কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে আবারও দানের রেকর্ড। যতই দিন যাচ্ছে, রেকর্ড ভেঙে রেকর্ড গড়ছে লোহার আটটি দান সিন্দুক। এবারও চার মাস পর সিন্দুক থেকে মানুষের দানের ১৯ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। দিনভর গণনা শেষে রাত ৯টায় টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা। এ ছাড়া বিপুল পরিমাণ ডলার, পাউন্ড, রিয়াল, রিঙ্গিত, দিনার, দিরহাম, ভারতীয় রুপি, সোনা ও রুপা পাওয়া গেছে।
গতকাল শনিবার সকাল ৮টায় লোহার ৮টি সিন্দুক খোলার পর বস্তাবন্দি করে নেওয়া হয় মসজিদের দ্বিতীয় তলায়। সেখানে মেঝেতে ঢেলে শুরু হয় গণনা কার্যক্রম। প্রতি তিন মাস পরপর সিন্দুক খোলা হলেও এবার রমজান ও ঈদুল ফিতরের জন্য চার মাস পর খোলা হয়েছে।
গণনা কাজে মাদ্রাসার ১১২ ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ সদস্য অংশ নেন।
টাকা গণনার সময় জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এটি এম ফরহাদ চৌধুরী, সিনিয়র সহকারী কমিশনার শেখ জাবের আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, সাদিয়া আফরিন তারিন, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলামসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, পাগলা মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে দানের বাকি টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এ থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেওয়া হয়। অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্তদের সহায়তাও করা হয়।
এর আগে গত জানুয়ারি মাসে পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে রেকর্ড ২০ বস্তা টাকায় দিনভর গণনা শেষে প্রাপ্ত দানের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা।