ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ নেতা কর্তৃক বাসচালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী বাসচালক। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ভুক্তভোগী তোফাজ্জল হোসেন সবুজ গড়াই পরিবহনের ড্রাইভার। অভিযুক্ত বনি আমিন শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। অভিযুক্ত অন্য ছাত্রলীগ কর্মী জামিল আহমেদ। ঘটনার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে, কুষ্টিয়ার বটতৈল মোড়ে ঝিনাইদহগামী গড়াই পরিবহনে ওঠেন বনি আমিন। এ সময় এক মেয়ে যাত্রীকে সিট ছেড়ে দেওয়ার জন্য বনি আমিনকে অনুরোধ করেন ড্রাইভার। এ সময় বনি আমিন বলেন, আপনারা বাড়ি থেকে লোক নিয়ে আসবেন, আমরা সিট ছেড়ে দেব কেন।
তখন ড্রাইভার জানান, কেউ সিট ছেড়ে না দিলে জোর করে নেওয়া সম্ভব নয়। পরে ইবি গেটে এলে বনি আমিন ও তার চার থেকে পাঁচ বন্ধু মিলে চেলাকাঠ দিয়ে ড্রাইভারকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এ ছাড়া ১৫ হাজার টাকা কেড়ে নেন বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী। তবে মৌখিক বক্তব্যে ৪ হাজার ১০০ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে অভিযুক্ত বনি আমিন বলেন, কুষ্টিয়ার মজমপুর থেকে আমি বাসে উঠি। বটতৈল এসে সিট দেওয়ার কথা বলে যাত্রী তুলছিলেন তারা। এ সময় ড্রাইভার সিট ছেড়ে দিতে বলেন। আমি সিট ছেড়ে না দেওয়ায় তিনি আমার সঙ্গে বাজে আচরণ করেন। আমি তখন চুপচাপ বসে থাকি। ক্যাম্পাসের গেটে এসে আমি তাকে ডেকে এনে তার আচরণ ঠিক করেছেন কি না জানতে চাই। তখন তিনি আমাকে উল্টো ঝাড়ি দেন। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তার হাতাহাতি হয়।
এদিকে এ ঘটনার পর রাস্তায় গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় এক ঘণ্টা ধরে
কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরীনকে আহ্বায়ক ও সিকিউরিটি ইনচার্জ আব্দুস সালাম সেলিমকে সদস্য সচিব করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর। কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম। প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।