সুতপার নিজের লেখা ও সুর করা ‘হারাবো পথে পথে’ গানটি এখন বন্ধুমহল, পরিবার-পরিজনসহ ক্যাম্পাসে বেশ জনপ্রিয়। গানটির অংশবিশেষ হলো—‘এই ফুটপাত, রাস্তা, অলিতে গলিতে, শহরের কোলাহল, যানজট পেরিয়ে, চলো না দুজনে যাই আজ হারিয়ে ভেসে যাই অজানায় সব সীমা ছাড়িয়ে চেনা কোনো গানের সুরে হারাবো পথে পথে...।’
শুরুটা কীভাবে জানতে চাইলে সুতপা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই গাওয়া শুরু। গানের হাতেখড়ি শ্রদ্ধেয় বিষ্ণু কুমার ধর স্যারের হাত ধরে। এরপর বাসাবো ধর্মরাজিক ললিতকলা একাডেমিতে মুক্তিযুদ্ধকালীন বেতারশিল্পী ও বিশিষ্ট নজরুল সংগীতশিল্পী শ্রদ্ধেয় এম এ মান্নান স্যার এবং হুমায়ুন কবির স্যারসহ প্রমুখ গুণী মানুষের সান্নিধ্যে নজরুলসংগীতে পাঁচ বছরের কোর্স সম্পন্ন করে একাডেমিক সার্টিফিকেট পাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য ছায়ানটে নজরুলসংগীতে পড়া শুরু করি। সেখানে গুরু অসিত দে, খ্যাতনামা নজরুল সংগীতশিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল স্যার এবং অন্যদের সান্নিধ্য পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে।’
প্রাপ্তি কী জানতে চাইলে সুতপা বলেন, “ছোট-বড় বিভিন্ন জাতীয় প্রতিযোগিতায় অনেক পুরস্কার পেয়েছি। এ ছাড়া স্টুডিও প্রোটিউন বিডি অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে আমার দুটি গান জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যার একটি মৌলিক। তাদের সঙ্গে রেকর্ডিংবিষয়ক আলাপ চলছে। আরেকটা গান আমাদের একটা ব্যান্ড ছিল ‘দেয়াল’-এর থিম সং। কোথাও পারফর্ম করতে গেলে ওটা গাওয়া হয়।” তিনি জানান, চাইলেই তো সুর দেওয়া যায় না। হুটহাট পরিস্থিতি অনুযায়ী সুর মাথায় ভর করলে সেটা টুকে রাখেন।
তিনি আরও বলেন, ‘অবসরে গানের চর্চা করতে গেলে বিভিন্ন সময় কথা-সুর অজান্তেই তৈরি হয়। পরে সেটা রেকর্ড করে পরিপূর্ণ গানে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করি। নিজের ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামে বা বিভিন্ন ফেসবুক পেজে শেয়ার করে নতুন কিছু সৃষ্টির আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। মাঝেমধ্যে বিপুল সাড়া পাই। তখন আরও ভালো করার উদ্যম পাই।’
সুতপা বলেন, ‘স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর পুরোপুরিভাবে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জড়ানোর ইচ্ছা আছে।’