
ফতুল্লায় পুলিশ লাইন্স সংলগ্ন তৈরি পোশাক কারখানার মাঠ থেকে শয়ন মণ্ডলের লাশ উদ্ধারের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মো. মোহনকে (২৫) গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানতে পারে ইয়াবা নিয়ে দ্বন্দ্বে মোহন ও সুমন নিহত শয়নের কাছ থেকে ইয়াবা না পেয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। গত ৭ মার্চ গভীর রাতে শয়নের পচন ধরা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শয়ন চন্দ্র মণ্ডল নগরের শেরেবাংলা রোড এলাকার যতীন্দ্র চন্দ্র মণ্ডল ও লক্ষ্মী রানী মণ্ডলের ছেলে।
গত মঙ্গলবার নগরের মাসদাইর থেকে মোহনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোহন মোহাম্মদ জিতনের ছেলে। েফতুল্লা মডেল থানার এসআই হুমায়ুন কবির বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোহন স্বীকার করে যে, লাশ উদ্ধারের তিন দিন আগে এক সন্ধ্যার মাসদাইর পাবনার মাঠে সে এবং সুমন নিহত শয়নের কাছে ইয়াবা ট্যাবলেট চায়। কিন্তু শয়ন তাদের না দিতে চাইলে সুমন এবং মোহন লাঠি দিয়ে শয়নকে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এতে শয়ন মাটিতে পড়ে গেলে তারা পাবনা মাঠ থেকে চলে যায়। তিন দিন পর তারা লোকমুখে জানতে পারে, শয়নের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ খবর শুনে তারা আত্মগোপনে চলে যায়। তবে কীভাবে শয়ন বেস্ট ওয়েস্ট অ্যাপারেলস গার্মেন্টের ভেতরের পরিত্যক্ত জায়গায় এসেছে, তা তারা জানে না।
এসআই হুমায়ুন আরও জানান, তিনি মামলার তদন্তে নেমে প্রথমে জানতে পারেন, নিহত শয়ন মোহন ও সুমন একসঙ্গে মাদক সেবন করত। সেই সূত্র ধরে মোহনকে গ্রেপ্তার করা হয়।