
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি কখনো নিজেদের জনগণের আয়নায় দেখতে প্রস্তুত নয়। এ জন্য তারা সর্বদা জনমত যাচাইয়ের গণতান্ত্রিক পন্থা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়। নির্বাচন আতঙ্ক থেকে তারা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উসকানিমূলক’ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনে জনগণের সাড়া না পেয়ে বিএনপি নেতারা প্রতিনিয়ত উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, অতীত ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, নির্বাচনের আগে বিএনপি সর্বদা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার মাধ্যমে বিভাজনের রাজনীতি শুরু করে। রাজনীতিতে বিভেদের এই খেলা বিএনপিকে আর খেলতে দেওয়া হবে না। সকল অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবিলা করবে আওয়ামী লীগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামীতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেই বোঝা যাবে কাদের জামানত থাকবে আর কাদের থাকবে না। বিএনপির প্রতি আহ্বান থাকবে, নিজেদের সক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য তারা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগবিরোধী চিহ্নিত রাজনৈতিক শক্তিই এদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পরিচর্যা করে আসছে, যার গোড়াপত্তন হয়েছিল সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। বিএনপিই এদেশের সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় এক ভয়াল বিভীষিকাময় সময় অতিবাহিত করে।