দল পরিচালনায় স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ মো. আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে। উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের পাশ কাটিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে পছন্দের লোক দ্বারা কমিটি গঠন, হাইকমান্ডের নির্দেশনা অমান্য করাসহ নানা অভিযোগের তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রে চিঠি দিয়েছেন দলের নেতারা। একই সঙ্গে তার দলবিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের কারণে উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির ২৯ জন সদস্য পদত্যাগের হুমকিও দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার সকালে সিরাজদীখান উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হুমকি দিয়ে অবিলম্বে তদন্ত সাপেক্ষে শেখ আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। এ সরকারের সঙ্গে শেখ আব্দুল্লাহর আঁতাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন নেতারা। এ সরকারের সময় যখন উপজেলার নেতারা মামলা-হামলায় জর্জরিত, সেখানে আব্দুল্লাহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সিআইপি পদক নেন বলেও অভিযোগ তাদের।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, শেখ আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ, স্থিরচিত্রসহ বিভিন্ন তথ্যাদি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বরাবর পাঠানো হয়েছে। পদত্যাগে হুমকি দেওয়া নেতাদের দাবি, কেন্দ্রের সিনিয়র কোনো নেতার মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি তদন্ত করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
সিরাজদীখান উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য ও সাবেক উপজেলা সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস এসব নেতার পক্ষে অভিযোগ তুলে ধরেন। তাদের অভিযোগ, সিরাজদীখান উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ মো. আব্দুল্লাহর অরাজনৈতিকসুলভ আচরণ, স্বেচ্ছাচারী মনোভাব, উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের পাশ কাটিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, পছন্দের লোক দ্বারা ইউনিয়ন কমিটি গঠন করেছেন। তিনি কেন্দ্র ঘোষিত কার্যক্রমে অংশ নেন না। এমনকি আহ্বায়কের দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ১ বছরে এখনো উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে কোনো সভা করেননি।
আব্দুল কুদ্দুস ছাড়াও এ সময় অন্যদের মধ্যে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আওলাদ হোসেন মোল্লা, মহিউদ্দিন আহমেদ, জসিম উদ্দিন খোকন, দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, আব্দুল খালেক শিকদার, জায়েদুল ইসলাম, আজিজুল হক খান, মুজিবুর রহমান খান, আলী আনসার মোল্লা, শাহ আলম, মিসেস শিলা কামাল, সাবেক সদস্য কাজী কামরুজ্জামান লিপু, ওমর ফারুখ রিগ্যানসহ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজদীখান উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ মো. আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, অনেক ইউনিয়নের সম্মেলন হয়েছে কিছু ইউনিয়নে করা যায়নি। পুলিশ ঝামেলা করেছে। চেষ্টা করি, সম্মেলন করে কমিটি দেওয়ার। যারা সম্মেলন করেছে তারা গোপন আঁতাত করেই রাজনীতি করে। কেউ মামলা খায়নি।