ময়মনসিংহে পুলিশ সদস্য সাদ্দাম হোসেন হত্যার দুই দিনের মাথায় রহস্য উদ্ঘাটন করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় তার বড় ভাইসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের ভাষ্য, সাদ্দাম মাদকে আসক্ত ছিলেন। এ কারণে তার ওপর অতিষ্ঠ ছিল পরিবার। মাদকের টাকার জন্য পরিবারের সদস্যদের বিরক্ত করায় বড় ভাইয়ের হাতে খুন হন তিনি।
গতকাল দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহীনুল ইসলাম ফকির। গ্রেপ্তাররা হলেন নিহতের বড় ভাই হাবিবুল করিম তপু ও মুক্তাগাছা মালতিপুরের আব্দুস সালামের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাদ্দাম সুনামগঞ্জ পুলিশে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি প্রায়ই ছুটি ছাড়াই বাড়িতে চলে যেতেন। এজন্য তাকে বেশ কয়েকটি লঘু এবং গুরুদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুলিশ বিভাগ। মাদকাসক্ত থাকায় সাদ্দাম বিভিন্ন সময় টাকার জন্য বাবা-মা ও ভাইকে বিরক্ত করত। ঘটনার দিন ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টাকার জন্য সাদ্দাম তার বাবা-মাকে লাঞ্ছিত করেন। এ খবরে ক্ষুব্ধ বড় ভাই হাবিবুল করিম তপু ঢাকা থেকে বাড়িতে যান। তপু তার ভাইকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই মোতাবেক ওইদিন রাত ১১টার দিকে সদরের নিজকল্পা এলাকায় বাড়ির পাশে একটি মেহগনি বাগানে তপু, বন্ধু আনোয়ারসহ তিনজন অবস্থান নিয়ে সাদ্দামকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যান।
শাহীনুল ইসলাম ফকির বলেন, বাবা-মাকে লাঞ্ছিত করা নিয়ে সাদ্দামের সঙ্গে তপুর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সাদ্দামের গলায় রশি দিয়ে পেঁচিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে চলে যান তপু ও তার বন্ধুরা। পরদিন ওই বাগান থেকে লাশ উদ্ধারের পর রাতে নিহতের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। এ নিয়ে তদন্তে নামলে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
পরে রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে ঢাকা থেকে সাদ্দামের বড় ভাই তপু ও মুক্তাগাছা থেকে আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যায় জড়িত অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।