এই গ্রীষ্মে শতরূপে যবিপ্রবি

এই গ্রীষ্মে শতরূপে যবিপ্রবি

ইট-পাথরে গড়া সবুজ ক্যাম্পাসে দ্যুতি ছড়াচ্ছে রং-বেরঙের বাহারি ফুল। দক্ষিণা বাতাসে একদিকে ধানের মিষ্টি গন্ধ অন্যদিকে নজরকাড়া ফুলের সৌরভে মুগ্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীরা।

কাঠফাটা রোদে তপ্ত হাওয়ায় রঙিন ডালা মেলে দুলছে এসব ফুল। প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই চোখে পড়ে রক্তরাঙা কৃষ্ণচূড়া। লাল টুকটুকে চার পাপড়ি মেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বর করেছে রঙিন, সৌন্দর্য বাড়িয়েছে শতগুণ।

সবুজ চাদরে মোড়ানো ৩৫ একরের এই ক্যাম্পাসে প্রকৃতিপ্রেমীদের মন কেড়েছে জারুল। মাঝারি এই বৃক্ষে গ্রীষ্মের সময় লেগে যায় বেগুনি আগুন। বাতাসে গাঢ় সবুজ পাতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুলছে বেগুনি রঙের ছয় পাপড়ি ও পুংকেশরের সঙ্গে যুক্ত হলুদ পরাগকোষী মায়াবী জারুল, যার মুগ্ধতা দেখা যায় শরৎ পর্যন্ত।

ফুটেছে হলুদ সোনালু ও লাল-সাদা বাগানবিলাস। সোনালুর সোনালি মায়ায় পড়ে কেউবা ব্যস্ত প্রিয়জনের হাসিখুশি মুখ স্মৃতিবন্দি করে রাখায়, কেউবা ভালোবাসার মানুষকে উপহার দিচ্ছে। কেউ আবার সোনালুর পুংকেশর দিয়ে গাঁথছে মালা। অন্যদিকে ভিসি গেটের পাশে লাল-সাদা বাগানবিলাস ও কৃষ্ণচূড়া যোগ করেছে ভিন্ন রাগিনী।

করবী-কামিনী-করমচা করেছে যবিপ্রবিকে শতরূপা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, করবী ফুলের স্নিগ্ধতা গরমকেও হার মানায়। পুষ্পপ্রেমীদের অন্যতম পছন্দ কামিনী। হলুদ মঞ্জরিকে ঘিরে থাকা সাদা কামিনীর সুবাস দেয় প্রশান্তির দোলা।

প্রকৃতির রূপে মুগ্ধ মাহবুবা নামের এক শিক্ষার্থী জানান, ‘এ বছরের চিত্রপট অনেকটা ভিন্ন। হালকা বৃষ্টির স্পর্শে সৌন্দর্য বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। এমন একটি ক্যাম্পাসের প্রেমে না পড়ে থাকা যায় না।’

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com