বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৩, ০৮:১৬ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

একতরফাই হলো সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন

একতরফাই হলো সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে দুদিনব্যাপী একতরফা ভোটগ্রহণ গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। সমিতির আওয়ামী লীগ সমর্থক নেতাদের পক্ষ থেকে গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এই নির্বাচন পরিচালনা করেন। পুলিশি পাহারায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থক কিছু আইনজীবীকে ভোট দিতে দেখা যায়। এবারের নির্বাচনে ৮ হাজার ৬০২ জন ভোটারের মধ্যে দুদিনে ৪ হাজার ১৩৭ ভোট পড়েছে বলে দাবি এই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির। অন্যদিকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সবার সম্মতিতে বৈধভাবে গঠিত না হওয়ায় এই ভোটে অংশ নেননি বিএনপি সমর্থক ও সমমনা আইনজীবীরা। তবে গতকালও সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে দফায় দফায় মিছিল-পাল্টা মিছিল, ধস্তাধস্তি, হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবছর উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হলেও এবারের চিত্র ছিল কিছুটা ভিন্ন।

সমিতির এই ভোটের প্রথম দিনে ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের বের করে দেওয়া, পুলিশি নির্যাতন, অবৈধ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে ভোট গ্রহণ, বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের রুমে তালা লাগিয়ে দেওয়া ও আদালত চত্বরে বিপুলসংখ্যক পুলিশের উপস্থিতির বিষয়গুলো গতকাল সকালে প্রধান বিচারপতির আদালতে তুলে ধরেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা। পরে খাস কামরায় নিয়ে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিরা বিএনপি সমর্থক আইনজীবী নেতাদের বক্তব্য শোনেন। এর পর সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যও শোনেন প্রধান বিচারপতি।

তারপর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মিছিল-স্লোগান, ভোটের প্যান্ডেলের সামনে দুপক্ষের ধাক্কাধাক্কি, পৃথক মামলায় বিএনপিপন্থি ২২ আইনজীবীর আগাম জামিন এবং বিকেলে দুপক্ষের ধাক্কাধাক্কির মধ্য দিয়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অংশগ্রহণ ছাড়াই সমিতির দ্বিতীয় দিনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। দিনভরই আদালত চত্বরে ছিল উত্তেজনা। সমিতি ভবন, প্রাঙ্গণসহ ভোটারদের প্রবেশের জন্য গড়া ভোটের প্যান্ডেলের সামনে ছিল বিপুলসংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি। বিগত বছরগুলোতে সমিতির নির্বাচনের সময়ে ভোটের প্যান্ডেলের সামনে দুপক্ষের প্রার্থীরা উপস্থিত থাকতেন। প্রার্থীরা ব্যালট নম্বর উল্লিখিত তাদের পরিচিতির কার্ড ভোটারদের হাতে তুলে দিতেন। বাইরের ভোটারদের আনার জন্য সবাই ব্যস্ত থাকতেন; কিন্তু এবার কোনোটাই ছিল না। আইনজীবীর ভাষ্যমতে, সমিতির এবারের ভোটকে ঘিরে উৎসবের পরিবর্তে উত্তেজনার আমেজ ছিল।

আপিল বিভাগে বিএনপিপন্থিরা : গতকাল সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের আপিল বিভাগে ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। সকালে আপিল বিভাগে শুনানির শুরুতে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণে নজিরবিহীন ঘটনা গতকাল (বুধবার) ঘটেছে, যা চলমান। আজও রুমে তালা লাগানো আছে, অনেকের রুমের চারপাশে পুলিশ দেওয়া হয়েছে। বাইরে থেকে এ ঘটনার পেছনে কেউ আছে কি না, তা দেখতে হবে। এই অঙ্গনে এটা কি অনুমোদিত? তারা সমিতির জ্যেষ্ঠ সদস্যদেরও নির্যাতন করেছে। আমরা সুরক্ষা চাচ্ছি।’ সমিতির নির্বাচনে বিএনপি প্যানেল থেকে সম্পাদক প্রার্থী মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘সমিতির নির্বাচন হয় সব সময় উৎসবমুখর। তবে এবার কী হলো? আজও আমি রুমে ঢুকতে পারিনি। রুমের বাইরে থেকে তালা লাগানো। কক্ষের সামনে পুলিশ রয়েছে। পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

