অবরুদ্ধ চসিক ভবনে দিনভর উত্তেজনা

অবরুদ্ধ চসিক ভবনে দিনভর উত্তেজনা

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ‘গলাকাটা’ হোল্ডিং ট্যাক্স বাতিলের দাবিতে নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে করদাতা সুরক্ষা পরিষদ। এ সময় যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর পক্ষে অবস্থান নিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে চসিক ভবনে। এর একপর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল থেকে ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হন করদাতা সুরক্ষা পরিষদের এক নেতা।

গতকাল বুধবার নগরীর টাইগারপাস এলাকায় ‘নগর ভবন ঘেরাও’-কে কেন্দ্র করে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নগর ভবনের সামনে থেকে সিআরবি-টাইগারপাস সড়ক পর্যন্ত অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের নেতারা জানান, গলাকাটা হোল্ডিং ট্যাক্স বাতিলের দাবিতে এদিন নগর ভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ছিল। সেই অনুযায়ী নগরীর কদমতলী থেকে একটি মিছিল নগর ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তিন দফা বাধার মুখে পড়ে। সবশেষ সুরক্ষা পরিষদের নেতারা টাইগারপাস মোড়ে অবস্থান নেন।

এদিকে সকাল থেকেই নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে করদাতা সুরক্ষা পরিষদের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল নগর ভবনে মেয়রের কাছে স্মারকলিপি তুলে দিতে যাওয়ার পথে তাদের ঘিরে রেখে স্লোগান দিতে থাকে ছাত্রলীগ। পরে পুলিশি নিরাপত্তায় দলটি চসিক ভবনে প্রবেশ করে।

দুপুর ১টার দিকে চার দফা দাবি বাস্তবায়নে মেয়রের কাছে স্মারকলিপি তুলে দেয় দলটি। এতে ছিলেন করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস পপি, এনায়েতবাজার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মালেক, সহসভাপতি মো. ইসমাইল মনু এবং সংগঠনের মুখপাত্র কাজী শহিদুল হক। বাড়ি ভাড়ার ভিত্তিতে নির্ধারিত বর্তমান অ্যাসেসমেন্ট বাতিল, পূর্বের নিয়মে আয়তন অনুযায়ী নতুন অ্যাসেসমেন্ট করা, আপিল আবেদনের নামে ঘুষ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিচারের আওতায় আনা এবং নাগরিক সেবা বৃদ্ধিতে প্রতিবছর জনসম্মুখে গণশুনানির আয়োজনের চার দফা দাবি তুলে ধরা হয় ওই স্মারকলিপিতে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com