সম্প্রতি পঞ্চগড়ে জমি-সংক্রান্ত মামলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া স্বাক্ষরিত চিঠি আসে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি ও পঞ্চগড় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। চিঠির বর্ণনা আর স্বাক্ষর দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে তদন্তে নামে পুলিশ। অবশেষে পুলিশের ফাঁদে ধরা পড়ে প্রতারক।
জানা যায়, মামলায় নিজের পক্ষে বিশেষ সুবিধা পেতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের স্বাক্ষর জাল করে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়। স্বাক্ষর জালসহ পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ১ লাখ টাকায় ভাড়া করা হয় প্রতারক চক্রকে।
গত বৃহস্পতিবার পুলিশ এই নাটকের মূলহোতা মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করে। তার বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের পানিমাছপুকুরী এলাকায়। আটকের পর পুলিশের কাছে প্রতারণায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এই ব্যক্তি। এ ঘটনায় পঞ্চগড় সদর থানায় দুটি মামলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই প্রতারণার বিষয়টি তুলে ধরেন পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা। এ সময় তিনি তাদের তৈরিকৃত জাল স্বাক্ষর সংবলিত কাগজপত্র গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার বলেন, পুরো বিষয়টি পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। খুব গভীরভাবে না দেখলে বোঝার উপায় নেই। হাতের লেখা ও কিছু বিষয় দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে তদন্তের মাধ্যমে আমরা খোঁজ নিয়ে তাদের প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারি। তার সঙ্গে যারা কাজ করেছে পুরো প্রতারক চক্রকে ধরার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোজাম্মেল হক জানান, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের সভাপতি এসএম বাদশা ও ওই সংগঠনের পঞ্চগড়ের সভাপতি আসাদসহ কয়েকজন মিলে নগদ ১ লাখ টাকা নিয়ে মন্ত্রী ও মুখ্য সচিবের স্বাক্ষর জাল করে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। আমার স্বাক্ষরটিও তারা করে দিয়েছে। সব কাজ শেষ করে তারা আমাকে জানিয়েছে।