
দুই বছর আগে ডেপুটি স্পিকার পরিচয়ে অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনের কাছে ফোন দেন রবিউল ইসলাম। পরে নুহাশপল্লীর উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়া থেকে অর্থ আসার কথা বলে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় করা মামলায় রবিউলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে ডিবি পুলিশ। গত ২ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই আসিক ইকবাল চার্জশিট দেন। ২৫ জানুয়ারি চার্জশিটটি আদালতে গৃহীত হয়।
চার্জশিটে বলা হয়, তদন্তকালে বিকাশ নম্বরের সিমটি উদ্ধার করা সম্ভব না হলেও সেটি যে মোবাইলে ব্যবহার করা হয়েছে, তা রবিউলের কাছ থেকে জব্দ করা হয়।
চোরাই সিম দিয়ে কল : ২০২১ সালে ওমর ফারুক নামে এক ব্যক্তির মোবাইল চুরি করে রবিউলের ছেলে সিয়াম। এ সময় এতে দুটি সিম ছিল। পরে সেই মোবাইল উদ্ধার করে একটি সিম উত্তোলন করেন ফারুক। আরেকটি সিম সিয়ামের কাছে থেকে যায়। একই বছরের ১৭ এপ্রিল ওই নম্বর দিয়ে শাওনকে কল দেন রবিউল। এ সময় তিনি নিজেকে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার পরিচয় দেন।
নুহাশপল্লীর উন্নয়ন বাবদ অস্ট্রেলিয়া থেকে বড় অঙ্কের টাকা এসেছে এবং তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা আছে বলে শাওনকে জানান রবিউল। এর পর অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আব্দুর রউফ তালুকদারের মোবাইল নম্বর দিয়ে শাওনকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে শাওনকে উপসচিব পরিচয়দানকারী ব্যক্তি জানান, ফান্ড ট্রান্সফারের জন্য সরকারি ফি দিতে হবে। এক পর্যায়ে শাওন ওই নম্বরে ৩১ হাজার ৮৫০ টাকা পাঠান। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি ফান্ড নুহাশপল্লীর অ্যাকাউন্টে জমা হবে বলা হলেও তা আর হয়নি।
নুহাশপল্লীর ম্যানেজার ও মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, এ প্রতারক চক্র নুহাশপল্লী ছাড়াও হাজারো মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী খাদেমুল হাসান বলেন, অভিযোগের বিষয়টি সাক্ষ্যপ্রমাণের মাধ্যমে আদালতে প্রমাণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রবিউলের খালাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আব্দুল্লাহ আবু বলেন, নুহাশপল্লীর নামে অর্থ এসেছে এমন প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করেছে প্রতারক চক্র। এ মামলায় বিচারকাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে রাষ্ট্রপক্ষ কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে।