চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস ‘স্যার’ না বলার জন্য অনুরোধ জানিয়ে নোটিশ লাগান। নোটিশটি তিনি গত বছরের ২৯ আগস্ট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কার্যালয়ের সামনে লাগালেও সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন।
এদিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওমর ফারুককে রংপুরের জেলা প্রশাসক ‘স্যার’ বলতে বাধ্য করায় তিনি অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এ ঘটনার পর থেকে আলোচনায় কুদ্দুসের সেই নোটিশ। গত শনিবার নিজ ফেসবুক পেজে ফের তিনি পোস্ট করেন। এরপর থেকে বিভিন্ন কমেন্ট আসতে থাকে। শিকদার হালিম নামে একজন কমেন্ট করেন, ‘যে দেশে স্যার ডাক শুনতে নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীরাও ব্যতিব্যস্ত, সে দেশেই একজন সম্মানিত পদস্থ ব্যক্তির কি সুন্দর অনুরোধ! দল-মত নির্বিশেষে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রদ্ধেয় চেয়ারম্যান মহোদয়ের প্রতি অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও শুভ কামনা।’
মো. সারওয়ার হোসেন নামে আরেকজন লেখেন, ‘একজন ভালো মনের মানুষের কথা এমনটাই হয়, ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা বড় ভাই আপনাকে আল্লাহতালা আপনাকে নেক হায়াত দান করুক আমিন।’
এম এ কুদ্দুস বলেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে বাবার সময় থেকে আমার চলাফেরা। একটা আবেগ কাজ করে আমার মাঝে। তারা যখন আমাকে ‘স্যার’ বলেন তখন নিজের কাছে বিব্রত বোধ করি।
তিনি আরও বলেন, অনেকে হয়তো চিন্তা করতে পারেন, আমি অনেক বড় একটি পদে আছি, আমাকে স্যার বলা খুব দরকার; কিন্তু আসলে তা নয়, আমি আসলে জনগণের সেবক হিসেবে থাকতে চাই। জনগণের ভাই-বন্ধু, কারও মামা, কারও কাকা হিসেবেই থাকতে চাই। কেউ ‘স্যার’ বললে নিজের কাছে তখন ছোট মনে হয়। কারণ, এসব সাধারণ জনগণের সঙ্গে আমার বেড়ে ওঠা।