
গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি ৪৫ বছরের পুরোনো। ভবনটি যখন অনুমোদন নেওয়া হয়, তখন রাজউক ছিল না। তাই ভবনটি আবাসিক না বাণ্যিজিক, সেটা জানেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
গতকাল বুধবার দুপুরে বিস্ফোরিত ভবন পরিদর্শন করতে এসে রাজউকের পরিচালক (জোন-৫) হামিদুল ইসলাম এসব কথা বলেন। ইতোমধ্যে ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে সংস্থাটি।
হামিদুল ইসলাম বলেন, যেহেতু ৪৫ বছর আগে ভবনটির অনুমোদন নেওয়া হয়, তখন কাজ করত ডিআইটি। তাই কিছু বলতে হলে আগে নথিপত্র যাচাই-বাছাই করতে হবে। আজ (গতকাল) সরকারি ছুটির দিন থাকায় আমরা নথি পাইনি। তবে কর্মচারীদের খুঁজতে বলা হয়েছে।
রাজউকের এই কর্মকর্তা বলেন, তাদের কাছে যতটা তথ্য ছিল ভবনটি তিনতলা। সেটা সাততলা কীভাবে হলো, এটা জানা নেই।
বিভিন্ন সময় ঢাকায় ভবনে বিস্ফোরণ ও ধসে পড়ার দায় রাজউক এড়াতে পারে কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, দায় তো অবশ্যই একটু নিতে হবে।
ভবনটির নিচতলায় মার্কেট, দোতলা, তিনতলায় অফিস ও গুদাম এবং ওপরের তলাগুলোতে আবাসিক বাসা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাততলা এই বাণিজ্যিক ভবনটির মালিক ছিলেন রেজাউর রহমান। এক সময় তিনি ক্যাফে কুইন নামে একটি রেস্তোরাঁ খুলেছিলেন এই ভবনে, সেজন্য স্থানীয়রা ভবনটি ক্যাফে কুইন বিল্ডিং নামে চেনেন। রেজাউর অনেক দিন আগে মারা গেছেন। এরপর তার তিন ছেলে এর মালিক। মশিউর রহমান নামে এক ছেলে দেশের বাইরে থাকেন। সবার বড় ওয়াহিদুর এবং সবার ছোট মতিউর ঢাকায় থাকেন। তারাই ভবনের দেখাশোনা করেন।