও ঘরে-বাইরে সক্রিয় থাকবে বিএনপি, থাকবে নানা কর্মসূচি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগও ধর্মীয় কর্মসূচির পাশাপাশি রাজনৈতিক অন্যান্য কর্মসূচিতেও সক্রিয় থাকবে বলে জানিয়েছে দলের নীতিনির্ধারকরা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেছেন, সিয়াম সাধনার মাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড কিছুটা শিথিল হয়, তবে এবার করোনা মহামারির প্রকোপ কমে যাওয়ায় দলীয় কর্মসূচি থাকবে।

জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে ইফতার রাজনীতিকে এবার অনেকটা গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হবে। এবার করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় রমজান মাসে সারা দেশে চলবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর জমজমাট ইফতার পার্টি। এটাকে কেন্দ্র করে নির্বাচনের প্রস্তুতিও জোরদার করবে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এ ছাড়া সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন করাই হবে মূল উদ্দেশ্য।

জানা গেছে, প্রতিবছরই আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা রোজায় মুক্তিযোদ্ধা, পেশাজীবী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কূটনৈতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কয়েক দফায় ইফতার করেন। করোনা মহামারির প্রকোপে গত কয়েক বছর বন্ধ ছিল ইফতার পার্টি আয়োজন। কিন্তু আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবার ইফতার আয়োজন বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ সূত্র।

দলের প্রতিটি উপকমিটির পক্ষ থেকেও কয়েক দফা ইফতারের আয়োজন করা হতে পারে। সহযোগী সংগঠনগুলো আলাদাভাবে ইফতার আয়োজন করবে। এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন নানাবিধ মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে রোজায় সক্রিয় থাকবে। সংগঠনগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোজায় সারাদেশে দুস্থদের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ, রোজাদারদের সেহরি বিতরণ, দরিদ্রদের মাঝে নিত্যপণ্য বিতরণের মতো কর্মসূচি থাকবে। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে দরিদ্র মানুষের মধ্যে ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্য ও পোশাক বিতরণ করা হবে বলেও জানা গেছে। ধর্মীয় অন্যান্য কর্মসূচির পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও সমানতালে চলবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু কালবেলাকে বলেন, পুরো রোজার মাস ধরেই সাংগঠনিক, ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি মানবিক কমর্কাণ্ডও চালু থাকবে। দলের বিভিন্ন শাখার সম্মেলন চলবে, সেইসঙ্গে ইফতার, সেহরি, খাদ্যপণ্য বিতরণ কর্মসূচিও চলবে।

দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের বিভিন্ন সভায় বারবার ইঙ্গিত দিয়েছেন আগামী নির্বাচন পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি থাকবে। গত কয়েক মাস থেকে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী শান্তি সমাবেশগুলোও চালু থাকবে জানিয়েছে আওয়ামীয়া লীগ।

১৪ দলীয় জোটের নেতারা জানিয়েছেন, রোজায় তাদের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কর্মসূচি দুটোই চলবে বলে জানিয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের পাশাপাশি তারা জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সক্রিয় হবে। গাজীপুর, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসায় রোজার সময়কে কাজে লাগাবেন বলে জানিয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ কালবেলাকে বলেন, প্রতিবছরই রোজার সময় ইফতারকে কেন্দ্র করে নানান দলীয় কর্মসূচি থাকে। নির্বাচন সন্নিকটে হওয়ায় এই কর্মকাণ্ড আরও বেগবান হবে। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন চলবে। রোজার সময় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী সবসময় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে ইফতার করেন, এবারও করবেন।

বড় আন্দোলনের লক্ষ্যে রমজানেও সক্রিয় থাকবে বিএনপি :

সরকার পতনের একদফা আন্দোলন সামনে রেখে সংগঠন গোছাতে আসন্ন রমজান মাসকে সাংগঠনিক প্রস্তুতির মাস হিসেবে নিচ্ছে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বিএনপি। রমজানের পর বড় আন্দোলনে নামতে চায় দলটির হাইকমান্ড। এর অংশ হিসেবে রমজানে ইফতারকেন্দ্রিক রাজনীতির মধ্য দিয়ে যুগপৎ শরিকদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার পাশাপাশি আন্দোলনে সমর্থন আদায়ে বিভিন্ন পেশাজীবী এবং প্রভাবশালী দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গেও সম্পর্ক জোরদার করবে দলটি। তাই ঘরোয়া রাজনীতির অংশ হিসেবে এবার ইফতারকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি। তবে নির্বাচন ও আন্দোলনের বছর হওয়ায় রমজানেও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে থাকবে দলটি। কারণ, বিএনপির হাইকমান্ড সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলনে কোনো বিরতি দিতে চায় না। দলটির দায়িত্বশীল একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এমনটা জানা গেছে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালবেলাকে বলেন, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলছে। রমজানেও মাঠের কর্মসূচি থাকবে। ওই সময়ে যে ধরনের কর্মসূচি করা যায় সে ধরনের কর্মসূচিই করব।

