সংলাপের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসির) চিঠিকে অতীতের মতো ভোট করার লেটেস্ট কৌশল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অতীতে কেউ ভোট দিতে পেরেছেন? আবার ওই কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। এবার একটু চাপাচাপি বেশি। পড়শিরা বলছে, আগের মতো ভোট আর চলবে না। জাপানের রাষ্ট্রদূত তো বলেই ফেললেন—বাপের জন্মেও শুনিনি আগের রাতে ভোট হয়। সেজন্যই এখন আবার নতুন নতুন কৌশল। এর মধ্যে লেটেস্ট কৌশল হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের আমাদের চিঠি দেওয়া। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
ইসির সংলাপের চিঠির বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত আগামীকাল সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে হবে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা নিয়ে আমি এখনই কথা বলতে চাই না। সোমবার স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিং আছে, সেখানে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির এই আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সঞ্চালনায় সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান বক্তব্য দেন।
সুষ্ঠু ভোট করার ক্ষমতা ইসির নেই মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশনের কোনো ক্ষমতা আছে নাকি? পারবে এই প্রশাসনকে সোজা করতে, পারবে ভোটে…। এই সময়ে দলের নেতাকর্মীরা ‘না’ ‘না’ স্লোগান দিতে থাকলে তিনি বলেন, সঠিক কথা। এই নির্বাচন কমিশন চিঠিপত্র দিয়ে অযথা কেন হয়রানি হচ্ছে। আপনারা ভদ্রলোকের মতো থাকতেন, ভদ্রলোকের মতো থাকেন, বেতন-টেতন নেন। ইভিএম দিতে চেয়েছিলেন ইভিএম দিতে পারছেন না। আরও অন্যান্য কী আছে না আছে। অতীতে নির্বাচন কমিশন ছিল, তারা শুধু ট্রেনিং বাবদ কোটি কোটি টাকা খেয়ে ফেলেছে। আপনারা এই রকম কিছু আছে কি না, সেগুলো দেখেন। অযথা জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আপনারা এসব কথা বলে নিজেকে খাটো করবেন না।