মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বেল্লাল মোল্লার অনিয়ম, স্বেচ্ছারিতা আর স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন পরিষদের সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ড সদস্যরা। এরই মধ্যে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে ৯ ইউপি সদস্য জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। তারই প্রতিবাদে গতকাল রোববার রাস্তি ইউপি কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভা করেছেন সদস্যরা। এ সময় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব অবহেলার বিচার দাবি করেন তারা।
লিখিত অভিযোগে ইউপি সদস্যরা জানান, সরকারিভাবে রাস্তি ইউনিয়ন পরিষদের একজন হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর রয়েছেন। তাকে চেয়ারম্যান বেল্লাল মোল্লা তার নিজস্ব একটি কার্যালয়ে রেখে কাজ করান। যে কারণে ওই কর্মচারীকে ইউনিয়ন কার্যালয়ে পাওয়া যায় না। এখন পর্যন্ত কোনো প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করাননি। এ ছাড়া তিনি ইউনিয়ন পরিষদে কখনোই আসে না। তার ভাই বেলায়েত মোল্লাকে দিয়ে জন্মনিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, ১০ টাকা কেজি মূল্যে চালসহ যাবতীয় কাজ করে থাকেন। এতে মেম্বাররা প্রতিবাদ করলে তাদের হুমকি-ধমকি দিয়ে হয়রানি করেন ওই চেয়ারম্যান। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধ গত ১ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ইউনিয়নের ৯ জনপ্রতিনিধি। তারা দ্রুত এর সমাধান দারি করেন।
রাস্তির ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. রুহুল আমিন খান বলেন, ‘চেয়ারম্যান তার ইচ্ছামাফিক সব কাজ করেন। আমরাও যে জনগণের ভোটে মেম্বার হয়েছি, তার কোনো কর্ণপাত তিনি করেন না। তার ভাইকে দিয়ে সব কাজ করান। এ পরিষদ গঠন হয়েছে এক বছর দুই মাসের বেশি, তার পরও কোনো প্যানেল চেয়ারম্যান গঠিত হয়নি। মাত্র একটি মিটিং ছাড়া এ পর্যন্ত কোনো মিটিং হয়নি পরিষদে। আমরা এর প্রতিকার চাই।’
আরেক মেম্বার জাফর দেওয়ান বলেন, ‘আমরা প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান নিজে ও তার ভাই মিলে আমাদের হুমকি-ধমকি দেন। আমরা মেম্বার হয়েও কোনো কাজের তদারকি করতে পারি না। সবই চেয়ারম্যান এককভাবে করেন। জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত দিয়েও কোনো প্রতিকার হয়নি।’
প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মো. রুহুল আমিন খান, আবুল বশার বেপারী, গোলাম মওলা, জাফর দেওয়ান, হাবিব বেপারী, শাসিক সরদার, মর্জিনা বেগম ও মৌসুমী হোসেন।
তবে অনিয়মের বিষয় কথা বলতে রাজি হয়নি অভিযুক্ত চেয়ারম্যান বেল্লাল মোল্লা। তবে তার ভাই বেলায়েত মোল্লা জানান, আমাদের ওপর আক্রোশে এসব কথা ছড়ানো হচ্ছে। আমার ভাই চেয়ারম্যান, তার নিজস্ব আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে নিজে কাজ করেন। এতে আমার কিছুই করার নেই।’