জানা গেছে, করোনা মহামারি পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আন্দোলন ও নির্বাচন সামনে রেখে ঘরোয়া রাজনীতির অংশ হিসেবে এবার ইফতারকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি। রমজানে ইফতার পার্টির মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমও চালাবে দলটি। বিএনপির পক্ষ থেকে গতবারের মতো এবারও কমপক্ষে চারটি ইফতারের আয়োজন করা হবে। প্রথম রমজানে এতিম ও আলেম-ওলামাদের সম্মানে হবে ইফতার। এরপর পেশাজীবী, যুগপৎ আন্দোলনের শরিকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। নির্বাচনের আগে ইফতারকে ঘিরে কূটনীতিকদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় বিএনপি। 

এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি, জাতীয়তাবাদী যুবদল, কৃষক দল, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)সহ দলসমর্থিত বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকেও ইফতারের আয়োজন করা হবে। এক দফার আন্দোলন সামনে রেখে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ও সক্রিয় রাখতে কেন্দ্রের পাশাপাশি দেশের সব বিভাগ ও জেলা এমনকি উপজেলা পর্যায়েও ইফতার পার্টির আয়োজন করার চিন্তাভাবনা চলছে।

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ জানান, গত বছরের মতো এবারও রমজানে ড্যাবের পক্ষ থেকে একটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হবে। তবে দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, এবার রমজানে বিএনপির পক্ষ থেকে চারটি ইফতার আয়োজনের প্রক্রিয়া চলছে। প্রথম রোজায় এতিম ও আলেম-ওলামাদের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করা হবে। তবে পেশাজীবী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতারের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তিনি আরও জানান, সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির শরিক তিনটি জোটের (গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট) পক্ষ থেকেও এবার ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হবে। এদিকে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) পক্ষ থেকে পৃথক অথবা যৌথভাবেও ইফতার আয়োজন করা হতে পারে। এ ছাড়া লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) পক্ষ থেকেও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হবে বলে দলটির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক জানান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল ও জোটগুলো এরই মধ্যে ইফতার আয়োজনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ইফতারে প্রায় প্রত্যেকেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান অতিথি করতে চান। এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও এসব ইফতারে উপস্থিত থাকবেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০১৬ সালে সর্বশেষ ইফতার মাহফিলে অংশ নেন। তারপর দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান তিনি। পরে পরিবারের আবেদনে সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয়। তার পর থেকেই তিনি গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজায় রয়েছেন। আর সাময়িক মুক্তির পর থেকেই দলের রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় তিনি।

গণতন্ত্র মঞ্চ সূত্র জানায়, আসন্ন রমজানে গণতন্ত্র মঞ্চ জোটগতভাবে একটি ইফতার মাহফিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এখনো দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। সেখানে জামায়াতে ইসলামী ছাড়া দেশের ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলকেই আমন্ত্রণ জানাতে চায় মঞ্চ। সে হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।

বিএনপির কয়েকজন নেতা বলেন, স্বাভাবিকভাবেই রমজানে মাঠের রাজনীতি ততটা সক্রিয় থাকে না। কিন্তু রাজনীতি তো আর বন্ধ থাকবে না। আসন্ন রমজানে ঘরোয়া রাজনীতির পাশাপাশি জনসম্পৃক্ত ইস্যু নিয়ে মাঠেও সক্রিয় থাকবে বিএনপি। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস-বিদ্যুতের দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধিসহ জনদুর্ভোগকে গুরুত্ব দিয়ে রমজানে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধনের মতো কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে।

জানতে চাইলে বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু কালবেলাকে বলেন, রমজান মাসে ঘরোয়া কর্মসূচি থাকবে, সাংগঠনিক কার্যক্রম চলবে, ইফতার মাহফিলও হবে। এর বাইরে পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী রাস্তার কর্মসূচিও থাকতে পারে। আমরা আন্দোলনের মধ্যে রয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com