জলজ সম্পদ বিভাগে দেশসেরা সিকৃবি

জলজ সম্পদ বিভাগে দেশসেরা সিকৃবি

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) সিমাগো ইনস্টিটিউশন র‍্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাটাগরিতে অ্যাকুয়াটিক সায়েন্স বিষয়ে বাংলাদেশে প্রথম ও বিশ্বে ৪২১তম অবস্থানে রয়েছে। আরও জানাচ্ছেন আকিমুন হাসান রাফি—

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের আকুয়াটিক সায়েন্স তথা জলজ সম্পদ বিভাগে দ্বিতীয়বারের মতো সিকৃবি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে টপকে প্রথম স্থান অর্জন করল।

এ ছাড়া অ্যানিম্যাল সায়েন্স ও জুয়োলজি বিষয়ে দেশে ষষ্ঠ, ইকোলজি, ইভোলিউশন, বিহেভিয়র অ্যান্ড সিস্টেমেটিকস বিষয়ে ষষ্ঠ এবং বায়োকেমিস্ট্রি, জেনেটিকস ও মলিকুলার বায়োলজিতে অষ্টম স্থানে রয়েছে। স্কোপাস ডাটাবেজে কমপক্ষে ১০০টি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে এমন সব প্রতিষ্ঠান এই র‍্যাঙ্কিংয়ে বিবেচিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনালগ্ন থেকেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণায় বিশেষভাবে মনোযোগী করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। প্রতিনিয়তই আমাদের শিক্ষকরা উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে আসছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারগুলোর সক্ষমতাও বেড়েছে। মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকুয়াটিক সায়েন্স বিভাগ আজ দেশসেরা।’

অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় কুণ্ড বলেন, ‘সিমাগো প্রতিবছরই সারা বিশ্বে সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে র‍্যাঙ্কিং করে থাকে। ২০২২ সালের মতো এ বছরও আকুয়াটিক সায়েন্স বিভাগে আমরা প্রথম হই। প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৪১ পূরণ করতে আমাদের মাছ উৎপাদনের টার্গেট থাকবে ৭৮ লাখ টন। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’

উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নরত মাস্টার্সের শিক্ষার্থী লাবণ্য রহমান বলেন, ‘অনার্সে একাডেমিক পড়ার বাইরে গিয়ে সাধারণত গবেষণার তেমন একটা সুযোগ না থাকলেও, মাস্টার্সে এই চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে গবেষণা করার সুযোগ পাচ্ছি। সবাই নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করছে।’

জলজ সম্পদ ব্যবস্থাপনার মাস্টার্সের শিক্ষার্থী উম্মে হাসনাইন সেমন্তি বলেন, ‘পর পর দুবার সিমাগো র‍্যাঙ্কিংয়ের অ্যাকুয়াটিক সায়েন্স ক্যাটাগরিতে দেশসেরা হওয়ায় অনুষদের শিক্ষার্থী হিসেবে গর্ববোধ করছি। ভবিষ্যতেও সিকৃবি এভাবেই গবেষণায় এগিয়ে যাবে।’

র‍্যাঙ্কিংয়ের পয়েন্ট বণ্টন

স্পেনভিত্তিক সিমাগো ইনস্টিটিউশন র‍্যাঙ্কিং (এসআইআর) ২০০৯ সাল থেকে প্রতিবছরই বিশ্বব্যাপী সরকারি, স্বাস্থ্য, বিশ্ববিদ্যালয় এবং নন-প্রফিট এই ক্যাটাগরিতে, গবেষণার ফলাফল, আন্তর্জাতিক কোলাবোরেশন, ন্যাচারাল ইমপ্যাক্ট এবং প্রকাশনার হারের ওপর ভিত্তি করে র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করে। র‍্যাঙ্কিংয়ে পয়েন্ট বণ্টনে গবেষণায় ৫০ ভাগের মধ্যে নর্মালাইড ইম্প্যাক্ট-এ থাকে ১৩ ভাগ, এক্সিলেন্স উইথ লিডারশিপ ৮ ভাগ, আউটপুট ৮ ভাগ, সায়েন্টিফিক লিডারশিপ ৫ ভাগ, নট ওন জার্নাল ৩ ভাগ, ওন জার্নাল ৩ ভাগ, এক্সিলেন্স ২ ভাগ, হাই কোয়ালিটি পাবলিকেশন ২ ভাগ, ইন্টারন্যাশনাল কোলাবরেশন ২ ভাগ, ওপেন এক্সেস ২ ভাগ, সায়েন্টিফিক ট্যালেন্টপুল ২ ভাগ বরাদ্দ রাখে।

এ ছাড়া ইনোভেশনের ৩০ ভাগের মধ্যে ইনোভেশন নলেজ ১০ ভাগ, পেটেন্ট ১০ ভাগ ও টেকনোলজিক্যাল ইম্প্যাক্ট ১০ ভাগ এবং সামাজিক প্রভাবের ২০ ভাগের মধ্যে অল্টমেট্রিকস ১০ ভাগ, ইনবাউন্ড লিঙ্কস ৫ ভাগ, ওয়েব সাইজ ৫ ভাগসহ তিনটি ফ্যাক্টরের মোট ১৭টি সূচক বিবেচনা করে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com