এ সময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘মি. রুহুল কুদ্দুস, আপনাদের সবাইকে সম্মান করি। আপনারা দুজন ১১টার সময় (বিরতি) আসেন। কোনো করণীয় থাকলে করব। প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেলকেও ডেকে নেব।’ এ সময় সমিতির সভাপতি পদপ্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘নজিরবিহীন ঘটনা। ভোটকেন্দ্রে তিন-চারশ পুলিশ ঢুকে ধাক্কা দিতে থাকে। সবাই পড়ে যাচ্ছিল আর পুলিশ পা দিয়ে পাড়িয়েছে। আমার পায়ে ব্যথা, আমি ঠিকমতো দাঁড়াতে পারছি না।’ এ সময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘এ কথাগুলো ভেতরে বসে শুনি। ১১টায় আসেন। এখন কোর্টের কাজ করি।’ পরে সকাল ১১টার পরে বিএনপি ফোরামের ৫ জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রধান বিচারপতির সঙ্গে তার খাস কামরায় সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সেখানে আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিরা ছিলেন। সেখানে তারা তাদের সব অভিযোগ তুলে ধরেন। সবকিছু শুনে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে প্রধান বিচারপতি বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের জানান।

‘প্রধান বিচারপতির কিছু করার নেই’: প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আসার পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি বলেছেন, এটা আমাদের বিষয় নয়। সমিতি একটি প্রাইভেট বডি। এটা বারের (আইনজীবী সমিতির) বিষয়। এখানে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই। আপনারা বারের সিনিয়র আইনজীবীদের নিয়ে বসে আলাপ করে সমস্যার সমাধান করুন। পরিবেশ সুষ্ঠু আছে কি না জানতে চাইলে সরাসরি জবাব না দিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে হলে দুপক্ষকেই সমানভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। একপক্ষ ব্যালট ছিঁড়ে নিয়ে যাবে, অপর পক্ষ বাধা দেবে, তাহলে পরিবেশ ঠিক থাকবে কী করে? কাকে দোষ দেবেন? বিএনপি তো প্রথম থেকেই নির্বাচন করতে চাচ্ছিল না। আগের দিন রাতে ব্যালট পেপার ছিঁড়ে ফেলে।

যে কারণে এই পরিস্থিতি : সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তপশিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান কে হবেন তা নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ান দুপক্ষের আইনজীবী নেতারা। পরে ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান করা হয় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা, সাবেক বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুরুল হক চৌধুরীকে। কিন্তু ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন। একাধিক সূত্র জানায়, নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ভোট গণনার মেশিন ব্যবহার করতে চাইলে সমিতির বর্তমান সম্পাদক ও আওয়ামী ফোরামের সম্পাদক প্রার্থী আবদুন নূর দুলাল তাতে বাধা দেন। তিনি আলাদা ব্যালট পেপার তৈরি করে আনেন। এ নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৩ মার্চ বিকেলে প্রার্থী পরিচিতি সভার পর সন্ধ্যায় মনসুরুল হক চৌধুরী পদত্যাগ করেন। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার বিএনপি ও আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীরা ফের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েন। সমিতির আওয়ামী ফোরামের নেতারা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুজ্জামানকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান করে নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি ঘোষণা করেন। অন্যদিকে বিএনপি সমর্থকরা সমিতির সাবেক সহসভাপতি এ এস এম মোক্তার কবিরকে প্রধান করে একটি নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি গঠন করেন। বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়।

উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে বুধবার সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর উদ্যোগ নিলে বিএনপি-সমর্থিত প্যানেল থেকে মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচন পরিচালনা-সংক্রান্ত উপকমিটির সঙ্গে বিবাদে জড়ান। এক পর্যায়ে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও ভোটে আওয়ামী লীগ ফোরামের সভাপতি প্রার্থী মমতাজ উদ্দিন ফকির পুলিশ ডাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে সমিতির মিলনায়তনে কয়েকশ পুলিশ প্রবেশ করে। তারা বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করতে লাঠিচার্জ শুরু করলে প্রায় ১৫ জন আইনজীবী আহত হন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ঢোকা সাংবাদিকরা ঘটনার ছবি, ভিডিও নিতে থাকেন। ফলে পুলিশ সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়। সাংবাদিকদেরকেও বেধড়ক লাঠিপেটা করতে থাকলে এনটিএন নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জাভেদ আক্তারসহ ১০-১২ জন গণমাধ্যম কর্মী আহত হন।

পুলিশ দুঃখিত : সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন চলাকালে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের বার ভবনে আইন, বিচার ও মানবাধিকারবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএএফ) কার্যালয়ে এসে এ দুঃখ প্রকাশ করে হারুন অর রশিদ বলেন, হঠাৎ করে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশকে একটু হ্যান্ডেল করতে হয়েছে। হ্যান্ডেল করতে গিয়ে আমাদের কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পাশাপাশি আমার প্রিয় সাংবাদিক ভাইদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এজন্য আমি আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমাদের কমিশনার মহোদয়ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন, আসলে এটা উচিত হয়নি। হারুন অর রশিদ বলেন, ভবিষ্যতে এই পবিত্র জায়গায় হ্যান্ডলিং করতে আমরা একটু সাবধান হব।

নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট : এদিকে সমিতির নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও নির্বাচনের সভাপতি প্রার্থী ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট করেন। রিটে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, সুপ্রিম কোর্ট বারের বর্তমান কমিটির সম্পাদক, বর্তমান কমিটির সভাপতি ও চলমান নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, বিএনপি সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন পরিচালনা সাব-কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মনসুরুল হক চৌধুরীকে বিবাদী করা হয়েছে। পাশাপাশি অনুষ্ঠিত ২০২৩-২৪ সালের নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।

আইনজীবী রিমান্ডে : নির্বাচনে মারধর, ভাঙচুর ও চুরির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা মামলায় সালাউদ্দিন রিগ্যান নামে এক আইনজীবীর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মাহবুব আহমেদের আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দৌলতদিয়ায় ফেরি পারাপারে অনিয়মের অভিযোগ

৫ বিদেশি খেলিয়ে আলোচনায় রাজস্থান

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে পড়ে ৪৫ তীর্থযাত্রী নিহত

সেভ দ্য চিলড্রেনে নিয়োগ, নেই বয়সসীমা

ক্রেতা সংকটে তরমুজ বিক্রেতারা

কুমিল্লার হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে সেই লিফট সিলগালা

সাভারে পিনিক রাব্বী গ্রুপের অন্যতম সদস্য রাজিব গ্রেপ্তার

নন্দীগ্রাম প্রেসক্লাবের নতুন সভাপতি তুহিন, সম্পাদক হানিফ

মাইকে আজানের অনুমতি পেল ইতালির যে শহর

ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর

১০

আজ পাওয়া যাচ্ছে ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট

১১

ঈদকে কেন্দ্র করে জালনোটের কারবার, গ্রেপ্তার ৩

১২

আজ যাদের আর্থিক উন্নতি হতে পারে

১৩

সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতার অভিযোগে কসবায় ছাত্রলীগের কমিটি বিলপ্তি

১৪

ছুটির আগেই ক্যাম্পাস ছাড়ছেন যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

১৫

ঢাকাসহ যেসব অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টি হতে পারে

১৬

গাজীপুরে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২

১৭

প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আজ

১৮

বসন্ত গায়ে মেখে রঙিন হয়ে উঠেছে শিমুল

১৯

২৯ মার্চ : নামাজের সময়সূচি

২০
*/ ?>
X