
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি হলো ফোর্ট কলিন্সে অবস্থিত কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটি। বেস্ট কলেজেস ইন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিজের ২০২২-২৩ সংস্করণে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ১৫১তম।
এটি কলোরাডো অ্যাগ্রিকালচারাল কলেজ নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৭০ সালে। তারপর নাম পরিবর্তন করে কলোরাডো স্টেট কলেজ অব অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড মেকানিক আর্টস করা হয় ১৯৩৫ সালে। আর কলোরাডো জেনারেল অ্যাসেম্বলি এটির বর্তমান নাম কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটি করার অনুমোদন দেয় ১৯৫৭ সালে।
ক্যাম্পাস : কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস রকি মাউন্টেনের পাদদেশে ফোর্ট কলিন্সে। ৫৮৩ একর অর্থাৎ ২ দশমিক ৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ক্যাম্পাসটিতে রয়েছে ১০১ একরের একটি ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতাল।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আরও আছে ১ হাজার ৪৩৮ একরের ফুটহিলস ক্যাম্পাস, ১ হাজার ৫৭৫ একরের অ্যাগ্রিকালচারাল ক্যাম্পাস এবং ১ হাজার ১৭৭ একরের পিংরি পার্ক মাউন্টেন ক্যাম্পাস। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টি লারিমার কাউন্টির বাইরে গবেষণা কেন্দ্র এবং কলোরাডো স্টেট ফরেস্ট সার্ভিসের জন্য ব্যবহার করে ৪ হাজার ৩৪ একর অর্থাৎ ১৬ দশমিক ৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের একটি বিশাল জায়গা।
যেসব বিষয়ে পড়া যাবে : কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে উচ্চশিক্ষার জন্য বেছে নেওয়া যাবে ৩০০টির মতো একাডেমিক প্রোগ্রাম থেকে নিজের পছন্দেরটি। এগুলোর মধ্যে আছে ৭৬টি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি প্রোগ্রাম, ১৫৯টি মাস্টার ডিগ্রি প্রোগ্রাম, যেগুলোর মধ্যে ৫৬টি পড়ানো হয় অনলাইনে; ৭৪টি ডক্টরাল প্রোগ্রাম, যেগুলোর মধ্যে ৬টি অনলাইন ভিত্তিক; ৪৭টি গ্র্যাজুয়েট সার্টিফিকেট যেগুলোর মধ্যে অনলাইনে পড়া যাবে ৪২টি।
উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে আছে বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োমেডিকেল সায়েন্সেস, কেমিক্যাল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স, ডেটা সায়েন্স, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, নিউরোসায়েন্স, অ্যাগ্রিকালচারাল বায়োলজি, অ্যানিমেল সায়েন্স, অ্যানথ্রোপলজি, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন, মিউজিক, নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স।
বৃত্তি : আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি, গ্রান্ট, ঋণ কিংবা পড়াশোনাকালীন কাজ এরকম বিভিন্নভাবে আপনার পড়াশোনার খরচ মেটানোর সুযোগ আছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। অনাবাসী শিক্ষার্থীদের আবেদনপত্রের ওপর ভিত্তি করে যেসব বৃত্তি দেওয়া হয় সেগুলোর মধ্যে আছে গ্রিন অ্যান্ড গোল্ড স্কলারশিপ, ওয়েস্টার্ন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এক্সচেঞ্জ, অনার্স স্কলারশিপ, পার্টনারশিপ অ্যাওয়ার্ড, নেটিভ আমেরিকান লিগেসি অ্যাওয়ার্ড, ফাই থেটা কাপ্পা স্কলারশিপ। প্রতিবছর একজন শিক্ষার্থীকে গ্রিন অ্যান্ড গোল্ড স্কলারশিপ দেওয়া হয় ২ হাজার ৫০০ থেকে ১০ হাজার ডলার। ওয়েস্টার্ন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এক্সচেঞ্জের বৃত্তির পরিমাণ হয়ে থাকে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত। অনার্স স্কলারশিপের পরিমাণ হয় ১ হাজার ডলার। ফাই থেটা কাপ্পা স্কলারশিপে প্রতিবছর পাওয়া যাবে ২ হাজার ডলার।
তা ছাড়া কলা, ইংরেজি, নাচ, সংগীত, থিয়েটার ইত্যাদি বিভাগেও আলাদাভাবে আবেদন করে বৃত্তি পাওয়ার সুযোগ আছে। সব বৃত্তিই দেওয়া হয়ে থাকে ফল ও স্প্রিং সেমিস্টারে।
শিক্ষার্থী সংখ্যা : গত ফল সেমিস্টারে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল ৩২ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী, যাদের মধ্যে শতকরা ৬৯ জন ছিল কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা আর ২৬ ভাগ এসেছিল অন্যান্য এলাকা থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আছে ১০০টিরও বেশি দেশের প্রায় ১ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থী।
ভর্তি : আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয় ফল সেমিস্টার ও স্প্রিং সেমিস্টারে। ফল সেমিস্টার শুরু হয় আগস্টে আর স্প্রিং সেমিস্টার জানুয়ারিতে। বিস্তারিত জানা যাবে এই www.colostate.edu থেকে।