
প্রায় ২০ বছর আগে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগের চার কর্মীকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার মামলায় বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ২৩ আসামির মধ্যে দুজনের দণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তারা হলেন জহিরুল হক ভূঁইয়া ওরফে জহির মেম্বার ও আব্দুল আহাদ।
আর সাতজনকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন ফারুক, খোকন, ডালিম, রোহেল, লিয়াকত আলী, আল আমিন ও রুহুল আমিন। এ ছাড়া হাইকোর্ট ১১ আসামিকে খালাস দিয়েছেন। তারা হলেন সিরাজ উদ্দিন, সাহাব উদ্দিন, হালিম, ইয়াকুব আলী, আমির হোসেন, আবুল কালাম, রফিক মিয়া, গোলাম আজম, আব্দুল হাই, হারুন ও তাজুদ্দিন। বাকি তিনজন আবুল বাশার ওরফে কাশু চেয়ারম্যান, ইউনুস আলী মেম্বার ও ইদ্রিস আলী মারা যাওয়ায় তাদের আপিল বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ২৩ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে পাঠানো ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের করা আপিল ও জেল আপিলের ওপর গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী জমির উদ্দিন সরকার, এম এম শাহজাহান, ফজলুল হক খান ফরিদ, মোহাম্মদ আবুল হাসনাত, শেখ মো. শামসুজ্জামান ও ইসরাত জাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী ফজলুল হক খান ফরিদ। ২০০২ সালের ১২ মার্চ আড়াইহাজার উপজেলার জালাকান্দি এলাকার বাড়ি থেকে আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই আব্দুল বারেক, তার ফুফাতো ভাই বাদল, আওয়ামী লীগ কর্মী ফারুক এবং কবির হোসেনকে তৎকালীন আড়াইহাজার থানা বিএনপির সহসভাপতি আবুল বাশারের নেতৃত্বে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। নিহত বারেকের বাবা আজগর আলী বাদী হয়ে আবুল বাশারকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নামোল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।এর মধ্যে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর আওয়ামী লীগে যোগ দেন মামলার প্রধান আসামি আবুল বাশার। ২০১৭ সালের ১৭ মে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক কামরুন নাহার ২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।