
সাভারের আশুলিয়ায় টাকার লোভে ফারাবি আহমেদ হৃদয় (২১) নামে কলেজছাত্রকে হত্যার পর মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় অপহরণের ১০ দিন পর তারই দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার ও পুকুর থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে র্যাব-৪।
গতকাল বৃহস্পতিবার আশুলিয়ার মোজারমিলের শিববাড়ি এলাকার ইস্টার্ন হাউজিংয়ের একটি পুকুর থেকে ভাসমান বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে আশুলিয়ার জামগড়া, টাঙ্গাইল ও রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলো ময়েজ হোসেন পরান (২২) ও সুমন মিয়া বাপ্পী (২৫)।
নিহত হৃদয় আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার ফজলুল হক মিয়ার ছেলে। সে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। গত ৮ মে জামগড়ার বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল সে।
র্যাব-৪ এর সিইও লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুর রহমান বলেন, আসামিরা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ছিল। পক্ষান্তরে ভিকটিমের পরিবার সমৃদ্ধশালী ছিল। তারা ভিকটিমের ধনসম্পদ দেখে লোভে পড়ে যায় এবং পরিকল্পনা করে যে, হৃদয়কে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৮ মে সকাল ১০টার দিকে হৃদয়কে পরাণের বাসায় ডেকে নিয়ে জিম্মি করে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। পরে দুপুরে হৃদয়কে চারজন মিলে শ্বাসরোধে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হতে বালিশ চাপা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ধরে রাখে আসামিরা। এদিন বিকেল ৪টার দিকে তারা বস্তাবন্দি লাশ নিয়ে ওই পুকুরে ফেলে দেয়।