
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৪০ বিশ্বনেতার খোলা চিঠি চরম মিথ্যাচারের উজ্জ্বল উদাহরণ এবং ভুল তথ্যে ভরা বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে ড. ইউনূসের কাজের স্বীকৃতি এ দেশের মানুষ দিয়েছে, ভালো ও খারাপ কাজ—দুটির স্বীকৃতিই তিনি পেয়েছেন বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী নেতারা। তাদের মতে, ড. ইউনূসের মতো শিক্ষিত ও নোবেলজয়ী একজনের দ্বারা ভুল তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে বিদেশি এজেন্ট দিয়ে এ রকম বিবৃতি দেওয়া অত্যন্ত ঘৃণ্য ও লজ্জাজনক।
গত মঙ্গলবার ড. ইউনূসের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের আচরণ সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে ৪০ বিশ্বনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলা চিঠি দেন। এতে ড. ইউনূসকে দেশের ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক’ আখ্যা দিয়ে তার অবদানকে সমর্থন ও স্বীকৃতি দিতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টের পাতাজুড়ে বিজ্ঞাপন হিসেবে প্রকাশিত এই খোলা চিঠি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব) ফারুক খান কালবেলাকে বলেন, তিনি ক্ষুদ্র ঋণের নামে গরিব মানুষের কাছ থেকে ৩৩% সুদ নিয়েছেন। নির্বাচন নিয়ে নাক গলিয়েছেন। এমনকি অবৈধ সেনাসমর্থিত সরকারের বৈধতার জন্য তিনি রাজনৈতিক দল তৈরি করে ক্ষমতায় বসার চেষ্টাও করেছেন, সেসব কাজের স্বীকৃতি তিনি হাতেনাতে পেয়েছেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ কালবেলাকে বলেন, এই বিবৃতিটি চরম মিথ্যাচারের উজ্জ্বল উদাহরণ। তার (ইউনূস) মতো শিক্ষিত ও নোবেলজয়ী একজনের দ্বারা ভুল তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে বিদেশি এজেন্ট দিয়ে এরকম বিবৃতি দেওয়া অত্যন্ত ঘৃণা ও লজ্জার।