ইসমাইল ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের বিরলী গ্রামের আব্বাস বেপারি বাড়ির শরীয়ত উল্যাহর ছেলে। পরিবারে সচ্ছলতা আনতে ১১ বছর আগে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় যান। ওখানে দীর্ঘ কষ্টের পর একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। আস্তে আস্তে সচ্ছলতা আসে পরিবারে। বাড়িতে আধুনিক ডিজাইনের দোতলা বিল্ডিংয়ের কাজও শেষপর্যায়ে। আগামী দু-তিন মাস পর দেশে এলে তাকে বিয়ে করানোর প্রস্তুতিও চলছে। দুদিন আগে সর্বশেষ পরিবারের সঙ্গে কথা হয় ইসমাইলের। তিনি তখন জানান, বড় আয়োজনে বিয়ের জন্য সব প্রস্তুতি নিতে; কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকায় কেপটাউনে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিল তার ও পরিবারের স্বপ্ন।
নিহত ইসমাইল হোসেনের পিতা শরীয়ত উল্যাহ কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার সঙ্গে কয়েক দিন আগে মোবাইল ফোনে ছেলের কথা হয়। তখন সে জানায়, আগামী দু-তিন মাস পরে দেশে ফিরবে। তখন বিরাট আয়োজন ও ধুমধাম করে তার বিয়ে হবে। এরই মধ্যে বিয়ের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। কয়েক জায়গায় পাত্রীও দেখা হয়েছে। তার সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি।’ তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ করে বলেন, তার ছেলের লাশ যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনেন, সে বিষয়ে উদ্যোগ কামনা করেন।
নিহত ইসমাইলের বড় ভাই মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমার ভাই কারও সঙ্গে কখনো কোনো ঝগড়া বা বিবাদে লিপ্ত হয়নি। সে সহজ-সরল প্রকৃতির ছিল। তার মৃত্যুতে আমরা বাকরুদ্ধ, পরিবারের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এক সপ্তাহ আগে দেশে ফেরা নিহতের ছোট ভাই নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘মেজো ভাই ইসমাইল ১১ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান। সেখানে তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করেন।