বিএনপির এক দফা শেখ হাসিনাকে হত্যা : ওবায়দুল কাদের

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে মঙ্গলবার ওবায়দুল কাদের।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে মঙ্গলবার ওবায়দুল কাদের।ছবি: কালবেলা

বিএনপি শেখ হাসিনাকে হত্যার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তাদের এক দফা শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তাই আজকে তার একমাত্র শত্রু। গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে ঝড় বয়ে গেছে, সারা দেশ গর্জন করে উঠেছে। শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার দুদিন চলে গেল, মির্জা ফখরুল একটা কথাও বললেন না। বিএনপির কোনো সিনিয়র নেতা একটা কথাও বললেন না। সবাই নীরব হয়ে আছেন। তাই আজকে প্রশ্ন জাগে, এটা তার (চাঁদ) এক দফা নয়, এটা বিএনপির এক দফা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের পার্টির কোনো জেলার নেতা যদি খালেদা জিয়াকে হত্যা করার হুমকি দিত, তাহলে আপনারা কি করতেন? কি জবাব দিতেন, আমি জানতে চাই।

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে দেশব্যাপী আন্দোলনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, গত চব্বিশ ঘণ্টায় দেশের মানুষ বুঝিয়েছে পঁচাত্তর আর ২০২৩ এক নয়। বিএনপির উপলব্ধি করা উচিত, রাজশাহীর এক নেতা হুমকি দেওয়ায় সারা দেশ গর্জন করে উঠেছে। শেখ হাসিনার ওপর হামলা করলে আওয়ামী লীগ লীগ কর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামনে নির্বাচন। তারা নির্বাচন চায় না। তারা চায় সংঘাত, অস্থিরতা, অশান্তি, রক্তপাত। আমরা চাই নির্বাচন-বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে। আমরা কারও সঙ্গে সংঘাত-পাল্টা সংঘাতে যাব না। আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব এই অপশক্তিকে। এই অপশক্তিকে বাংলার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কাতারের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে নেত্রী বলে গেছেন—কোনো সংঘাতে যাওয়া যাবে না। আমরা সংঘাতে যাব না, কিন্তু সংঘাত কেউ করতে এলে আমরা চুপ করে বসে থাকব? আমাদের ওপর যদি কেউ হামলা চালায়, তাহলে আমরা হামলা চালাব না? হামলা করলে তার সমুচিত জবাব কীভাবে দিতে হয় তা আওয়ামী লীগ জানে।

বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি সরকারি দলের সেক্রেটারি বলছি, দুদিন পর সিটি করপোরেশন নির্বাচন, এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে। এই নির্বাচনে সরকারি দল নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। গাজীপুর সিটি নির্বাচনসহ সব সিটি নির্বাচন এবং আগামীতে জাতীয় নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হবে। আমরা বিদেশিদের অনুরোধ করব, আপনারা আসুন এবং দেখুন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কীভাবে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com