
জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলার জন্য সারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আর পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে শেখ হাসিনা দিবারাত্রি পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বিশ্বের দরবারে যে কজন রাষ্ট্রনায়ক বা দেশনায়কের কথা সম্ভ্রমে আলোচিত হয় তাদের মধ্যে অন্যতম শেখ হাসিনা। অন্ধকারে আলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে চলছেন। তিনি মানুষের জীবনে আলোর সঞ্চার করেছেন।’
গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জের দেওভোগে বিদ্যানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর তার সুযোগ্য কন্যা এদেশের হাল ধরেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ফুল বিছানো রাস্তায় তিনি প্রধানমন্ত্রী হননি। তাকে অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে এই জায়গায় আসতে হয়েছে। তার কাছে প্রধানমন্ত্রিত্ব উপভোগের বিষয় নয়। তিনি কর্তব্য পালন বলেই মনে করেন।’
‘কভিড-১৯ এর কারণে সারা পৃথিবী একটা ঝাঁকুনি খেয়েছে। কিন্তু এই সময়েও আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি জায়গায় ভ্যাকসিন যেমন দিয়েছেন, তেমনি খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও শিক্ষাজীবন যেন স্বাভাবিক থাকে সেই ব্যবস্থাও তিনি রেখেছেন। বিদ্যালয়টির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ূনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।