পরকীয়ার কারণে রূপপুর প্রকল্পের গাড়িচালক সম্রাট হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে। আলোচিত এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবদুল মমিনকে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব। র্যাব-১২ সিরাজগঞ্জের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মারুফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত রোববার রাতে রাজধানীর বাংলামটর থেকে আবদুল মমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে মমিনের স্ত্রী সীমা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই খুনের রহস্য উন্মোচন হয়। গ্রেপ্তার মমিন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বাঁশেরবাদা মধ্যপাড়া (দোকানপাড়া) গ্রামের বাহাদুর খাঁর ছেলে। নিহত সম্রাট একই উপজেলার মধ্য অরণকোলা রিফিউজি কলোনি এলাকার আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে।
হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় শনিবার রাতে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় নিহত সম্রাটের বন্ধু মমিনকে এক নম্বর ও তার স্ত্রী সীমাকে দুই নম্বর আসামিসহ আরও ৩ থেকে ৪ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে। হত্যার পরই মমিন আত্মগোপনে চলে যান।
অতিরিক্ত ডিআইজি মারুফ হোসেন জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার হাতিরঝিল থানার বাংলামটর এলাকায় আত্মগোপনে থাকা মমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত সম্রাট প্রায় ৩ বছর ধরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিকিম কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউরি ফেদারোপের গাড়িচালক ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। দুই দিন পর শনিবার সকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পদ্মার পাড়ে রাখা গাড়ি থেকে সম্রাটের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে সম্রাট হোসেন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সীমা খাতুনকে দুদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঈশ্বরদী থানার এসআই তহিদ হোসেন জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমা খাতুনকে গত রোববার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়।