
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, আমি ছোটবেলা থেকে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠেছি। সিলেটের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। এ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক চর্চার বিকাশে সাংস্কৃতিক কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে আমি কাজ করতে চাই। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সিলেটের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সিলেটে শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য একটি কমপ্লেক্স থাকা খুবই জরুরি। টেলিভিশন স্টেশন পূর্ণাঙ্গ থাকলে এখানকার শিল্পীদের পরিবেশনা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সারা দেশে শুধু নয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাবে। একটি স্মার্ট আধুনিক নগর গড়ে তুলতে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিকাশ প্রয়োজন। তিনি সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাকে সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়ার অনুরোধ জানান।
সিলেটের বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী হিমাংশু বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক সংস্কৃতিকর্মী রজত কান্তি গুপ্তের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, প্রবীণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সুর্ণিমল কুমার দেব মীন, জেলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নাজনীন হোসেন, বিশিষ্ট লোকসংগীতশিল্পী জামাল উদ্দিন হাসান বান্না, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম, নাট্য ব্যক্তিত্ব অরিন্দম দত্ত চন্দন, নিরঞ্জন দে, সংগীতশিল্পী গৌতম চক্রবর্তী, অপূর্ব শর্মা, এনায়েত হাসান মানিক, বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী মোকাদ্দেস বাবুল, আশুতোষ ভৌমিক বিমল, উত্তম সিংহ রতন, রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রানা কুমার সিনহা, সংগীতশিল্পী মালতী পাল, সংগীত পরিচালক বিপ্রদাশ ভট্টাচার্য, সাংস্কৃতিক সংগঠক বিভাষ শ্যাম, শামস নূর, খোয়াজ রহিম সবুজ, ফরিদ আহমদ, নৃত্যশিল্পী নীলাঞ্জনা, নাট্য সংগঠক মোস্তাক আহমেদ, বাউলশিল্পী সূর্যলাল দাস, বসির উদ্দিন সরকার, চিত্রশিল্পী ইসমাইল গণি হিমনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।